সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২২ জানুয়ারি আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানায় যোগদান করেন মাজহারুল ইসলাম। এরপর থেকে চলতি ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বোয়ালিয়া থানা এলাকায় অন্তত ১০টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। হত্যাকাণ্ডগুলোর মধ্যে মহানগরীর নিউমার্কেট এলাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রিয়াজ খুনের ঘটনাটি ছিল চাঞ্চল্যকর। খুন হওয়ার এক ঘণ্টা আগে বোয়ালিয়া থানায় গিয়ে নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেন রিয়াজ। তবে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে তাকে থানা থেকে বের করে দেন ওসি মাজহারুল। এর ঘণ্টাখানেক পরই বোয়ালিয়া থানার শিরোইল পুলিশ ফাঁড়ির সামনে তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। আসামিদের গ্রেপ্তার না করে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টাও চলে। কিন্তু সামাজিক আন্দোলনের ফলে সেটি সম্ভব হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, আদালতের আদেশনা মেনে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের সঙ্গে গোপনে মিটিং করতেন মাজহারুল ইসলাম। হয়রানি করতেন নিরীহ মানুষদের। মহানগরীর বিভিন্ন হোটেলে খাবার খেয়ে বিল দিতেন না তিনি। জড়িত ছিলেন চাঁদাবাজির সঙ্গে। মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও ছিল তার সখ্য। অবৈধ টাকায় তিনি বিপুল সম্পদেরও মালিক হয়েছেন।
ওয়ারেন্টের আসামিদের সঙ্গে গোপন বৈঠকের অভিযোগে ওসির বদলি
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মাজহারুল ইসলামকে অবশেষে বদলি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরের এক আদেশে তাকে রংপুরে বদলি করা হয়। এ আদেশের পর তার ব্যাপারে মুখ খুলতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের সঙ্গে গোপন বৈঠক ও ভাষা সৈনিকপুত্রকে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টার অভিযোগসহ বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য।
0 coment rios: