Showing posts with label অর্থনীতি. Show all posts
Showing posts with label অর্থনীতি. Show all posts

Sunday, February 26, 2023

বিদেশী কোম্পানীর আগ্রাসন থেকে বিড়িশিল্প রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

বিদেশী কোম্পানীর আগ্রাসন থেকে বিড়িশিল্প রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন


ষ্টাফ রিপোর্টারঃ  উচ্চ এবং মধ্যস্তরে আন্তর্জাতিক সিগারেটের ব্র্যান্ডকে উৎপাদনে সীমাবদ্ধ রেখে নিম্নস্তরের জন্য শুধু দেশী কোম্পানিকে সিগারেট উৎপাদনের সুযোগ দেওয়ার দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন হয়েছে। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

দেশীয় সিগারেট শিল্পে কর্মরত রাজশাহী অঞ্চলের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তামাকচাষীরা এ কর্মসূচির আয়োজন করে। এসময় তারা বলেন, বর্তমানে বিদেশী কোম্পানীগুলোর একচেটিয়া আগ্রাসনে বিপন্ন হয়ে পড়েছে দেশীয় তামাক চাষীরা। সরকারের পূর্বঘোষিত নিম্নস্তরের সিগারেট কেবলমাত্র দেশীয় কোম্পানির জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। তবে তা এখনই সম্ভব না হলে, পূর্বে প্রচলিত অনুশাসন অনুযায়ী নিম্নস্তরের প্রতি শলাকা সিগারেটের দাম বহুজাতিক কোম্পানির দামের তুলনায় ৩-৫ টাকা পার্থক্য করতে হবে। শতবর্ষী তামাক শিল্পের টেকসই উন্নয়নে প্রতিযোগিতা আইনের বাস্তবায়নেরও দাবি জানান তারা।

তারা আরো বলেন, একসময় শুধু বিড়ি-সিগারেটের উৎপাদন শুরু করে দেশের অনেক কোম্পানি এখন বহুজাতিক কোম্পানিতে রূপান্তর হয়েছে। কিন্তু এ শিল্পে নতুন করে বিনিয়োগের কোন নিরাপত্তা নেই। কারণ, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডই দেশের সিগারেটের চাহিদার ৯১ শতাংশ সরবরাহ করছে। তারা এ দেশের মুনাফা তুলে নিয়ে বাইরে নিয়ে যাচ্ছে।

বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো উচ্চ ও মধ্যস্তরের বেশি দামি সিগারেটগুলো উৎপাদন ও বাজারজাত করলে তাদের সমস্যা নেই। তবে নিম্নস্তরের সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতের ক্ষমতা শুধু দেশী কোম্পানিকেই দিতে হবে। তাহলে দেশের এই শিল্প বাঁচবে। বক্তারা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে তোলা এই প্রস্তাব ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকেই কার্যকর করার দাবি জানান।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন দেশীয় সিগারেট শিল্পে কর্মরত রাজশাহী অঞ্চলের কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির আহ্বায়ক হেলালী ফারুক সভাপতিত্ব করেন। সদ্য সচিব রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিক এবং চাষিরা বক্তব্য রাখেন।

Friday, April 1, 2022

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে


বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের লোগো

 

কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। দেশের অর্থনীতি ও আর্থিক খাত শক্তিশালীকরণ এবং করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মসংস্থান অটুট রাখার লক্ষ্যে এ ঋণ দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এ ঋণের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ১২৫ কোটি টাকা।

বাংলাদেশকে ফাস্ট রিকভারি অ্যান্ড রেজিলেন্স ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিটের আওতায় বিশাল অংকের এ অর্থ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আন্তর্জাতিক এ আর্থিক সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটনে বোর্ড সভায় এ ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১ এপ্রিল) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাংক কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকবে। ভবিষ্যৎ ধাক্কাগুলোর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আর্থিক খাতের নীতিসমূহ শক্তিশালী করতে সহায়তার অংশ হিসেবে ২৫ কোটি ডলার অর্থায়ন অনুমোদন করা হয়েছে৷

এ অর্থ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়াতে এবং প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে রাজস্ব ও আর্থিক খাতের সক্ষমতা বাড়াবে। এটি দক্ষতা উন্নত করতে এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনসহ ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলোর বিরুদ্ধে টেকসই উন্নয়ন করবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেছেন, ২০২০ সাল থেকে জরুরি সহায়তা, টিকাদান এবং অন্যান্য করোনা সংকট পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশকে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থায়ন করা হয়েছে। এ ঋণে সবুজায়ন, টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার করা হবে। কম কার্বন বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করার জন্য তার নীতি এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টাকে আরও ত্বরান্বিত করবে।

এ প্রোগ্রামটি জাতীয় ট্যারিফ নীতির উন্নয়নে সহায়তা করে, যা বাণিজ্য কর আধুনিকীকরণে সহায়তা করবে। অনাবাসিক ডিজিটাল পরিষেবা সংস্থাসমূহসহ বিদেশি সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো হবে। যেমন- অনুসন্ধান, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ক্লাউড পরিষেবা সংস্থাগুলো আধুনিক হবে। ভ্যাট রিটার্ন জমা দিতে এবং অর্থ দেওয়ার কাজকে সহজ করা হবে। জাতীয় ই-গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমের সম্প্রসারিত কভারেজ সরকারি ব্যয়ের দক্ষতা বাড়াবে। এ অর্থায়ন ব্যাংক কাঠামো সংস্কারে ব্যবহার হবে। পেমেন্ট এবং সেটেলমেন্ট সিস্টেমের উন্নয়ন এবং দক্ষতা জোরদার করতে নতুন আইন প্রস্তুত করা হবে, যা ডিজিটাল এবং মোবাইল আর্থিক পরিষেবাগুলোকেও উৎসাহিত করবে। প্রোগ্রামটি বিভিন্ন পাবলিক সেভিংস সুদের হারের সমন্বয় সাপোর্ট করবে।

এ কর্মসূচি সরকারের নগদ স্থানান্তর কর্মসূচিকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে। যা ভবিষ্যতের ধাক্কা মোকাবিলায় এবং নগদ-ভিত্তিক প্রোগ্রামের জন্য সরকার-টু-ব্যক্তি পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার বাড়াবে। জরুরি সহায়তার জন্য নতুন এবং বিদ্যমান সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করে বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড়সহ জলবায়ু-সম্পর্কিত সংকটকালে আরও দ্রুত সহায়তা দেওয়ার কাজ সহজ করবে।

এছাড়াও এ কর্মসূচি বাংলাদেশকে স্বল্প-কার্বন অর্থনীতিতে উত্তরণে সহায়তা করবে। সংশোধিত জাতীয় বিল্ডিং কোড ভবনগুলোতে শক্তি দক্ষতা উন্নত করবে, যেখানে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পে পরিকল্পিত বিনিয়োগের ৮ হাজার ৪৫১ মেগাওয়াট বাতিল করার কাজকে সহায়তা করবে।

Saturday, March 26, 2022

উৎপাদন ব্যয় কমাতে জনপ্রিয় হচ্ছে সোলার সেচ পাম্প

উৎপাদন ব্যয় কমাতে জনপ্রিয় হচ্ছে সোলার সেচ পাম্প



ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন ব্যয় কমাতে বিকল্প পদ্ধতি সোলার সেচ পাম্পের মাধ্যমে সেচ সুবিধা অনেক বেশি জনপ্রিয় এখন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকের কাছে। রবি মৌসুমে বোরো ফসল উৎপাদনে সেচ একটি অন্যতম বিষয়। আর এই সেচ প্রদানের জন্য ডিজেল বা বিদ্যুৎ ব্যবহারে বোরো উৎপাদন খরচ অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। সময়ের বিবর্তনে আধুনিক হয়েছে সবকিছু। পাশাপাশি আধুনিক হয়েছে ফসল উৎপাদন পদ্ধতি ও ব্যবহার বেড়েছে সোলার সেচ পাম্পের।

ঠাকুরগাঁওয়ের মাঠে মাঠে বোরো ধান আবাদে কৃষকের ব্যস্ততা বেড়েছে। ভাল ফলন পেতে জমি পরিচর্যায় ভোর থেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে কৃষক। আগাছা তোলা, সার কীটনাশক প্রয়োগ ও সেচ দেওয়া থেকে শুরু করে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করছে কৃষক বোরো ধান উৎপাদনে। অপরদিকে বাজারে ডিজেলের দাম বৃদ্ধিসহ জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগে উৎপাদন ব্যয় কমাতে এখন সোলারে সেচ সুবিধায় অকেটাই স্বস্তি মিলেছে কৃষকের। বাড়তি খরচ বা ঝামেলা না থাকায় সোলারের দিকে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। ডিজেল চালিত মেশিনে একবিঘা জমির ধান উৎপাদনে সেচ নিতে চার হাজার টাকা খরচ হলেও সোলারে ব্যয় কমেছে অর্ধেকে।

ঠাকুরগাঁও-বালিয়াডাঙ্গী সড়কের আশপাশের জমিতে সোলার প্যানেল ব্যবহারের মাধ্যমে সেচ দিয়ে বোরো আবাদ করতে দেখা গেছে কৃষকদের। ভোগান্তি নিরসনের পাশাপাশি মাত্র দু হাজার টাকায় ইচ্ছেমত সেচ সুবিধাসহ মাঠ থেকে মেশিন চুরির ভয় কেটেছে কৃষকের।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় বোরো আবাদ হয়েছে ৬০ হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে ১৪১ টি সোলার সেচ পাম্পের সুবিধা নিচ্ছেন কৃষকরা।

সোলার পাম্পের সুবিধা নেওয়া কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, আমরা সোলারের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিচ্ছি। এতে আমাদের বেরো উৎপাদন খরচ অনেক কমে গিয়েছে। বর্তমানে ১ বিঘা জমিতে সোলার পাম্প দিয়ে সেচ দিতে খরচ হচ্ছে ২ হাজার টাকা। আবার এই টাকা পরিশোধ করতে হবে ধান কেটে বিক্রয় করার পরে।

সোলার পাম্প তৈরি ও ভাড়া দেন কৃষক সোলেয়মান আলী। তিনি বলেন, সোলারের কারণে বর্তমানে অল্প খরচে বোরো ধান রোপণ করা যাচ্ছে। শ্যালো মেশিনে তেল, মেশিন চুরি, নষ্টের ভয় ছিল ও শব্দ দূষণ হত। সোলারের কারণে এখন আর এসব নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। আমি কৃষকের উন্নয়নে নিয়মিত চিন্তা করে যাচ্ছি। বর্তমানে আমার ১৩ টি সোলার পাম্প দিয়ে বোরো সেচ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আমি এই সোলারের পরিধি আরও বাড়াতে চাই। এছাড়াও আমার কাছ থেকে অনেকে সোলার পাম্প ক্রয় করে নিয়ে যায়। মাত্র দেড় লাখ টাকায় একটি সোলার পাম্প দিয়ে সুন্দর সেচ দেওয়া সম্ভব। সরকার সহায়তা করলে আমি কৃষককে সোলার পাম্প দিয়ে আরও সহযোগিতা করতে পারব।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন বলেন, বাজারে ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে জেলার প্রায় সাত হাজার কৃষক এখন সোলার পাম্পের মাধ্যমে সেচ সুবিধা নিচ্ছেন। সোলার পাম্পের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিয়ে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এতে ডিজেল ও বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীলতা কমছে। সেই সাথে তাদের উৎপাদন খরচ কমে আসছে। যার ফলে বোরো ধান বিক্রি করে লাভবান হবেন এই জেলার কৃষকেরা।

Tuesday, March 22, 2022

স্বর্ণের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ফের কমল

স্বর্ণের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ফের কমল



স্বর্ণ


এক সপ্তাহের মাথায় দেশের বাজারে আরেক দফা কমল স্বর্ণের দাম। সোমবার (২১ মার্চ) ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

সোমবার রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার (২২ মার্চ) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হবে ভরি প্রতি ৭৭ হাজার ৯৯ টাকা, সোমবার পর্যন্ত যা ছিল ৭৮ হাজার ১৪৮ দশমিক ৮০ টাকা।

২১ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হবে ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা ভরিতে যা ছিল ৭৪ হাজার ৬৪৯ দশমিক ৬০ টাকা। অর্থাৎ, ভরিপ্রতি দাম কমল ১০৪৯ দশমিক ৭৬ টাকা।

এ দিকে, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হবে ৬৩ হাজার ১০২ টাকা ভরি দরে, সোমবার পর্যন্ত এর দাম ছিল ৬৪ হাজার ৩৫ দশমিক ৩৬ টাকা। অর্থাৎ দাম কমলো ভরিতে ৯৩৩ দশমিক ১২ টাকা।

সনাতন পদ্ধতিতে ভরিপ্রতি স্বর্ণের দাম পড়বে ৫২ হাজার ৬০৫ টাকা। সোমবার পর্যন্ত যা ৫৩ হাজার ৩৬২ দশমিক ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ভরিতে কমেছে ৭৫৮ টাকা।

অন্য দিকে, অপরিবর্তিতই থাকছে রূপার দাম। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রূপা ভরিপ্রতি ১৫১৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, ২১ ক্যারেট ১৪৩৫ টাকায়, ১৮ ক্যারেট ১২১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সনাতন পদ্ধতিতে রূপা ভরিপ্রতি ৯৩৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এক সপ্তাহ আগে গত ১৫ মার্চ স্বর্ণের দাম ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হয়েছিল।

Wednesday, March 16, 2022

 সোনার দাম কমল

সোনার দাম কমল


 

দাম কমল সোনার 

প্রতি ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে সোনার নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। ফলে দেশের বাজারে ভালো মানের সোনা ভরি প্রতি দাম কমে ৭৮ হাজার ১৫৯ টাকা দাঁড়াচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি জানানো হয়।

আজ বুধবার (১৬ মার্চ) থেকে সারা দেশে নতুন দাম অনুযায়ী স্বর্ণ কেনাবেচা করা হবে।

বাজুসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ভালো মানের ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা কিনতে খরচ পড়বে ৭৮ হাজার ১৫৯ টাকা। ২১ ক্যারেটের সোনার দাম ১০৫০ টাকা কমিয়ে ৭৪ হাজার ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

১৮ ক্যারেটের ৯৩২ টাকা কমে প্রতি ভরি সোনার দাম ৬৪ হাজার ৩৫ টাকা দাঁড়িয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম ৭০০ টাকা কমিয়ে ৫৩ হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

যদিও রূপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রূপার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রূপার দাম এক হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক হাজার ২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপার দাম ৯৩৩ টাকায় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।


এর আগে গেল ৮ মার্চ সোনার দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। মূলত সেই দামেই গতকাল পর্যন্ত ২২ ক্যারেটের সোনা ছিল ৭৯ হাজার ৩১৫ টাকা। ২১ ক্যারেটের ৭৫ হাজার ৭০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৬৪ হাজার ৯৬৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার প্রতি ভরির দাম ৫৪ হাজার ৬৩ টাকা ছিল।

Friday, March 11, 2022

‘মারাত্মক খাদ্যঝুঁকিতে পড়ছে নিম্ন আয়ের দেশগুলো’

‘মারাত্মক খাদ্যঝুঁকিতে পড়ছে নিম্ন আয়ের দেশগুলো’


বিশ্বব্যাংক

 

facebook sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
email sharing button

sharethis sharing button

                                                                     



কয়েকদিন ধরেই ইউক্রেনে সংঘাত চলছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে হামলা চালায় রাশিয়া। এই সংঘাত অব্যাহত থাকলে উচ্চমূল্যসহ নিম্ন আয়ের দেশগুলো মারাত্মক খাদ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে। এমনকি রেমিট্যান্সও কমে যাবে। এছাড়া বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটও তৈরি হবে।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য তুলে ধরেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ন্যায়সঙ্গত প্রবৃদ্ধি, অর্থ ও প্রতিষ্ঠান) ইন্দারমিট গ্রিল।

বিজ্ঞপ্তিতে ইন্দারমিট গ্রিল জানান, কিছু উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ খাদ্যের জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। ইউরোপ এবং মধ্যএশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার মুষ্টিমেয় অর্থনীতির দেশে আমদানি করা গমের ৭৫ শতাংশেরও বেশি সরবরাহ করে দেশ দুটি। সংঘাতের কারণে এই দেশগুলো রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে শস্য এবং বীজ উৎপাদন আমদানি করতে পারছে না। খাদ্য পরিবহনও ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জন্য সরবরাহে ব্যাঘাতের পাশাপাশি খাদ্যের উচ্চমূল্য, ক্ষুধা ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কারণ হতে পারে।

জ্বালানি সংকটে পড়বে বিশ্ব

রাশিয়া জ্বালানি ও খনিজ সম্পদের বাজারেও একটি প্রধান শক্তি। এটি প্রাকৃতিক গ্যাসের বাজারের এক-চতুর্থাংশ, কয়লার বাজারের ১৮ শতাংশ, প্লাটিনামের বাজারের ১৪ শতাংশ এবং অপরিশোধিত তেলের বাজারে ১১ শতাংশ অবদান রাখে। এই পণ্যগুলোর সরবরাহে বিরাট প্রভাব পড়েছে। এটি বৈশ্বিক অর্থনীতিরও ব্যাপক প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দেবে। বিশ্বব্যাংকের প্রকাশনা থেকে অনুমান করা হয়েছে যে তেল-মূল্যের ১০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। এটা চলতে থাকলে পণ্য আমদানিকারী উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশে প্রবৃদ্ধি হতাশাজনকভাবে কমবে।

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতসহ নানা কারণে গত ছয় মাসে তেলের দাম ১০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। যদি এটি স্থায়ী হয়, তবে চীন, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও তুরস্কের মতো তেল আমদানিকারক দেশগুলোতেও প্রবৃদ্ধি কমবে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ২ শতাংশ, তুরস্ক ২ থেকে ৩ শতাংশ এবং চীন ও ইন্দোনেশিয়ায় ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু সংঘাতের কারণে দেশগুলো প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারবে না।

বাড়ছে উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠী, কমবে রেমিট্যান্স

সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ২০ লাখের বেশি মানুষ ইউক্রেন থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছেন, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে বৃহত্তম গণ অভিবাসন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার আশঙ্কা করছে, খুব শিগগির শরণার্থীর সংখ্যা ৪০ লাখে উন্নীত হবে। বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর আকস্মিক আগমনকে মেনে নেওয়া আয়োজক সরকারের জন্য কঠিন। এটি জনসাধারণের অর্থায়ন ও পরিষেবা সরবরাহের ওপর চাপ সৃষ্টি করে- বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

অর্থনৈতিক মন্দা পূর্ব ইউরোপের বাইরের দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যেসব দেশ প্রচুর পরিমাণে রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ মধ্যএশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ রাশিয়া থেকে পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল- কিছু ক্ষেত্রে, এই রেমিট্যান্স দেশের জিডিপির ১০ শতাংশের মতো। মধ্যএশিয়ার অনেক দেশে সংঘাতের ফলে রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Wednesday, March 9, 2022

লাগাম টানায় পুঁজিবাজারে বড় উত্থান

লাগাম টানায় পুঁজিবাজারে বড় উত্থান



পুঁজিবাজার

                            দরপতনের লাগাম টানায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ারবাজার।

বুধবার (৯ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনকৃত অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। আর দিনশেষে মূল্যসূচক ১৫৫ পয়েন্ট বেড়েছে। এর ফলে একদিনে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ল ১১ হাজার কোটি টাকা। লেনদেনও আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে।

জানা গেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও শেয়ারবাজারে টানা পতন শুরু হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, পুরো বাজারে এক ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ও দরপতনের লাগাম টানতে মঙ্গলবার বড় দুটি সিদ্ধান্ত নেয় শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এগুলো হলো- সার্কিট ব্রেকারের (একদিনে শেয়ার দাম বৃদ্ধি বা কমার সর্বোচ্চ সীমা) সীমা কমিয়ে আনা এবং বাজার স্থিতিশীলতায় গঠিত নতুন তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ। এর ফলে মঙ্গলবারই পতন বন্ধ হয়। বুধবার পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়ায় বাজার।

একক দিন হিসেবে ডিএসইতে বুধবার ৩৭৮টি কোম্পানির ২০ কোটি ৫২ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার মোট মূল্য ৭৭৩ কোটি ১ লাখ টাকা। এরমধ্যে দাম বেড়েছে ৩৬৫টি কোম্পানির শেয়ারের, কমেছে ৩টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।


ডিএসইর ব্রড সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৫৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৬৩০ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। ডিএসই-৩০ মূল্যসূচক ৪১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪২৯ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। ডিএসইর বাজার মূলধন আগের দিনের চেয়ে বেড়ে ৫ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।

Sunday, March 6, 2022

ফের টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ফের টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ফের টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু আজ


রমজান সামনে রেখে এক কোটি নিম্নআয়ের পরিবারকে কম দামে পণ্য দেয়ার লক্ষ্যে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) রোববার (৬ মার্চ) থেকে আবার ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি শুরু করছে।

ঢাকা মহানগরে প্রতিদিন ১৫০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এই পণ্য বিক্রি করা হবে। প্রথম দফায় বিক্রি কার্যক্রম রোববার শুরু হয়ে চলবে ২৪ মার্চ পর্যন্ত। দ্বিতীয় ধাপে ২৭ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত পণ্য বিক্রি করা হবে। তবে শুক্রবার বিক্রি বন্ধ থাকবে।

ঢাকা ছাড়া অন্যসব মহানগর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হবে ১৫ মার্চ থেকে।

শনিবার (৫ মার্চ) টিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, প্রথম ধাপে আগের মতো চিনি, মশুর ডাল, পেঁয়াজ ও সয়াবিন তেল বিক্রি করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে এর সঙ্গে ছোলা বুট ও খেজুর যুক্ত হবে। এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, অসাধু চক্রকে ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে পুলিশের উপস্থিতিতে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।

এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগের নিয়মেই অর্থাৎ কোনও কার্ড ছাড়াই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের স্বল্প আয়ের ক্রেতারা টিসিবির পণ্য কিনতে পারবেন। তবে পণ্য বিক্রির স্থানগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। নিয়ম ভেঙে কেউ পণ্য নিলে জেল-জরিমানা করা হবে।

তবে এই তিন সিটির বাইরে অন্য এলাকার ক্রেতাদের টিসিবির পণ্য কেনার জন্য ফ্যামিলি কার্ডের প্রয়োজন হবে। ফ্যামিলি কার্ড তৈরির জন্য প্রতিটি জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটিতে মেয়র, জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের প্রতিনিধি, সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রতিনিধি, দুজন গণ্যমান্য ব্যক্তি, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও রাজস্ব কর্মকর্তা থাকবেন।

করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী যে তালিকার ভিত্তিতে স্বল্প আয়ের মানুষদের নগদ সহায়তা দিয়েছেন সেই তালিকার ভিত্তিতে কিছু পরিবার বাছাই করা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি ছক পাঠানো হয়েছে এই কমিটির কাছে। ছকে সুবিধাভোগীর নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র ও সিরিয়াল নম্বর উল্লেখ থাকবে। সুবিধাভোগীদের জন্য কার্ড প্রস্তুতের সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থাকবেন।


Wednesday, March 2, 2022

বিক্রি বন্ধ হচ্ছে খোলা সয়াবিন

বিক্রি বন্ধ হচ্ছে খোলা সয়াবিন

 

খোলা সয়াবিন


বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, আগামী ৩১ মে থেকে সয়াবিন এবং ৩১ ডিসেম্বর থেকে পামওয়েল খোলা বিক্রি করা যাবে না। বোতলজাত করে বিক্রি করতে হবে।

২ মার্চ বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের মজুত যথেষ্ট পরিমাণে আছে। সব আমাদের হাতে রয়েছে, কোনোটার সমস্যা নেই। হঠাৎ করে টিসিবি সিদ্ধান্ত নেয় এক কোটি মানুষকে পণ্য দেবে, সে ব্যবস্থাও তারা করেছে।

পণ্যের দাম বিষয়ে কেউ আইন মানেন না- সাংবাদিকরা মন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আরও অ্যাকটিভ (সক্রিয়) হব। ভোক্তা অধিকারকে বলব- শিল্প মন্ত্রণালয়ের যে দায়িত্ব সেটা যেন তাদের জানানো হয়। আমরাও আমাদের ব্যবস্থা নেবে।

সরকারের চেয়ে বড় হাত কারো নয়- এমন সতর্কবার্তা দিয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে টিপু মুনশি বলেন, আমরা বসতে চাই- সুবিধা দিতে চাই। কিন্তু তাই বলে এমন না তারা (ব্যবসায়ীরা) সুযোগ নেবেন। কিছুদিন আগে তারা এসেছিলেন তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে। আমরা পরিষ্কার বলে দিয়েছি- নট পসিবল (সম্ভব নয়)।

এ সময় মন্ত্রী গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, আপনাদের একটু সহযোগিতা চাই। আমাদের প্রশ্ন করেই শেষ করবেন না, আপনারা বাজারেও ঢুকে পড়েন। আপনারা কথা বলেন, স্ক্রল, পেপারে লেখেন। নির্দিষ্ট করে বলেন- ‘এটার বেশি দাম দেবেন না, সচেতন হোন’।

Tuesday, January 18, 2022

বিকাশে রেমিট্যান্স পাঠালে মিলবে বাড়তি প্রণোদনা

বিকাশে রেমিট্যান্স পাঠালে মিলবে বাড়তি প্রণোদনা

 


বিকাশে রেমিট্যান্স পাঠালে সরকারের আড়াই শতাংশের সঙ্গে বাড়তি আরও ১ শতাংশ প্রণোদনা পাওয়া যাবে। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পাওয়া যাবে এই বাড়তি প্রণোদনা। গতকাল রবিবার বিকাশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদেশ থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বৈধ উপায়ে বিকাশে রেমিট্যান্স পাঠানো আরও স্বস্তিদায়ক করতে সরকারের ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনার সঙ্গে ১ শতাংশ অতিরিক্ত ক্যাশ বোনাস দিচ্ছে বিকাশ। ১৫ হাজার টাকা বা এর চেয়ে বেশি যে কোনো পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠালে পাওয়া যাবে অতিরিক্ত এই ১ শতাংশ ক্যাশ বোনাস। সেক্ষেত্রে মোট বোনাসের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। এই অফার চলাকালে গ্রাহক প্রতি মাসে ২ বার করে সর্বোচ্চ ৮ বার অফারটি নিতে পারবেন। একজন গ্রাহক প্রতি মাসে ৬০০ টাকা করে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪০০ টাকা বোনাস উপভোগ করতে পারবেন।


প্রবাসী যে কোনো বাংলাদেশি এই অফারটি পেতে চাইলে বিকাশের অনুমোদিত এবং তালিকাভুক্ত এমটিও এবং মানি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্সের অর্থ দেশে থাকা স্বজনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে পাঠাতে পারবেন।

Wednesday, December 22, 2021

দেশের বড় কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার উদ্যোগ

দেশের বড় কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার উদ্যোগ

 

কয়েক বছরের বিপর্যয়ের ধারা কাটিয়ে অনেকটাই স্থিতিশীলতার পথে হাঁটছে দেশের পুঁজিবাজার। ছোটখাটো সংশোধনের মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজারে দৈনিক লেনদেন, মূলধন ও সূচকের পরিমাণ বাড়ছে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছে।

এই স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাইরে বড় এবং ভালো কোম্পানিগুলোর পুঁজিবাজারে নিয়ে আসা চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। শেষ পর্যন্ত বাজারে স্থিতিশীলতায় দেশের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

ডিএসই সূত্র জানিয়েছে, স্কয়ার, সিটি এবং প্রাণ আরএফএলের মতো ৯৫টি গ্রম্নপ এবং কোম্পানির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা।

সন্ধ্যায় রাজধানীর নিকুঞ্জের ডিএসই ভবনে এ বৈঠকে অনুষ্ঠিত হবে। এতে বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, কমিশনার অধ্যাপক শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ এবং বিএসইসির নির্বাহী পরিচালকরা উপস্থিত থাকবেন। ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে অলোচনা সভায় ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত এমডি, পরিচালক এবং ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

বৈঠকে এসব কোম্পানির পুঁজিবাজারে না আসার কারণ ও কোনো প্রতিবন্ধকতা রয়েছে কি না তা জানতে চাওয়া হবে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে উদ্যোক্তারা কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা চান তা নিয়েও মতামত চাওয়া হবে।

বৈঠকের বিষয়ে ডিএসইর কোম্পানি সচিব আসাদুর রহমান বলেন, বিএসইসি পুঁজিবাজারে বিদেশি কোম্পানি আনতে রোড শো করেছে। সেই আদলে বাংলাদেশের ভালো কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার জন্য তারা উদ্যোগ নিয়েছেন। তালিকাভুক্ত হতে তাদের সমস্যাগুলো কোথায় তা জেনে সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।

ডিএসইর এ বৈঠকে আমন্ত্রণ পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- টি কে গ্রম্নপ, পারটেক্স গ্রম্নপ, ট্রান্সকম গ্রম্নপ, ইনসেপটা, ডিবিএল গ্রম্নপ, আনোয়ার গ্রম্নপ, নাসা গ্রম্নপ, উত্তরা গ্রম্নপ, ওরিয়ন গ্রম্নপ, বসুন্ধরা গ্রম্নপ, বেক্সিমকো গ্রম্নপ এবং কোম্পানি। ঢাকার পর চট্টগ্রাম এবং অন্য শহরভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠীর উদ্যোক্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবে ডিএসই।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা এই খাতকে গতিশীল করে তুলেছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বহুমুখী উদ্যোগ বিনিয়োগকারীদের বাজারমুখী করছে। স্টেক হোল্ডারদের সক্রিয়তাও ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে, এই স্থিতিশীলতা ধরে রাখাই পুঁজিবাজারের নীতি-নির্ধারকদের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাইরে বড় ভালো কোম্পানিগুলোর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসা উচিত। দেশের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে পারলে এই খাতের গতি ফিরবে বলেও মনে করছেন তার।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের উন্নয়নে পুঁজিবাজার ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও শেয়ারবাজার ভূমিকা রাখতে পারে। এ খাত থেকে সরকার উন্নয়ন কর্মকান্ডে অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বিদেশি বিনিয়োগের অভাবে পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়ছে না। এই খাতে সুফল পেতে হলে দেশি-বিদেশি বড় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

দেশে অনেক ভালো কোম্পানি রয়েছে, যেগুলো পুঁজিবাজারে এলে বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবেন বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ। তিনি যায়যায়দিনকে বলেন, 'পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের বিকল্প নেই। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা অনেক ভেবেচিন্তে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেন। বেশিরভাগ সময়ই তারা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করেন। ফলে তাদের লোকসান কম হয়।'

আবু আহমেদ বলেন, 'প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে ধরে রাখতে হবে। এ জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। বাজারের পতন রোধ করতে হবে। বড় বিনিয়োগের প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসতে হবে।'

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর মিজানুর রহমান বলেন, 'আগের তুলনায় পুঁজিবাজারে ক্ষুদ্র, বড় প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। এটি ইতিবাচক। এই হার আরও বাড়াতে হবে। তাহলে বাজার স্থিতিশীল হবে। এতে বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসবে, দেশের ভালো কোম্পানিগুলোকেও আনা যাবে। '

অধ্যাপক ডক্টর মিজানুর রহমান আরও বলেন, 'এসব কোম্পানির ক্ষেত্রে তাদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা জরুরি। স্বচ্ছতার সুযোগ দিতে হবে। দ্রম্নত তালিকাভুক্তির সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু আমাদের এখানে কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে অনেক বেশি সময় নেওয়া হয়। এসব রোধ করা না গেলে ভালো কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসবে না।'

প্রায় একই কথা বলেছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক এবং ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী। তিনি বলেন, 'বিশ্বের অনেক দেশে বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত। আমাদের দেশে উদ্যোগ নেওয়া হলেও বড় কোম্পানিগুলোকে এখনো পুঁজিবাজারে আনা হয়নি। তাদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত।'

Friday, December 17, 2021

৯৩০০ কোটি ডলার তহবিল ঘোষণা বিশ্বব্যাংকের, পাবে বাংলাদেশও

৯৩০০ কোটি ডলার তহবিল ঘোষণা বিশ্বব্যাংকের, পাবে বাংলাদেশও

 

করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনীতি বিপর্যস্ত। করোনাপরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে স্বল্পআয়ের দেশগুলোকে ৯৩ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের বিশেষ আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। 

 

সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটনে বৃহস্পতিবার এ প্যাকেজের অনুমোদন দেওয়া হয়। বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংস্থাটি জানায়, বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৭৪টি স্বল্পআয়ের দেশের জন্য ৯ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থসহায়তা বরাদ্দ ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক। এটি সংস্থাটির আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) এটাই সবচেয়ে বড় অর্থ সহায়তা। বিশ্বব্যাংকের এ বরাদ্দ তহবিলের মধ্যে ২ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার দিচ্ছে উচ্চ ও মধ্যম আয়ের ৪৮টি দেশ। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পুঁজিবাজার ও বিশ্বব্যাংকের তহবিল থেকে এ অর্থ পাওয়া যাবে।

বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, এ তহবিল দেশগুলোকে মহামারি, আর্থিক ধাক্কা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলায় আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হতে সহায়তা করবে। বিশ্বজুড়ে ৭৪টি দেশ এ অর্থসহায়তা পেলেও এর প্রায় ৭০ শতাংশই আফ্রিকা মহাদেশে যাবে। 

দক্ষিণ এশিয়ায় আইডিএ’র এ তহবিল পাওয়ার যোগ্য দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। আইডিএ’র ঋণের শর্ত খুবই  রেয়াতযোগ্য। যার মানে ধারের এ অর্থে সুদ অত্যন্ত কম বা পুরোপুরি শূন্য থাকে। আর সেই শর্তগুলো নির্ধারিত হয় প্রাপক দেশগুলোর ঋণ সংকটের ঝুঁকি, মাথাপিছু আয় এবং ঋণ পাওয়ার যোগ্যতার পরিপ্রেক্ষিতে। এক্ষেত্রে ‘ব্লেন্ড ক্রেডিট’ শর্তে আইডিএ থেকে অর্থ পাবে বাংলাদেশ। 

আইডিএ তহবিল সাধারণত তিন বছর পরপর সম্পূর্ণ করা হয়। তবে করোনা মহামারির কারণে সবশেষ অর্থায়ন এক বছর এগিয়ে নেওয়া হয়েছিল, যা ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত চলবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস বলেছেন, কোভিড-১৯ সংকট থেকে পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তা করতে আমাদের অংশীদারদের এ উদ্যোগটি দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। করোনা পরবর্তী সময়ে উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং বিশ্বজুড়ে দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করতে আইডিএ’র ওপর অংশীদাররা আস্থা রাখায় আমরা কৃতজ্ঞ।

Thursday, October 21, 2021

বাংলাদেশে আরো ২৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে আরো ২৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে যুক্তরাষ্ট্র


যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি-র মাধ্যমে বাংলাদেশকে জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা ও অক্সিজেন সরবরাহ এবং টিকা নিরাপদে সংরক্ষণ, পরিবহন ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে কোল্ড চেইন সরঞ্জামের জন্য জরুরি কোভিড-১৯ এর সহায়তা হিসেবে আরো ২৫ মিলিয়ন ডলার প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ।

যুক্তরাষ্ট্রের অনুদানকৃত টিকার অতিরিক্ত, নতুন এই আর্থিক সহায়তা বাংলাদেশকে দেশব্যাপী মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যে টিকা কার্যক্রম সম্প্রসারণে সহায়তা করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবাদানকারীদের গুরুতর অসুস্থ রোগীদের আরও কার্যকরভাবে চিকিৎসা প্রদানে সক্ষম করে তুলবে এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।

মহামারীর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে মোট ১২১ মিলিয়ন আমেরিকান ডলারেরও বেশি সহায়তা করেছে এবং বাংলাদেশীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য অংশীদারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ‘আমরা আগামী কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশব্যাপী গুরুতরভাবে অসুস্থ রোগীদের স্বাস্থ্য যত্ন ও স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করতে হাসপাতালগুলোকে অক্সিজেন ও অন্যান্য বিশেষায়িত যন্ত্রপাতি দিয়ে সজ্জিত করার মাধ্যমে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের সহায়তা করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে পেরে গর্বিত।’

তিনি বলেন, এবারের এই নতুন আর্থিক সহায়তা বাংলাদেশকে এই বছরের শেষ নাগাদ দেশের ৪০ শতাংশ মানুষকে টিকাদানের লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবে।

এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দেয়া কোভিড-১৯ সহায়তার মধ্যে রয়েছে ১১.৫ মিলিয়ন ডোজ ফাইজার ও মডার্না ভ্যাকসিন অনুদান, এবং জাতীয় টিকাদান প্রচারাভিযানের জন্য বাড়তি সহায়তা।

এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএআইডি, যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট, স্টেট ডিপা‍র্টমেন্ট এবং সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সংস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য চিকিৎসা সরঞ্জাম, ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন যন্ত্রপাতি, পালস অক্সিমিটার এবং দেশব্যাপী ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে।

অর্থনীতির স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে অনেকদূর এগিয়েছে বাংলাদেশ

অর্থনীতির স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে অনেকদূর এগিয়েছে বাংলাদেশ


অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল র্বেলন, কোভিডের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ তার অর্থনীতিতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার পথে অনেকদূর এগিয়েছে।

 

জাতিসংঘের এশিয়া প্যাসিফিক আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউনেস্কাপ) সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি, দারিদ্র্যতা হ্রাস এবং উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন (এমপিএফডি) সংক্রান্ত কমিটির তৃতীয় অধিবেশন বুধবার (২০ অক্টোবর) শুরু হয়েছে। অর্থমন্ত্রী অধিবেশনে ইউনেস্কাপের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারির বিশেষ আমন্ত্রণে কিনোট স্পিকার হিসেবে যোগ দিয়ে এ কথা জানান।

এ কমিটির অধিবেশন প্রতি দু’ বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এবং এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর মন্ত্রী এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা এতে যোগ দিয়ে থাকেন।

 

ভিডিও বার্তার মাধ্যমে উপস্থাপিত মূল বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রার অবিস্মরণীয় পথ পরিক্রমার ওপর আলোকপাত করে আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, কোভিড -১৯ আমাদের উন্নয়নের পথে বিশাল চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছিল কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ তার অর্থনীতিতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার পথে অনেকদূর অগ্রসর হয়েছে।

 

মন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন যে, সময়মতো হস্তক্ষেপের কারণে যখন বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ৩ শতাংশের অধিক সংকোচন দেখা যাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ ২০২০ ও ২০২১ সালে যথাক্রমে ৩.৫ শতাংশ এবং ৫.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। সদ্য সমাপ্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের পুনরাবৃত্তি করে অর্থমন্ত্রী এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় নেতাদের প্রতি এই অঞ্চলের মানুষের জন্য সার্বজনীন এবং সাশ্রয়ী টিকা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনের মাধ্যমে বৈশ্বিক শান্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য গর্ব অনুভব করে। একইভাবে বাংলাদেশ জাতিসংঘের অন্যান্য বেসামরিক কর্মকাণ্ডেও সরাসরি অবদান রাখতে আগ্রহী।

 

অর্থমন্ত্রী প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, প্রমাণকভিত্তিক নীতি বিশ্লেষণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং চাহিদাভিত্তিক আঞ্চলিক উপদেষ্টা পরিষেবার মাধ্যমে ইউনেস্কাপ বাংলাদেশকে বিরূপ পরিবেশে টিকে থাকার সক্ষমতা তৈরি করতে এবং আঞ্চলিক সংযোগকে গভীর করতে সহায়তা করবে।

সেইসঙ্গে সব স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে সমর্থন ও বহু অংশীদারত্ব বিকাশে সহায়তা করবে।

তিনি ইউনেস্কাপের একটি বিষয়ভিত্তিক উপদেষ্টা গোষ্ঠী গঠনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং আশা করেন যে, এটি সদস্য দেশগুলোকে তাদের উপযুক্ত সামষ্টিক-অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রণয়নে সহায়তা করে এমন সামষ্টিক-অর্থনৈতিক নীতি-পরামর্শ দিতে সক্ষম হবে।

বক্তারা এজেন্ডাভিত্তিক আলোচনায় বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক নীতি এবং উদ্ভাবনী অর্থায়ন কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন যা কোভিড-১৯ এর ফলে সৃষ্ট বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজন।

বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা আর্থিক সম্পদের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগের সংযোগ সাধনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন যা তাদের অর্থনীতিকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ঘাত সহায়ক এবং টেকসই উন্নয়নের পথের দিকে রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এ সম্মেলনে মূল কমিটির আলোচনার পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনা ও সাইড ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছে, যা নিঃসন্দেহে অংশগ্রহণকারীদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করবে।

থাইল্যান্ডের অর্থমন্ত্রী আড়খোম টারম্প পিতিয়া আইসিথ, ইন্দোনেশিয়ার অর্থমন্ত্রী শ্রী মুলিয়ানি ইন্দ্রবতী, ভুটানের অর্থমন্ত্রী লিওনপো নামগে শেরিং, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী এইচ ওমর আইয়ুব খান উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য দেন।

Monday, September 20, 2021

ছয় মাসে শিল্পঋণ বিতরণ বেড়েছে ১৯ শতাংশ

ছয় মাসে শিল্পঋণ বিতরণ বেড়েছে ১৯ শতাংশ


ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শিল্প খাতে ঋণ বিতরণ বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে এ খাতে মোট এক লাখ ৯৮ হাজার ২০৮ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে বিতরণের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৬৫ হাজার ৯২০ কোটি টাকা। এ হিসাবে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৩২ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা বা ১৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। বিতরণের পাশাপাশি আদায় পরিস্থিতিরও উন্নতি হয়েছে।

সংশ্নিষ্টরা জানান, গত বছর করোনা শুরুর পর নানা অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। গত বছরের মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে মে পর্যন্ত লকডাউনের কারণে ঋণ বিতরণ এক ধরনের বন্ধ ছিল। ব্যবসা-বাণিজ্যেও চরম খারাপ অবস্থা তৈরি হয়। সে তুলনায় চলতি বছর পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। যদিও সামগ্রিকভাবে বেসরকারি খাতের ঋণ বিতরণের তেমন উন্নতি হয়নি। গত জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণ বেড়েছে মাত্র ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে শিল্পঋণ আদায় হয়েছে এক লাখ ৬৭ হাজার ১৭ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে আদায়ের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৪২ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। এ হিসাবে আদায় বেড়েছে ২৪ হাজার ৬৯৩ কোটি টাকা। ঋণ আদায় বাড়লেও মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণ ১৪ দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়ে ৯৫ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকায় ঠেকেছে। গত বছরের জুনে মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ ছিল ৮৩ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। আর বকেয়া ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৮ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় জুন প্রান্তিকে মেয়াদি ঋণ বিতরণ বেড়েছে ১১ দশমিক ৮১ শতাংশ। এর মধ্যে বড় শিল্পের মেয়াদি ঋণ বিতরণ হয়েছে ১৬ হাজার ২১৭ কোটি টাকা, যা ১৬ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি। তবে মাঝারি শিল্পে মেয়াদি ঋণ ১২ দশমিক ২২ শতাংশ কমে এক হাজার ৫৬৫ কোটি টাকায় নেমেছে। আর ক্ষুদ্র শিল্পের মেয়াদি ঋণ বিতরণ ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ কমে এক হাজার ৬৪৯ কোটি টাকায় নেমেছে।

প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় এপ্রিল-জুন সময়ে চলতি মূলধন ঋণ ১৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়ে ৮৭ হাজার ৮১১ কোটি টাকা বিতরণ হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও বৃহৎ শিল্প ছাড়া মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পে ঋণ বিতরণ কমেছে। মাঝারি শিল্পে শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ কমে সাত হাজার ৭৯৬ কোটি টাকায় নেমেছে। ক্ষুদ্র শিল্পে শূন্য দশমিক ৯৩ শতাংশ কমে ছয় হাজার ৫৯৪ কোটি টাকায় নেমেছে। তবে বড় শিল্পে ২৪ দশমিক ১৮ শতাংশ বেড়ে ৭৩ হাজার ৪২০ কোটি টাকা হয়েছে।

ছয় মাস বিবেচনায় আদায় পরিস্থিতির উন্নতি হলেও চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে আদায় ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ কমে ৮২ হাজার ২২১ কোটি টাকায় নেমেছে। প্রথম তিন মাসে যেখানে আদায়ের পরিমাণ ছিল ৮৪ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা।

ব্যাংকাররা জানান, ব্যবসা-বাণিজ্য টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সমস্যায় পড়াদের ঋণ পরিশোধে শিথিলতার প্রয়োজন আছে। তবে ঋণ পরিশোধ না করলেও খেলাপি হবে না ঢালাওভাবে এমন সুবিধার কারণে সামর্থ্য থাকার পরও অনেকে ঋণ পরিশোধ করছেন না। এমনটি না হলে আদায় পরিস্থিতির হয়তো আরও উন্নতি হতো। অবশ্য ব্যাংকগুলোর আপত্তির পরও চলতি বছর ব্যাংকের একজন গ্রাহকের যে পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করার কথা, তার ২৫ শতাংশ দিলে তাকে আর খেলাপি না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলে খেলাপিমুক্ত রাখা যাবে। এর আগে গত বছর কেউ এক টাকা না দিলেও তাকে খেলাপি করতে পারেনি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। সম্প্রতি এ রকম শিথিলতার ফলে ঋণ পরিশোধ না করার নতুন একটি পক্ষ তৈরি হচ্ছে বলে তারা মনে করেন।

Saturday, August 14, 2021

নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা ব্যবসায়ীদের

নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা ব্যবসায়ীদের


করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় চার মাস বন্ধ থাকার পর দেশের পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো নতুন সাজে অপেক্ষা করছে দর্শনার্থীর জন্য। আগামী ১৯ আগস্ট শর্তসাপেক্ষে খুলছে সব পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র। দর্শনার্থীদের পদচারণায় আবার ভাঙবে সুনসান নীরবতা। দীর্ঘদিনের নিস্তব্ধ কেন্দ্রগুলো খোলার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে কর্মচাঞ্চল্য। শেষ মুহূর্তে ধোয়ামোছা, রং করা, রাইডের যন্ত্রাংশগুলো পরীক্ষা করে নেওয়া, নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মানার কাজগুলো সেরে নিচ্ছেন সংশ্নিষ্টরা। ব্যবসায়ীদের আশা, দীর্ঘদিন ঘরে থাকা মানুষের পদচারণায় আবার জেগে উঠবে পর্যটন কেন্দ্র। দফায় দফায় দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়া ব্যবসা আবার চাঙ্গা হয়ে উঠবে। নতুন করে ঘুরে দাঁড়াবেন তারা।

করোনা মহামারির শুরুতে গত বছরের মার্চে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সব বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্র। সংক্রমণ কমলে গত বছরের ২২ আগস্ট থেকে পর্যটন কেন্দ্র খুলতে শুরু করে। এ বছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে গত এপ্রিল থেকে আবার বন্ধ হয়ে যায় পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটন ব্যবসায় জড়িত নানা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হিসাব, শুধু গত ঈদুল আজহায় ২৫০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে এ খাতে। করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বারবার অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে এ খাতের প্রায় ৪৫ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা। দীর্ঘদিন পর পর্যটন কেন্দ্র খোলার খবরে এ খাতে প্রাণ ফিরেছে। ইতোমধ্যে হোটেল ও রিসোর্টগুলোতে শুরু হয়েছে আকর্ষণীয় অফারের বিজ্ঞাপন। ট্যুর অপারেটরগুলো ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভ্রমণের অফার দিচ্ছে। দীর্ঘদিন বেকার থাকা কর্মীরা ফিরতে শুরু করেছেন কর্মস্থলে।

দীর্ঘ বিরতির পর রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানাকে নবরূপে সাজিয়ে তুলতে চলছে শেষ মুহূর্তের সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হলেও আগামী ১৯ আগস্ট খোলার বিষয়ে এখনও সরকারের কোনো নির্দেশনা পাননি বলে জানান চিড়িয়াখানার পরিচালক মো. আবদুল লতিফ। তিনি সমকালকে বলেন, নতুন করে খোলার পর যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে ব্যবস্থা করছি। আমার কাছে মন্ত্রণালয় সুপারিশ চাইলে আমি বলব, আট ঘণ্টা খোলা রাখতে। দর্শনার্থীর সংখ্যাও সীমিত করার বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, চিড়িয়াখানা বিশাল এলাকা। ১৮৬ একর জায়গায় দৈনিক ২০-২৫ হাজার মানুষ প্রবেশ করলেও তিন ফুটের বেশি দূরত্ব বজায় থাকবে। সীমিত দর্শনার্থী ও অল্প সময় খোলা রাখলে ইজারাদাররা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সীমিত দর্শনার্থীর ব্যবস্থা থাকলে ঝামেলাও বেশি হবে। বাইরে শত শত মানুষ হট্টগোল করবেন। তাদের সামলানো কঠিন হবে।

ঢাকার থিমপার্কগুলোর মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয় ফ্যান্টাসি কিংডম। ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় আধুনিক এই বিনোদন কেন্দ্র দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবার দর্শনার্থীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। সাভার নবীনগরের বারুইপাড়ার নন্দন পার্কও ইতোমধ্যে খোলার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। রাজধানীর শিশু-কিশোরদের প্রধান বিনোদন কেন্দ্র ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ডে (সাবেক শিশুমেলা) শেষ মুহূর্তের ধোয়ামোছার কাজ চলছে। এ ছাড়া বোটানিক্যাল গার্ডেন, বলধা গার্ডেন, জাতীয় জাদুঘর, শাহবাগ শিশু পার্কসহ ছোট-বড় আরও বহু বিনোদন কেন্দ্র খোলার জন্য প্রায় প্রস্তুত।

 

রাজধানীর কমিউনিটি সেন্টারগুলোতেও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে দেখা গেছে। করোনায় বন্ধ থাকা কমিউনিটি সেন্টারগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চালুর প্রস্তুতি নিয়েছে। বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টার কনভেনশন হল অ্যান্ড ক্যাটারিং অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিসিএ) সভাপতি শাহ জাকির হোসেন বলেন, করোনায় চার হাজার কমিউনিটি সেন্টার ও কনভেনশন হল বন্ধ থাকায় প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। দীর্ঘদিন পর কমিউনিটি সেন্টার খুলে দেওয়ায় তিনি সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

এদিকে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পর্যটন কেন্দ্রগুলো খোলার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মাঠ প্রশাসন।

সাগরকন্যা কুয়াকাটার হোটেল রিসোর্টগুলোতে চলছে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম মোতালেব শরিফ জানান, ১৯ আগস্ট থেকে শর্তসাপেক্ষ হোটেল-মোটেল খোলার আদেশের একটি চিঠি পেয়েছি। সে অনুযায়ী হোটেল-মোটেল খোলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ছুটি দেওয়া হয়েছে, তাদের যথাসময়ে যোগদানের জন্য বলা হয়েছে। হোটেল-মোটেলে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ মানা হবে বলেও জানান তিনি। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কুয়াকাটায় পর্যটন খাতে শতকোটি টাকার বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

রাঙামাটি আবাসিক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ইমতিয়াজ সিদ্দিক (আসাদ) জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে রাঙামাটিতে সবমিলিয়ে হোটেল-মোটেলে ক্ষতি প্রায় পাঁচ কোটি টাকার। পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার পাশাপাশি এ খাত টিকিয়ে রাখতে সরকারের প্রণোদনা দেওয়া দরকার।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম সাগর সমকালকে বলেন, ৮৫০ প্রতিষ্ঠান তাদের সংগঠনের সদস্য। এ মুহূর্তে কম মূল্যে ভালো সেবা দিয়ে অভ্যন্তরীণ পর্যটনে দেশের মানুষকে আকৃষ্ট করতে চাই। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পর্যটকদের এ বিষয়ে আমরা সচেতন করব। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা না গেলে পর্যটন কেন্দ্র খুললেও লাভ হবে না। বাংলাদেশে ট্যুর অপারেটরদের মাধ্যমে মাত্র ২০ শতাংশ পর্যটক ভ্রমণ করেন। তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সচেতন করে ট্যুর অপারেটর। কিন্তু আলাদা ভ্রমণ করা পর্যটকদের সচেতন করা কঠিন। পর্যটন শিল্পে জড়িত কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার দাবি জানান সহিদুল ইসলাম সাগর।

এদিকে, দেশের সব পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হলেও সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্র আগামী ১৯ আগস্ট খোলার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি বলে জানিয়েছে বন বিভাগ। ফলে সুন্দরবনে প্রবেশে পর্যটকদের অপেক্ষা বাড়তে পারে। এ বিষয়ে আগামী সোমবার বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ট্যুর অপারেটরদের সংগঠন আলোচনা করবে বলে জানান ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আযম ডেভিড।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে সব ধরনের মৎস্য ও কাঁকড়া শিকার বন্ধ রাখার ঘোষণা রয়েছে আগে থেকেই। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্রও পড়েছে।

Thursday, August 12, 2021

মহামারীতেও বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ

মহামারীতেও বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ


মহামারীতে নানা নেতিবাচক খবরের মধ্যেও বাংলাদেশে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)। সদ্য বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে ৩৫০ কোটি ১০ লাখ (সাড়ে ৩ বিলিয়ন) ডলারের সরাসরি এফডিআই এসেছে। আগের ২০১৯-২০ অর্থবছরে এসেছিল ৩২৩ কোটি ৩০ লাখ (৩ দশমিক ২৩ বিলিয়ন) ডলার। অর্থাৎ এক বছরে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ। এ ছাড়া গেল অর্থবছরে দেশে নিট বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৭৭ কোটি ১০ লাখ ডলার। তার আগের অর্থবছরে ১২৭ কোটি ১০ লাখ ডলার। ফলে এক বছরে নিট বিদেশি বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি ৩৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। বিভিন্ন খাতে মোট যে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আসে, তা থেকে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মুনাফার অর্থ দেশে নিয়ে যাওয়ার পর বাকি অঙ্ককে নিট এফডিআই বলা হয়।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো বেশ কিছু বাধা দূরে ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করেছে। তবে অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, অর্থায়নের সীমিত উপকরণ, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, শ্রম আইন কার্যকরে শিথিলতা এবং দুর্নীতির মতো বিষয়গুলো প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগে এখনো বড় বাধা। তাই বিনিয়োগ আকর্ষণে দেশের সংশ্লিষ্ট পদ্ধতি আরও সহজ করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সঞ্চার করতে হবে। বিদেশিদের জন্য বরাদ্দ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়েও নজর

দিতে হবে সরকারকে।

অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা বলেছেন, গত অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাতে কোরিয়া, চীন ও হংকং থেকে উল্লেখযোগ্য বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, ব্যাংক, টেলিকমিউনিকেশন খাতেও কিছু বিনিয়োগ এসেছে। এ কারণে করোনা মহামারীর মধ্যেও এফডিআই খানিকটা বেড়েছে বলে জানান তারা। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, ‘হঠাৎ করেই ২০১৯-২০ অর্থবছরে করোনা আসে। ফলে বিশ^ অর্থনীতি স্থবির হয়ে যায়। তবে আমরা এর মধ্যেও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। যেসব দেশ মূলত বিনিয়োগ করে তাদের সঙ্গে সরাসরি না পারলেও ভার্চুয়ালি যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে। যাদের বিনিয়োগ আছে তাদের সঙ্গেও নিবিড় যোগাযোগ এবং নীতি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তবে দেশে এখনো কাক্সিক্ষত বিদেশি বিনিয়োগ আসেনি। সেটি বাড়াতে হবে। বিনিয়োগ বাড়লে শুধু টাকাই আসে না, এর সঙ্গে প্রযুক্তি ও দক্ষ জনবলও কিন্তু আসে।’

গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘উন্নয়ন অন্বেষণ’-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর আমাদের সময়কে বলেন, ‘বৈশি^ক মহামারীর মধ্যে অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে। ভোগ ও বিনিয়োগ উভয়ই কমেছে। আগামীতে বিনিয়োগ ব্যয় বাড়ানোর মাধ্যমে এ সংকোচন হ্রাস এবং অর্থনীতির চাকা সচল করতে হবে। তিন কারণেই বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে নজর দিতে হবে। প্রথমত. তৈরি পোশাক খাতে ভিয়েতনাম বাংলাদেশকে অতিক্রম করেছে। দ্বিতীয়ত. কমতে শুরু করেছে মূল চালিকা শক্তি রেমিট্যান্সও। তৃতীয়. সরকারি ও বেসরকারি দেশীয় বিনিয়োগ কমেছে। এসব বিবেচনায় বিদেশি বিনিয়োগের দিকে নজর দিতে হবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ২০২০ সালে মোট বিদেশি বিনিয়োগের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে এসেছে ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ, ব্যাংকিং খাতে ১১ দশমিক ৮ শতাংশ, টেক্সটাইলে ১০ দশমিক ৬ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশনে ১০ দশমিক ১ শতাংশ, খাদ্যে ১৩ শতাংশ এবং অন্যান্য খাতে ৩৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এই এফডিআইয়ের মধ্যে ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ মূল পুঁজি, ৬১ দশমিক ১ শতাংশ মুনাফা থেকে পুনরায় বিনিয়োগ এবং ৬ শতাংশ এক কোম্পানি থেকে অন্য কোম্পানির ঋণ।

জানা যায়, ২০০৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ২৫ বছরে দেশে এফডিআই আসে মোট ২ হাজার ৫৫০ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। এর মধ্যে মূল পুঁজি এসেছে ৯১২ কোটি ১০ লাখ ডলার, যা মোট বিনিয়োগের ৩৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। মুনাফা ও ঋণ থেকে বিনিয়োগ হয়েছে বাকি ৬৪ দশমিক ২৪ শতাংশ। অর্থাৎ মূল বিনিয়োগ মাত্র এক-তৃতীয়াংশ। এই সময়ে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। তারা মোট বিনিয়োগের ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ বিনিয়োগ করেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সিঙ্গাপুর। তারা মোট বিনিয়োগের ১৬ দশমিক ১ শতাংশ করেছে। তৃতীয় অবস্থানে নেদারল্যান্ডসের বিনিয়োগ ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৬ দশমিক ৭ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ৬ দশমিক ৩ শতাংশ, চীনের ৬ দশমিক ৩ শতাংশ, মিসরের ৬ দশমিক ২ শতাংশ, যুক্তরাজ্যের ৬ দশমিক ১ শতাংশ, হংকংয়ের ৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং অন্যান্য দেশগুলোর ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ বিনিয়োগ রয়েছে।

বিডার পরিচালক মো. আরিফুল হক আমাদের সময়কে বলেন, ‘দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সেবার মানও বাড়ছে। ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত ২৪ হাজার সেবা দিয়েছে বিডা। এ ছাড়া সব কার্যক্রমের ৯৫ শতাংশ অনলাইনের আওতায় আনা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এসব উদ্যোগের ফলে আগামীতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।’