ষ্টাফ রিপোর্টারঃ জনগণের আস্থা অর্জনে পুলিশ বাহিনীকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় সাহসী ভূমিকা রেখেছে পুলিশ।
দেশের ক্রান্তিকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সর্বত্রই প্রশংসিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার দুপুরে রাজশাহীর সারদায় বিসিএস সহকারী পুলিশ সুপারদের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায়, সন্ত্রাস দমন বা কোনো কাজ করতে গেলে জনগণের সহায়তা একান্তভাবে দরকার। যেকোনো বিপদে পুলিশকে পাশে পেলে মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়, সেজন্য পুলিশকে তার পেশাদারিত্ব ও সহমর্মিতা দিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করবে। পুলিশ বাহিনীকে দক্ষ ও বিজ্ঞানভিত্তিক করে গড়ে তোলার কথা জানিয়ে সরকারপ্রধান স্বাধীনতার সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পুলিশ সদস্যদের সক্রিয় হওয়ার তাগিদ দেন। পুলিশ বাহিনী যেন জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে। আমি চাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বাধীনতার সুফল বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়ে এ দেশকে আমরা আরও উন্নত করব এবং সেভাবেই আপনারা আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করবেন। ইনশাল্লাহ বাংলাদেশকে আর কেউ পিছে টানতে পারবে না।’
‘আমরা চাই আমাদের দেশ যেন আর কখনো পিছিয়ে না পড়ে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলাম রূপকল্প-২০২১ সেটা বাস্তবায়ন করেছি। জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা উদযাপন করেছি। ঠিক সেই সময় আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য ডেলটা প্ল্যান-২১০০ আমরা প্রণোয়ন করে দিয়ে গেলাম।’
এর আগে একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে ৩৮তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন সরকারপ্রধানশেখ হাসিনা। পরে প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী কর্মকর্তাদের মাঝে ট্রফি বিতরণ করেন এবং নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।
0 coment rios: