Showing posts with label অর্থনীত. Show all posts
Showing posts with label অর্থনীত. Show all posts

Thursday, June 9, 2022

 ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট পেশ অর্থমন্ত্রীর

৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট পেশ অর্থমন্ত্রীর




জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বেলা ৩ টার দিকে জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি দেশের ৫১তম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদে চতুর্থ বাজেট। ২০২১-২২ অর্থবছরে বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। সেই তুলনায় ২০২২-২৩ নতুন বাজেটের আকার বাড়ছে ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা।

কৃষি ও শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন, মানব সম্পদ উন্নয়ন, সম্পদের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে দারিদ্র্য প্রশমন, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোকে প্রস্তাবিত বাজেটে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

বাজেটকে আরও অংশগ্রহণমূলক করতে বাজেট সংক্রান্ত সব নথিপত্র অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইটে www.mof.gov.bd  তে পাওয়া যাবে।দেশ-বিদেশ থেকে যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এটি ডাউনলোড করে ওয়েবসাইটের প্রতিক্রিয়া ফর্ম পূরণের মাধ্যমে তাদের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ পাঠাতে পারবেন।সমস্ত মতামত এবং সুপারিশ বিবেচনা করা হবে এবং গৃহীত সুপারিশগুলো জাতীয় সংসদ কর্তৃক বাজেট পাসের সময় বা এর পরবর্তীকালে কার্যকর করা হবে।বাজেট সংক্রান্ত সকল নথি নিম্নলিখিত সরকারি ওয়েবসাইটগুলোতে পাওয়া যাবে:

https://nbr.gov.bd
https://plandiv.gov.bd
https://imed.gov.bd

Thursday, March 17, 2022

বিজিএমইএ’র পরিচালনা পর্ষদ থেকে রুবানা হকের পদত্যাগ

বিজিএমইএ’র পরিচালনা পর্ষদ থেকে রুবানা হকের পদত্যাগ

 

দেশের তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালনা পর্ষদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ড. রুবানা হক।
তার জায়গায় পর্ষদে স্থান পেয়েছেন ক্রনি গ্রুপের চেয়ারম্যান নীলা হোসনে আরা। সংগঠনটির ওয়েবসাইটে বোর্ড অব ডিরেক্টরসের তালিকায় রুবানা হকের পরিবর্তে নীলা হোসনে আরার নাম দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিমের বরাত দিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, রুবানা হক নির্বাচিত হওয়ার পর কোনো পর্ষদ সভায় অংশ নেননি। চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন-এর নতুন উপাচার্য (ভিসি) হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর পদত্যাগের ইচ্ছার কথা জানিয়ে চিঠি দেন।
প্রসঙ্গত, কবি ও ব্যবসায়ী ড. রুবানা হক বিজিএমইএ নির্বাচিত প্রথম নারী সভাপতি।
নীলা হোসনে আরা ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বিজিএমইএ’র দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে বর্তমান সভাপতি ফারুক হাসানের প্যানেল- সম্মিলিত পরিষদ থেকে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন। নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছিলেন রুবানা হক।
সম্মিলিত পরিষদের এক নেতা জানান, রুবানা হকের পক্ষ থেকে তার প্যানেলের একজনকে নতুন পরিচালক করার পরামর্শ ছিল। কিন্তু বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ চেয়েছে একজন নারীর পরিবর্তে আরেকজন নারীকে পর্ষদে আনতে। সেক্ষেত্রে নীলা ছিলেন নারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটধারী।
এ পরিবর্তন নিয়ে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান ও রুবানা হকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা সাড়া দেননি।
আগের কমিটির সভাপতি রুবানা হক গত নির্বাচনে ফোরাম নামের একটি প্যানেল নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। মোট ৩৫টি পদের মধ্যে তিনিসহ তার প্যানেলের ১১ জন নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাকি ২৪টি পদে জিতেছিলেন ফারুক হাসানের নেতৃত্বে সম্মিলিত পরিষদ।

Friday, March 11, 2022

নিম্ন আয়ের দেশগুলো খাদ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে : বিশ্বব্যাংক

নিম্ন আয়ের দেশগুলো খাদ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে : বিশ্বব্যাংক



খাদ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে নিম্ন আয়ের দেশগুলো: বিশ্বব্যাংক












                          কয়েকদিন ধরেই ইউক্রেনে সংঘাত চলছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে হামলা চালায় রাশিয়া। এই সংঘাত অব্যাহত থাকলে উচ্চমূল্যসহ নিম্ন আয়ের দেশগুলো মারাত্মক খাদ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে। এমনকি রেমিট্যান্সও কমে যাবে। এছাড়া বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটও তৈরি হবে। 
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য তুলে ধরেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ন্যায়সঙ্গত প্রবৃদ্ধি, অর্থ ও প্রতিষ্ঠান) ইন্দারমিট গ্রিল।

বিজ্ঞপ্তিতে ইন্দারমিট গ্রিল জানান, কিছু উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ খাদ্যের জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। ইউরোপ এবং মধ্যএশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার মুষ্টিমেয় অর্থনীতির দেশে আমদানি করা গমের ৭৫ শতাংশেরও বেশি সরবরাহ করে দেশ দুটি। সংঘাতের কারণে এই দেশগুলো রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে শস্য এবং বীজ উৎপাদন আমদানি করতে পারছে না। খাদ্য পরিবহনও ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জন্য সরবরাহে ব্যাঘাতের পাশাপাশি খাদ্যের উচ্চমূল্য, ক্ষুধা ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কারণ হতে পারে।

খাদ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে নিম্ন আয়ের দেশগুলো: বিশ্বব্যাংক

খাদ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে নিম্ন আয়ের দেশগুলো: বিশ্বব্যাংক

                       জ্বালানি সংকটে পড়বে গোটা বিশ্ব

রাশিয়া জ্বালানি ও খনিজ সম্পদের বাজারেও একটি প্রধান শক্তি। এটি প্রাকৃতিক গ্যাসের বাজারের এক-চতুর্থাংশ, কয়লার বাজারের ১৮ শতাংশ, প্লাটিনামের বাজারের ১৪ শতাংশ এবং অপরিশোধিত তেলের বাজারে ১১ শতাংশ অবদান রাখে। এই পণ্যগুলোর সরবরাহে বিরাট প্রভাব পড়েছে। এটি বৈশ্বিক অর্থনীতিরও ব্যাপক প্রবৃদ্ধিও কমিয়ে দেবে। বিশ্বব্যাংকের প্রকাশনা থেকে অনুমান করা হয়েছে যে তেল-মূল্যের ১০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। এটা চলতে থাকলে পণ্য-আমদানিকারী উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশে প্রবৃদ্ধি হতাশাজনকভাবে কমবে।

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতসহ নানা কারণে গত ছয় মাসে তেলের দাম ১০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। যদি এটি স্থায়ী হয় তবে চীন, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও তুরস্কের মতো তেল আমদানিকারক দেশগুলোতেও প্রবৃদ্ধি কমবে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ২ শতাংশ, তুরস্ক ২ থেকে ৩ শতাংশ এবং চীন ও ইন্দোনেশিয়া ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু সংঘাতের কারণে দেশগুলো প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারবে না।

খাদ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে নিম্ন আয়ের দেশগুলো: বিশ্বব্যাংক

খাদ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে নিম্ন আয়ের দেশগুলো: বিশ্বব্যাংক

                       বাড়ছে উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠী, কমবে রেমিট্যান্স

সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ২০ লাখের বেশি মানুষ ইউক্রেন থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছেন, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে বৃহত্তম গণঅভিবাসন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার আশঙ্কা করছে, খুব শিগগির শরণার্থীর সংখ্যা ৪০ লাখে উন্নীত হবে। বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর আকস্মিক আগমনকে মেনে নেওয়া আয়োজক সরকারের জন্য কঠিন। এটি জনসাধারণের অর্থায়ন ও পরিষেবা সরবরাহের ওপর চাপ সৃষ্টি করে- বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

অর্থনৈতিক মন্দা পূর্ব ইউরোপের বাইরের দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যেসব দেশ প্রচুর পরিমাণে রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ মধ্যএশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ রাশিয়া থেকে পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল- কিছু ক্ষেত্রে, এই রেমিট্যান্স দেশের জিডিপির ১০ শতাংশের মতো। মধ্যএশিয়ার অনেক দেশে সংঘাতের ফলে রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Wednesday, December 22, 2021

৮৫০ কোটি টাকা ঋণ দেবে দক্ষিণ কোরিয়া

৮৫০ কোটি টাকা ঋণ দেবে দক্ষিণ কোরিয়া

 

বাংলাদেশকে চলতি জাতীয় বাজেট ২০২১-২২ অর্থবছরে সহায়তার অংশ হিসেবে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮৫০ কোটি টাকা। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে এ বিষয়ে এক ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়তার অংশ হিসেবেই ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) থেকে এ ঋণ সহায়তা অনুমোদন দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।

 

ইআরডির অনুবিভাগের এশীয় উইংয়ের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং দক্ষিণ কোরিয়া এক্সিম ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কিম তে সো এই ঋণ চুক্তিতে সই করেন।

কোরিয়া সরকার কোরিয়া এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামো উন্নয়ন এবং তথ্য প্রযুক্তির প্রসারে নমনীয় ঋণ সহায়তা দিয়ে আসছে। এ ঋণ নমনীয় প্রকৃতির, যার বাৎসরিক সুদের হার মাত্র শূণ্য দশমিক ০৫ শতাংশ এবং ঋণ পরিশোধকাল ১৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ৪০ বছর।

এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের ঘাটতি বাজেটের জন্য বৈচিত্র্যময় উৎস সৃষ্টি হবে। এছাড়া প্রোগ্রামের আওতায় ইসলামিক ব্যাংকগুলোকে সরকারের ঋণ গ্রহণ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্তি করা, ডিজিটালাইজেশনসহ উন্নত কর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কর ফাঁকি রোধ এবং ভ্যাট আদায় নিশ্চিত করা হবে।

একইসঙ্গে কর্মসূচির মাধ্যমে করদাতার সংখ্যা বাড়িয়ে আয়করের পরিমাণ বাড়ানো হবে। পাশাপাশি দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উন্নত কর সেবা প্রদান, উইথহোল্ডিং করের জন্য ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে উন্নত ব্যবস্থাপনা, করোনার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের সহায়তা এবং অর্থনীতির গতি পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

 

২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত নতুন ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির অধীনে বাস্তবায়িত প্রথম ঋণচুক্তি এটি। এর আগে করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা হিসেবে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছিল।

দক্ষিণ কোরিয়া সরকার পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশকে ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত নমনীয় ঋণ দেবে। বিশ্বব্যাপী ইডিসিএফ ঋণপ্রাপ্তির দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ বাংলাদেশ। এ পর্যন্ত কোরিয়া প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশের ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পে ইডিসিএফের মাধ্যমে অর্থায়ন করেছে। যার মোট পরিমাণ ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

Saturday, December 11, 2021

৫০ বছরে ৩৫০০ কোটি ডলার দিয়েছে বিশ্বব্যাংক

৫০ বছরে ৩৫০০ কোটি ডলার দিয়েছে বিশ্বব্যাংক

 

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ঋণ ও অনুদান সহায়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রায় ৫০ বছরের এই সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) থেকে দেশে সাড়ে ৩ হাজার কোটি (৩৫ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি এসেছে নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পে।

 

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ এবং রেয়াতি ক্রেডিট আকারে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের ঋণে দেশে ৫১টি প্রকল্প চলমান। এ সব প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ঋণ দিয়েছে ১৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

 

বাংলাদেশে অর্থায়নের শীর্ষে রয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগীও। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস।

 

এদিকে, এক সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ সফরে এসেছেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টইউগ শ্যাফার। সফরকালে তিনি করোনা মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য নিজেদের প্রতিশ্রুতির পুনর্ব্যক্ত করেছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে বিশ্বব্যাংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান তিনি। এজন্য বাংলাদেশকে সরকারি, বেসরকারি ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি শক্তিশালী অবস্থানে রাখতে হবে। আর এর ফলে দক্ষ শ্রমশক্তি গড়ে তোলার জন্য সময়োপযোগী নীতিগত পদক্ষেপে বিশ্বব্যাংক পাশে থাকবে।

 

কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। সাম্প্রতিক কপ-২৬ সভায় প্রধানমন্ত্রী যে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছিলেন তাও উল্লেখ করেন শ্যাফার। তিনি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

 

সংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্যাফার বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল, একটি অনুপ্রেরণামূলক উন্নয়ন সাফল্যের গল্প রচনা করেছে। ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার জন্য পাশে থাকবে বিশ্বব্যাংক। সেজন্য বিশ্বব্যাংক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে প্রতিটি পদক্ষেপে থাকবে যা বাংলাদেশের জনগণের জন্য আরও উন্নয়নমূলক ও অন্তর্ভুক্তমূলক হবে।

 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এবং অর্থনীতির ধারাবাহিকতা লক্ষণীয়। কোভিড-১৯ মহামারি বাংলাদেশকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করলেও সরকারের সক্রিয় পদক্ষেপগুলো কোভিডকে প্রতিহত করে বর্তমানে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করেছেন শ্যাফার।

Wednesday, September 29, 2021

ক্ষুদ্র ও নারী উদ্যোক্তাদের বেশি ঋণ দেবে এসএমই ফাউন্ডেশন

ক্ষুদ্র ও নারী উদ্যোক্তাদের বেশি ঋণ দেবে এসএমই ফাউন্ডেশন


ক্ষুদ্র ও নারী উদ্যোক্তাদের আরও বেশি পরিমাণে প্রণোদনার ঋণ দেবে এসএমই ফাউন্ডেশন। এ লক্ষ্যে ব্যাংকার ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে দূরত্ব কমাতে সহায়তা করবে এসএমই ফাউন্ডেশন। মঙ্গলবার রাজশাহীতে নারী উদ্যোক্তাণ্ডব্যাংকার ম্যাচমেকিং সভায় এ কথা বলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান। তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারের প্রথম দফার প্রণোদনা প্যাকেজের ২০ হাজার কোটি টাকা ধীরগতিতে বিতরণ হওয়ায় এবং টাকার পরিমাণ কম হওয়ায় অনেক উদ্যোক্তাই ঋণ পাননি। এ ছাড়া ব্যাংক ঋণ পেতে উদ্যোক্তাদের প্রস্তুতির অভাব রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজন্য সারা দেশে ক্ষুদ্র ও নারী উদ্যোক্তাদের ঋণের জন্য কাগজপত্র তৈরি, নিয়মকানুন সম্পর্কে অবহিত করা, ব্যাংকারদের মাঝে ম্যাচমেকিংসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে এসএমই ফাউন্ডেশন।

ড. মফিজুর রহমান বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে এগিয়ে নিচ্ছেন দেশের এসএমই উদ্যোক্তারা। তাই তাদের ঋণ দিতে সহায়তামূলক মনোভাব নিয়ে সেবা দেওয়ার আহ্বান জানান। ব্যাংক ঋণ পেতে নিজেদের ব্যবসায়িক লেনদেন, ব্যাংক লেনদেন, ট্রেড লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দেন তিনি। এই ঋণের সুদের হার শতকরা ৪ ভাগ এবং ঋণ চুক্তির স্ট্যাম্প চার্জ ছাড়া অতিরিক্ত কোনো অর্থ উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে নেওয়া হবে না বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি। ব্যাংক থেকে উদ্যোক্তারা যেন ফিরে না যায়, তা নিশ্চিত করতে এসএমই ফাউন্ডেশনের ঋণ বিতরণ নীতিমালা ব্যাংকের সব শাখায় পৌঁছে দেওয়ারও অনুরোধ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, গত অর্থবছরে দেড় মাসেরও কম সময়ে ১০০ কোটি টাকা সফলভাবে বিতরণের পর চলতি অর্থবছরে ২০০ কোটি টাকা বিতরণের লক্ষ্যে এরই মধ্যে ১৯টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মাহতাব উদ্দিন। বাংলাদেশ রেশম শিল্প মালিক সমিতি ও উত্তরবঙ্গ বেকারি শিল্প মালিক সমিতির সদস্য উদ্যোক্তা, নারী উদ্যোক্তা এবং বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় এবং আঞ্চলিক প্রধানরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় উদ্যোক্তারা ১ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। ঋণের সুদের হার ৪ শতাংশ। ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। ব্যাংকারণ্ডগ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ২৪টি সমান মাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করা যাবে। ব্যাংকের চাহিদাকৃত ডকুমেন্টসহ ‘সম্পূর্ণণ্ডপরিপূর্ণ ঋণ আবেদনপত্র’ ব্যাংকের নিকট দাখিলের দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঋণ মঞ্জুর করে গ্রাহকের অনুকূলে বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। সাধারণভাবে একক ও যৌথ মালিকানাধীন উদ্যোগের অনুকূলে ঋণ বিতরণ করা হবে। তবে প্রান্তিক ক্ষুদ্র, বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের ঋণের আওতায় আনার লক্ষ্যে ব্যাংকারণ্ডগ্রাহক সম্পর্ক ও ঐক্যমতের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ পাঁচজন উদ্যোক্তার অনুকূলে গ্রুপভিত্তিক ঋণ বিতরণ করা যাবে।

গত অর্থবছরের অভিজ্ঞতার আলোকে এসএমই ফাউন্ডেশন অংশীদার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করে উদ্যোক্তাদের জন্য সুবিধাজনক এক বা একাধিক শাখায় ফোকাল কর্মকর্তা নির্ধারণ করবে। উদ্যোক্তারা ফোকাল কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। ফোকাল কর্মকর্তা এসএমই ফাউন্ডেশন, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও শাখা এবং উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করবেন।

২০২১ণ্ড২২ অর্থবছরে ২০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যে ১৯টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। ব্যাংকগুলো হলোÑ রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক লিমিটেড, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, সিটি ব্যাংক লিমিটেড, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড।

Wednesday, September 22, 2021

বাংলাদেশকে পাঁচ বছরে ১২০০ কোটি ডলার দেবে এডিবি

বাংলাদেশকে পাঁচ বছরে ১২০০ কোটি ডলার দেবে এডিবি

 

আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশকে ১২০০ কোটি মার্কিন ডলার (১২ বিলিয়ন) সহায়তা (ঋণ ও অনুদান) দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সংস্থাটি নতুন কান্ট্রি পার্টনারশিপ স্ট্র্যাটেজি (সিপিএস) চালুর পাশাপাশি নতুন কৌশলপত্রের আওতায় বাংলাদেশকে এ সহায়তা দেবে।

নতুন এই কৌশলপত্রের আওতায় রয়েছে- প্রতিযোগিতা, কর্মসংস্থান এবং বেসরকারি খাতের উন্নয়ন বৃদ্ধি, সবুজ প্রবৃদ্ধি ও জলবায়ু অভিযোজন বৃদ্ধি এবং মানব পুঁজি ও সামাজিক সুরক্ষা জোরদার করা।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) এডিবি এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানায়।

এতে বলা হয়, ২০২১ থেকে ২০২৫ মেয়াদে নতুন এ কৌশলপত্র (সিপিএস) আগামী ৫ বছর সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। এর মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পূরণে সাহায্য করবে। এটি করোনা মহামারি থেকে দ্রুত আর্থ-সামাজিক পুনরুদ্ধারেও সহায়তা করবে। এ সময়ের মধ্যে এডিবি তার সহায়তা ১০ বিলিয়ন থেকে ১২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করবে, যা গত ৫ বছরে ৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ছিল।

এডিবির দক্ষিণ এশিয়ার মহাপরিচালক কেনিচি ইয়োকোমা বলেন, টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং যথাযথ নীতি ব্যবস্থা বাংলাদেশকে উন্নয়নের ভালো ফলাফল অর্জনে সহায়তা করেছে। এগিয়ে যাচ্ছে দেশের শিল্প। তবে রপ্তানি ভিত্তিতে বৈচিত্র্যায়ন প্রয়োজন। কৃষি পণ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, হালকা প্রকৌশল এবং ফার্মাসিউটিক্যালসের মতো উৎপাদন এবং রপ্তানি সামগ্রীতে বৈচিত্র্যায়ন প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নতুন বাজারে প্রবেশে সহায়তা করবে। সেই সঙ্গে কোভিড-১৯ মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখবে এবং যথেষ্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এডিবি বাংলাদেশে তার বেসরকারি খাতের কার্যক্রম আরও প্রসারিত করবে এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে উচ্চ স্তরের ফিন্যান্সিং অব্যাহত রাখবে। ব্যাংকিং খাতের উন্নতি, ব্যবসা করার সহজাত, ব্যবসার পরিবেশ এবং বিনিয়োগ পরিবেশ বেসরকারি খাতের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকে উন্নীত করতে সহায়তা করবে।

এতে বলা হয়েছে, সিপিএস প্যারিস চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য দেশের উচ্চ দুর্বলতা মোকাবিলায় জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং প্রশমন ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাকে সমর্থন করার জন্য এডিবি অপারেশনগুলো বাড়ানোরও পরিকল্পনা করেছে। জল, নদী এবং উপকূলীয় অঞ্চলের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো সরাসরি মোকাবিলা করার জন্য কর্মসূচির সম্প্রসারণের সময় জলবায়ু পরিবর্তনকে সংহত করার জন্য একটি সামগ্রিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, দারিদ্র্য কমানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। বৈষম্য ও দারিদ্র্য কমাতে সুনির্দিষ্ট কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির কার্যকর বাস্তবায়ন করা। এছাড়া অধিকতর ন্যায়সঙ্গত গ্রামীণ ও আঞ্চলিক উন্নয়ন, স্বল্পমূল্যের আবাসন এবং মৌলিক সেবায় বিনিয়োগ-দরিদ্রদের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশের লক্ষ্য দারিদ্র্যকে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা। সেই সঙ্গে চরম দারিদ্র্য ১০ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ দশমিক ৪ শতাংশে নিয়ে আসা। এডিবি নতুন কৌশল চলমান অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নকে সমর্থন করার জন্য সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় করে তৈরি করা হয়েছে।

Monday, September 20, 2021

রেমিট্যান্সে ফের গতি

রেমিট্যান্সে ফের গতি


প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে আবার গতি ফিরেছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ১৬ দিনেই ১০৯ কোটি পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বর্তমান বাজারদরে (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ২৫ পয়সা) টাকার অংকে এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।

এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

গত তিন মাস ধরে রেমিট্যান্সের গতি নিম্মমুখি। ২ বিলিয়ন ডলারের কম এসেছে। জুনে এসেছিল ১৯৪ কোটি ডলার। পরের দুই মাস জুলাই ও আগাস্টে আসে যথাক্রমে ১৮৭ কোটি ও ১৮১ কোটি ডলার।

সেক্ষেত্রে চলতি সেপ্টেম্বর মাসে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি আসার মধ্য দিয়ে রেমিট্যান্সপ্রবাহের গতি আগের অবস্থায় ফিরতে শুরু করবে আশার কথা শুনিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘জুলাই মাসে ২১ তারিখ কোরবানির ঈদ উদযাপিত হয়। ঈদের পর ওই মাসের বাকি দিনগুলোতে খুবই কম রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। সে কারণে জুলাই মাসে ২ বিলিয়ন ডলারের কম রেমিট্যান্স দেশে আসে। তার রেশ আগস্ট মাসেও থাকে। সেপ্টেম্বর থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে বলে আশা করছি। ইতোমধ্যে তার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে।’

মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেও অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গত অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪.৮ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। ওই অঙ্ক ছিল আগের বছরের চেয়ে ৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বা ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।

টাকার অঙ্কে ওই অর্থের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১০ হাজার ১১৫ কোটি টাকা, যা ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরের ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার জাতীয় বাজেটের এক-তৃতীয়াংশের বেশি।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বছর বা অর্থবছরে এত বেশি রেমিট্যান্স কখনই আসেনি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য ঘেটে দেখা যায়, গত অর্থবছরের ১২ মাসের সাত মাসই ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৬০ কোটি ডলার এসেছিল ওই অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে। যা এখন পর্যন্ত এক মাসের হিসাবে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স।

কিন্তু প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ধীরগতি নিয়ে শুরু হয় ২০২১-২২ অর্থবছর। প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার দেশে পাঠান প্রবাসীরা। যা ছিল আগের চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। দ্বিতীয় মাস আগস্ট জুলাইয়ের চেয়েও কম রেমিট্যান্স আসে ১৮১ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক রোববার রেমিট্যান্সের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৬ দিনে (১ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর) ১০৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২১ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার।

বেসরকারি ৪০ ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮৪ কোটি ১০ লাখ ডলার। আর বিদেশি ৯ ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪০ লাখ ডলার।

মহামারির মধ্যে গত ২০২০-২১ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে। ওই মাসে প্রায় ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার পাঠান প্রবাসীরা, যা এক মাসের হিসাবে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে মে মাসে ২১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার।

গত অর্থবছরের ১২ মাসের মধ্যে ৭ মাসেই ২০০ কোটি (২ বিলিয়ন) ডলারের বেশি করে রেমিট্যান্স এসেছে। গড় হিসাবে প্রতি মাসে ২ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার করে এসেছে।

তার আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ হাজার ৮২০ কোটি ৫০ লাখ (১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে, যা ছিল এক অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি।

মহামারির কারণে রেমিট্যান্স কমার আশঙ্কা করা হলেও বাস্তবে তা ঘটেনি। গত বছরের মার্চে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহে ভাটা পড়ে।

ওই মাসে ১০৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। এরপর আর রেমিট্যান্স কমেনি, প্রতি মাসেই বেড়ে চলেছে। রেকর্ডের পর রেকর্ড হয়েছে।

দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিভিন্ন দেশে থাকা সোয়া কোটি বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ। দেশের জিডিপিতে সব মিলিয়ে রেমিট্যান্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটেও এই প্রণোদনা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয় সরকার।

 

রিজার্ভ ৪৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার

রেমিট্যান্সপ্রবাহে গতি ফেরায় বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ সন্তোষজনক অবস্থায় আছে। রোববার দিন শেষে রিজার্ভ ৪৬ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার।

আমদানি বাড়ার পরও গত ২৪ আগস্ট আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ১৪৪ কোটি ৮০ লাখ (প্রায় ১.৪৫ বিলিয়ন) ডলার এসডিআর (স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস) ঋণ রিজার্ভে যোগ হওয়ায় এক লাফে রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অত্রিকম করে।

সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই-আগস্ট মেয়াদের আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।

Monday, August 16, 2021

টেকসই প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেল ১০ ব্যাংক

টেকসই প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেল ১০ ব্যাংক


বেসরকারি খাতের ১০ ব্যাংক এবং পাঁচ আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ‘টেকসই প্রতিষ্ঠানের’ মর্যাদা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথম বারের মতো এ রেটিং বা মান প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মূলত ‘টেকসই অর্থায়ন সূচক, সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম, সবুজ প্রকল্পে অর্থায়ন এবং টেকসই কোর ব্যাংকিং’ সূচকের ওপর ভিত্তি করে এই মান যাচাই করা হয়েছে। শুধু চারটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে ব্যাংকগুলোর রেটিং নির্ধারণ করা হয়েছে।

এগুলো হলো টেকসই অর্থায়ন সূচক, সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম, সবুজ প্রকল্পে অর্থায়ন ও টেকসই কোর ব্যাংকিং সূচক। শুধু এসব সূচকের ওপর নির্ভর করে ব্যাংকগুলোর রেটিং নির্ধারণ করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ২০২০ সালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম এবং তাদের পাঠানো তথ্য ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে রেটিং করা হয়েছে। পাশাপাশি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে ঋণের মান, মূলধন পরিস্থিতি ও এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগ যে টেকসই ব্যাংকের নাম প্রকাশ করেছে সেগুলো হলো—আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা, এক্সিম ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, দি সিটি ব্যাংক ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক।

অন্যদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে হজ ফাইন্যান্স, আইডিএলসি ফাইন্যান্স, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, সৌদি-বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড এবং ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগের মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার মোরশেদ মিল্লাত বলেন, ২০২০ সালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে প্রথম বারের মতো এ মান প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠানো তথ্য ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আটটি বিভাগের তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে এ মান নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, যেসব ব্যাংক পুরোনো ও সবুজ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে, এ তালিকায় তারাই এগিয়ে গেছে। তবে এ মান যাচাইয়ের ক্ষেত্রে একটি ব্যাংকের পুরো আর্থিক চিত্র প্রকাশ পায়নি।