Showing posts with label কৃষি. Show all posts
Showing posts with label কৃষি. Show all posts

Wednesday, March 2, 2022

স্মার্ট কৃষি কার্ড পাচ্ছেন কোটি কৃষক

স্মার্ট কৃষি কার্ড পাচ্ছেন কোটি কৃষক


 

স্মার্ট কৃষি কার্ড


সরকার এক কোটিরও বেশি কৃষককে স্মার্ট কার্ড দেবে। দেশের ৯টি জেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকায় বসবাসকারী কৃষকরা পাবেন এ কার্ড।

কৃষকের ডিজিটাল পরিচিতি হিসেবে স্মার্ট কৃষি কার্ড ব্যবহার করে প্রতিটি কৃষকের জন্য এলাকা এবং চাহিদাভিত্তিক কৃষি সেবা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ডিজিটাল বিশ্লেষণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কৃষি তথ্যের আদান-প্রদান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া ১০৭ কোটি ৯২ লাখ ২৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘স্মার্ট কৃষি কার্ড ও ডিজিটাল কৃষি (পাইলট)’ শীর্ষক এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়সহ ১৪টি কৃষি অঞ্চলের ৯টি জেলা যেমন গোপালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, টাঙ্গাইল, বরিশাল, যশোর, দিনাজপুর, রাজশাহী, বান্দরবান ও ময়মনসিংহ জেলার সকল উপজেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।

পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, প্রকল্পের আওতায় কৃষি বাতায়নে ১ কোটি ৬২ লাখ কৃষকের ডিজিটাল প্রোফাইল প্রস্তুত করা হবে। ১ কোটি ৯ লাখ কৃষকের হাতে স্মার্ট কৃষি কার্ড দেওয়া হবে। ১ কোটি কৃষকের নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নাগরিকত্বের তথ্য যাচাই করা হবে। ৩১টি মডিউলে স্মার্ট কৃষি কার্ড ডাটাবেইজ ক্লাস্টার, কৃষক সেবা, রিপোর্টিং সফটওয়ার ও অ্যাপস প্রস্তুত করা হবে।

ডিজিটাল কৃষি ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে টিওটি প্রশিক্ষণ, অফিসার প্রশিক্ষণ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ, আইসিটি চ্যাম্পিয়ন কৃষক বা কৃষি উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ১৪টি কৃষি উদ্ভাবন শোকেসিং করা হবে এবং ৩টি জাতীয় ও ১৪টি আঞ্চলিক কর্মশালা আয়োজন করা হবে।

Sunday, February 13, 2022

মোহনপুরে হিমাগার মালিকদের বিরুদ্ধে আলুচাষিদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

মোহনপুরে হিমাগার মালিকদের বিরুদ্ধে আলুচাষিদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

 


মোঃ ফয়সাল হোসেনঃ রাজশাহীর মোহনপুরে হিমাগার মালিকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করেছেন আলুচাষিরা। রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪ টায় মৌগাছি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মোহনপুর উপজেলার আলুচাষি নুরুল ইসলাম। 

অনুষ্ঠানে কৃষকরা তাদের বক্তব্যে বলেন সম্প্রতি হিমাগার মালিকরা (কোল্ডষ্টোরেজ) এ বছর ৭০ কেজির বস্তার পরিবর্তে ৫০ কেজি আলুর বস্তা বুকিংয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। নোটিশের মাধ্যমে  জানানো হয়েছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ বস্তার আকার ছোট করার সিদ্ধান্ত নিলেও তারা বুকিং চার্জ পুর্বেরটায় বহাল রেখেছে। যার কারণে হিমাগার মালিকরা অতিরিক্ত লাভবান হলেও লোকসান গুণছেন কৃষকরা। সম্প্রতি বাজারে আলুর দাম অনেক কম। তাই দীর্ঘস্থায়ী সংরক্ষণের জন্য স্টোরজাত করতে চাইলেও অতিরিক্ত লোকসান গুণতে হচ্ছে। এজন্য তারা ৭০ কেজির বস্তায় আলু সংরক্ষণের ব্যবস্থা চালু রাখার দাবীতে সরকারের নজরদারি কামনা করেন। 

 এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-৩ আসমের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন।তিনি তার বক্তব্যে বলেন, হঠাৎ এধরণের সিদ্ধান্ত কৃষকের জন্য অমানবিক। রেসিও অনুযায়ী ভাড়া নিতে হবে এবং সকল প্রয়োজনে তিনি কৃষকদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।

এসময় আরো বক্তব্য দেন মৌগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন বিশ্বাস, তানোর উপজেলার আলু চাষি লুৎফর রহমান, মোহনপুর উপজেলার আলুচাষি আল-আমিন, মোবারক হোসেন, জাহিদুর রহমানসহ কয়েক শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।

Tuesday, September 14, 2021

ইউরিয়ার আধুনিক উৎপাদনে ৭২৪ কোটি টাকার প্রকল্প

ইউরিয়ার আধুনিক উৎপাদনে ৭২৪ কোটি টাকার প্রকল্প

 

কৃষির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইউরিয়া সার। ফসলের উৎপদন বাড়াতে এই সারের রয়েছে ব্যাপক ভূমিকা। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই ইউরিয়া সারের উৎপাদনব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। স্থাপন করা হচ্ছে ইউরিয়া ফরমালডিহাইড-৮৫ (ইউএফ-৮৫) আধুনিক প্ল্যান্ট। এজন্য ‘ইউরিয়া ফরমালডিহাইড-৮৫ (ইউএফ-৮৫) প্ল্যান্ট স্থাপন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রতিবছর ইউএফ-৮৫ আমদানি বাবদ ব্যয় হওয়া প্রায় ১১৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা সাশ্রয় হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় দৈনিক ৮০ মেট্রিক টন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ইউরিয়া ফরমালডিহাইড-৮৫ কারখানা স্থাপন করা হবে। ফলে ইউরিয়া সারের কোটিং ম্যাটেরিয়াল হিসাবে ইউএফ-৮৫ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এবং আমদানিনির্ভরতা হ্রাসের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ইউরিয়া সারের কোটিং ম্যাটেরিয়াল হিসাবে ইউএফ-৮৫ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে আমদানি নির্ভরশীলতা হ্রাস পাবে। দেশে প্রয়োজনীয় মিথানল ও ফরমালাডিহাইড জাতীয় ইন্টারমেডিয়েট প্রডাক্টের আংশিক চাহিদা পূরণ হবে। এছাড়া কৃষি উৎপাদনে গ্রানুলার ইউরিয়া সারের ব্যবহার বৃদ্ধি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিরা।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা যুগান্তরকে জানান, শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।

প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে-ফ্যাক্টরির জন্য প্রয়োজনীয় মেশিন ও যন্ত্রপাতি ক্রয়, জেনারেল কনট্রাক্টর নির্মাণ সেবা, ফ্যাক্টরির মেশিন ও যন্ত্রপাতি স্থাপন এবং টেস্ট রান ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কারিগরি সেবা দেওয়া হবে। এছাড়া ডিজাইন, কারিগরি সুপারভিশন এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনাবিষয়ক পরামর্শক সেবা, সিএমএস স্থাপন, বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও স্থানীয় প্রশিক্ষণ, ৪টি যানবাহন ক্রয়, কম্পিউটার এবং আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র ক্রয় করা হবে।

প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, প্রিল্ড ইউরিয়ার তুলনায় গুটি ইউরিয়া বা গস্খানুলার ইউরিয়া ব্যবহার সহজ, এর কার্যক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী ও অপচয় কম হয়। তাই গস্খানুলার ইউরিয়া সারের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউরিয়া মেল্টের সঙ্গে ইউএফ-৮৫ সংযোজনের মাধ্যমে গস্খানুলার ইউরিয়া তৈরি করা হয়। গস্খানুলার ইউরিয়া উৎপাদনে সাধারণত ইউএফ-৮৫ কোটিং হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

দেশে বিদ্যমান কারখানাগুলো বছরে ৩৭ লাখ ২৯ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদিত হয়। যার মধ্যে গস্খানুলার ইউরিয়া সারের পরিমাণ ২৬ লাখ ৪০ মেট্রিক টন। এ সার উৎপাদনের জন্য বছরে ২৪ হাজার মেট্রিক টন ইউএফ-৮৫ প্রয়োজন হয়। এর সম্পূর্ণ অংশই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এজন্য বছরে প্রায় ১১৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়। এ বিবেচনায় ইউরিয়া গ্রানুলেশন এবং অন্যান্য চাহিদা মেটানোর জন্য বিসিআইসির আওতায় ইউরিয়া ফরমালডিহাইড-৮৫ প্ল্যান্ট তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।

আরও বলা হয়েছে, প্রকল্পটি সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ২০১৭ সালের ১৮ মে বিসিআইসি একটি কমিটি গঠন করে। কমিটির সুপারিশের জন্য মোট ৪২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৩৬ হাজার প্রাক্কলিত ব্যয়ে বিসিআইসি প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রণয়ন করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত প্রকল্প যাচাই কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যন্ত্রপাতির মূল্য যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করে মোট ৭২৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ডিপিপি পুনর্গঠন করা হয়।

Sunday, August 29, 2021

ইলিশ উৎপাদনে শীর্ষে বাংলাদেশ

ইলিশ উৎপাদনে শীর্ষে বাংলাদেশ

 


‘বেশি বেশি মাছ চাষ করি, বেকারত্ব দূর করি” এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে নীলফামারীর ডোমারে প্রতি বছরের মতো এ বছরও (২৮ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বেলা ১১টায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও ফিশারিজ কোয়ারেন্টিন কর্মকর্তা আংগুরী বেগম বলেন, মৎস্য খাত সরকারের একটি অন্যতম অগ্রাধিকারভুক্ত খাত। বৈশ্বিক মহামারিজনিত প্রতিকূল পরিবেশে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ খাতে পরিকল্পিত উন্নয়ন বাস্তবায়িত হচ্ছে। ইলিশ উৎপাদনকারী ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে প্রথম। 

তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ আহরণে বাংলাদেশ তৃতীয়, মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে চতুর্থ এবং বদ্ধ জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে পঞ্চম। তেলাপিয়া উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ এবং এশিয়ার মধ্যে তৃতীয়। পাশাপাশি বিশ্বে সামুদ্রিক ও উপকূলীয় ক্রাস্টাশিয়া ও ফিনফিস উৎপাদনে যথাক্রমে ৮ম ও ১২তম স্থান অধিকার করেছে। তৈরি পোশাক শিল্পের পরই মৎস্য থেকে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আমিষের ৬০ শতাংশ জোগান দেয় মাছ।  

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যেমাত্রা ছিল ৪৩.৪১ লাখ মেট্রিক টন। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে অন্যতম ‍ভূমিকা ইলিশ মাছের। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৫ মেট্রিক টন।

তিনি বলেন, গত বছরও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ২০২০ প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ের মাছ আহরণে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। বিশ শতকজুড়ে পরিবেশগত নানা আন্দোলন ও সম্মেলনে আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে একের পর এক পরিবেশবান্ধব মডেল। এসব মডেলের মধ্যে গ্রিন ইকোনমি বা সবুজ অর্থনীতি মডেল ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ডোমার প্রেস ক্লাবের সভাপতি আসাদুজ্জামান চয়ন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু ফাত্তাহ কামাল পাখি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক মাসুম, অর্থ সম্পাদক রবিউল হক রতন, বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের আহবায়ক জাবেদুল ইসলাম সানবীম, সদস্য সচিব নুর কাদের ইমরানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

Friday, July 30, 2021

কৃষিতে ২৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেবে ব্যাংকগুলো

কৃষিতে ২৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেবে ব্যাংকগুলো

 


 

করোনার প্রাদুর্ভাবেও সচল রয়েছে দেশের কৃষি খাতের উৎপাদন। তাই মহামারিতে ঋণ বেশি প্রয়োজন ছিল কৃষকের। এজন্য মহামারি করোনাভাইরাসের আর্থিক সংকট মোকাবিলায় চলতি (২০২১-২২) অর্থবছরে কৃষকদের জন্য ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা ঋণ বরাদ্দ রেখেছে ব্যাংকগুলো। যা গেল অর্থবছরের চেয়ে ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেশি। ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮ শতাংশ করা হয়েছে। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকা ঋণ বরাদ্দ ছিল।

 

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) নতুন অর্থবছরের জন্য কৃষি ও পল্লী ঋণ এ নীতিমালা এবং কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ।

 

এ ছাড়া সমবায় ব্যাংকের মাধ্যমে ২৫ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ১ হাজার ৬২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করবে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে মোট ঋণের আড়াই শতাংশ কৃষি খাতে দিতে হবে।

 

পরিবেশবান্ধব ও টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলে জনসাধারণের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে উদ্ভূত সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং কৃষকদের নিকট কৃষি ঋণ সহজলভ্য করার লক্ষ্যে বর্তমান নীতিমালা ও কর্মসূচিতে বেশ কিছু সময়োপযোগী বিষয় যুক্ত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

 

এগুলো হলো: সোনালি মুরগি, মহিষ ও গাড়ল পালনের জন্য ঋণ দেওয়া হবে। একর প্রতি ঋণসীমা কৃষকদের প্রকৃত চাহিদা ও বাস্তবতার নিরিখে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি বা হ্রাস করা যাবে। মাছ চাষের ক্ষেত্রে একর প্রতি ঋণ সীমা বৃদ্ধি করা ও ব্যাংককর্তৃক বিতরণকৃত ঋণের তদারকি অধিকতর জোরদার করণের লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

 

রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো ১১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা ঋণ লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। গত অর্থবছরে এসব ব্যাংকের ঋণ অঙ্ক একই ছিল। বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ১৭ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।গত অর্থবছরে এসব ব্যাংকের ঋণ দেয়ার লক্ষ্য ছিল ১৫ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।

 

২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যাংকগুলো ২৫ হাজার ৫১১ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করেছে, যা লক্ষ্যমাত্রা ২৬,২৯২ কোটি টাকার প্রায় ৯৭.০৩ শতাংশ। এ সময় মোট ৩০ লাখ ৫৫ হাজার ১৬৬ জন কৃষক ঋণ পেয়েছেন, যার মধ্যে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব নেটওয়ার্ক ও এমএফআই লিংকেজের মাধ্যমে ১৬ লাখ ৫ হাজার ৯৪৭ জন নারী প্রায় ৯ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছেন।

 

ওই অর্থবছরে ২২ লাখ ৪৫ হাজার ৫১২ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ১৭ হাজার ৬৩৯ কোটি টাকা এবং চর, হাওর প্রভৃতি অনগ্রসর এলাকার ৭,৭৯৬ জন কৃষক প্রায় ৩৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন।

 

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় কৃষিখাতে চলতি মূলধন সরবরাহের উদ্দেশে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঅর্থায়ন স্কিম পরিচালিত হচ্ছে। স্কিমের আওতায় ৪ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও সুদ-ক্ষতি সুবিধার আওতায় তেল ও মসলা জাতীয় ফসল ও ভুট্টা ছাড়াও শস্য ও ফসল খাতে স্বল্প সুদে (৪ শতাংশ হারে) কৃষকদের ৪ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

Thursday, July 15, 2021

৫০ বছরে চালের উৎপাদন চার গুণ

৫০ বছরে চালের উৎপাদন চার গুণ

 


 

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে গত ৫০ বছরে চালের উৎপাদন বেড়েছে চার গুণের বেশি। ১৯৭১-৭২ সালে যেখানে চাল উৎপাদন ছিল মাত্র ১ কোটি মেট্রিক টন, ২০২০ সালে তা বেড়ে প্রায় ৪ কোটি মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। একসময়ের খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ  নেতৃত্বে ও দূরদর্শিতায় সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে দেশে কৃষিখাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। গতকাল বিকালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ  থেকে ভার্চুয়ালি আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) আয়োজিত ‘কভিড পরিস্থিতিতে জলবায়ুসহনশীল কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী। ‘শুধু চালের মোট উৎপাদন নয়, চালের উৎপাদনশীলতায়ও দেশ অনেক এগিয়ে গেছে’ উল্লেখ করেন মন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালে হেক্টরপ্রতি চালের গড় উৎপাদন ছিল ১.৭১ টন। আর ২০২০ সালে  হেক্টরপ্রতি চাল উৎপাদন হয়েছে গড়ে ৪ টনেরও  বেশি। কৃষি গবেষণার মাধ্যমে ফসলের উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন, কৃষি উপকরণে ভর্তুকি প্রদান ও সহজলভ্যকরণ, সারের সুষম ব্যবহার নিশ্চিতকরণ,  সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য লাগসই কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলেই এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, ইরির দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক প্রতিনিধি ড. নাফিস মিয়া ও গবেষণা পরিচালক ড. অজয়  কোলিসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি এ সংলাপে অংশগ্রহণ করেন।

Monday, April 19, 2021

হিটশকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেবে সরকার ॥ কৃষিমন্ত্রী

হিটশকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেবে সরকার ॥ কৃষিমন্ত্রী

 



বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানীরা মধ্যম মাত্রার উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল ধানের জাত আবিষ্কার করেছেন। এ জাতের ধান ফুলফোটা পর্যায়ে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের বেশি হলেও আশানুরূপ ফলন দিতে সক্ষম। বর্তমানে এ সারিটি আঞ্চলিক ফলন পরীক্ষণ পর্যায়ে রয়েছে।

সম্প্রতি দেশজুড়ে উচ্চ তাপমাত্রা বা হিটশকে ধানের ক্ষয়ক্ষতির প্রেক্ষিতে ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চতাপ সহনশীল ধানের জাত এবং এ সংক্রান্ত গবেষণার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের জন্য রবিবার বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) গবেষণা মাঠে ছুটে আসেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি। তিনি ভবিষ্যতে উচ্চ তাপমাত্রা জনিত বিপর্যয় মোকাবেলার জন্য বিজ্ঞানীরা কি ধরনের গবেষণা করছেন মূলত সে সম্পর্কে বাস্তব ধারণা লাভের জন্য অনেকটা আকস্মিকভাবেই ব্রি’র গবেষণা মাঠ পরিদর্শন করেন। এ সময় উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনসহ ব্রি’র বিভিন্ন গবেষণা প্লট সম্পর্কে মন্ত্রীকে ব্রিফ করেন মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর।

ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর কৃষি মন্ত্রীকে জানান, বৈশ্বিক আবহাওয়া পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বুঝতে পেরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০১৩ সাল থেকে উচ্চ তাপমাত্রা সহিষ্ণুজাত উদ্ভাবনের গবেষণা শুরু করে। ভারতের নাগিনা অর্থাৎ এন২২ (N22) ধানের জাতটি উচ্চ তাপমাত্রা সহিষ্ণু। ব্রি’র বিজ্ঞানীরা উচ্চ তাপমাত্রা সহিষ্ণু এ জাতের (N22) সঙ্গে বোরো মৌসুমের জনপ্রিয় আধুনিকজাত ব্রি ধান২৮ এর সঙ্করায়ণ করে মার্কার এসিসটেড ব্যাকক্রসিং পদ্ধতির মাধ্যমে একটি অগ্রগামী সারি নির্বাচন করেছেন, যা মধ্যম মাত্রার উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল। এ সারিটি বর্তমানে আঞ্চলিক ফলন পরীক্ষণ পর্যায়ে রয়েছে। ফলন ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হলে এটিকে জাত হিসেবে অনুমোদনের জন্য জাতীয় বীজ বোর্ডে আবেদন করা হবে। জাত হিসেবে অনুমোদিত হলে ফুল ফোটা পর্যায়ে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের বেশি হলেও এ সারিটি আশানুরূপ ফলন দিতে পারবে।

মন্ত্রী প্রায় ঘণ্টাধিককাল ধরে গাজীপুরে ব্রি’র গবেষণামাঠে উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল ধানের গবেষণা প্লটসহ ব্লাস্ট ও বিএলবি প্রতিরোধী ধানের অগ্রগামী জাত, ব্রি উদ্ভাবিত বাসমতি টাইপ ধান, হাইব্রিড ধানের গবেষণা এবং ব্ল্যাক রাইসসহ বিভিন্ন উন্নত গুণসম্পন্ন জাতের প্লটসমূহ পরিদর্শন করে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

পরিদর্শনকালে মন্ত্রী সুপার হাইব্রিড ইউএস৮৮ (US-88) এবং ব্রি উদ্ভাবিত বোরো মৌসুমের ব্রি হাইব্রিড ধান৩, ব্রি হাইব্রিড ধান৫, ব্রি হাইব্রিড ধান৮ (প্রস্তাবিত) এবং বহুল প্রচলিত হাইব্রিড এসএল-৮ (SL-8) ও তেজ গোল্ডের ফলনের তুলনামূলক পরীক্ষণ এবং ব্রি হাইব্রিড ধান৫ এর বীজ উৎপাদন প্লট পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি খাদ্য নিরাপত্তায় ব্রি’র বিজ্ঞানীদের প্রস্তুতি ও গবেষণা অগ্রগতি দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং ব্রি বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানান।

এসময় বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, ব্রি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. কৃষ্ণপদ হালদার, পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক এবং বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শনকালে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশজুড়ে হিটশকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তার জন্য সরকার ইতোমধ্যে ৪২কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ও সহায়তা কর্মসূচীসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে দেশের মেহনতী কৃষকভাইদের এমন বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে না হয় সেজন্যই উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল এবং রোগ ও পোকামাকড় প্রতিরোধক উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনের বিষয়ে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। মন্ত্রী বর্তমানে বৈরী পরিবেশ উপযোগী বিভিন্ন সহনশীল ও পুষ্টিগুণ সম্পন্নজাত উদ্ভাবনের গবেষণা অগ্রগতি ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা দেখে ব্রি’র বিজ্ঞানীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এসময় ব্রি’তে বহুল প্রত্যাশিত পেনশন স্কিম চালু করায় ব্রি’র সর্বস্তরের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় কৃষিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এর আগে সকালে কৃষিমন্ত্রী গাজীপুরের নীলের পাড়ায় কম্বাইন হার্ভেস্টারের মাধ্যমে স্কয়ার হসপিটালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ সানোয়ার হোসেনের আবাদকৃত ব্রি ধান৫০ (বাংলামতি) এর শস্য কর্তন প্রত্যক্ষ করেন।

Sunday, April 18, 2021

তাড়াশে ভর্তুকিতে ধানকাটার যন্ত্র বিতরণ

তাড়াশে ভর্তুকিতে ধানকাটার যন্ত্র বিতরণ

 



সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের উন্নয়ন সহায়তা কার্যক্রমের আওতায়, অর্ধেক মূল্যে ভর্তুকিতে ধানকাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার কৃষকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ শনিবার বিকেল পাঁচটায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলার তালম গ্রামের কৃষক মো. আতাহার আলীর হাতে এ কৃষি যন্ত্রের চাবি তুলে দিয়ে উক্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ। এর পর আরো ৭টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. মনিরুজামান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেজবাউল করিম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খাঁন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লূৎফুন নাহার লূনা, তাড়াশ সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো .বাবুল শেখ, বারুহাস ইউপি,চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন মুক্তা, দেশীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস, উপজেলা কৃষি সম্পসারণ কর্মকর্তা নাগিব মাহফুজ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুর-মামুনসহ অন্যান্যরা।

এ সময় এমপি আজিজ বলেন, মেটাল এগ্রো লিমিটেডের ধান কাটার এ মেশিনটির মূল্য ২৩ লক্ষ পঞাশ হাজার টাকা। সরকার কৃষি প্রণোদনার আওতায় অর্ধেক মূল্যে কৃষককে ভতুর্কি দিয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমে আটটি ধানকাটার কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণ করা হচ্ছে। যা এ অঞ্চলের কৃষককে সাশ্রয়ী মূল্যে ধান কাটতে সহায়তা করবে।

Tuesday, April 13, 2021

পণ্য ও পার্সেল পরিবহনে ৬ রুটে ৮টি বিশেষ ট্রেন

পণ্য ও পার্সেল পরিবহনে ৬ রুটে ৮টি বিশেষ ট্রেন

 


 

বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে কৃষিজাত পণ্য ও পার্সেল মালামাল পরিবহনের সুবিধার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ে ৬টি রুটে ৮টি বিশেষ পার্শেল ট্রেন চালু করবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা জানান।

রেলমন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন সময়ে পণ্যবাহী ট্রেনের পাশাপাশি কৃষিজাত পণ্য ও মালামাল পরিবহনের সুবিধার্থে বুধবার থেকে ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রামসহ ৬টি রুটে ৮টি বিশেষ পার্সেল ট্রেন চালু করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। 

মন্ত্রী বলেন, এসকল রুটে পার্সেল ট্রেন চালু হলে ট্রাকের বিকল্প হিসেবে ট্রেনে কৃষিপণ্য পরিবহন করতে পারবেন কৃষকরা।

Wednesday, April 7, 2021

সোয়া ৩ হাজার কোটি টাকার কৃষিযন্ত্র বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন

সোয়া ৩ হাজার কোটি টাকার কৃষিযন্ত্র বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন

 


 

৩ হাজার ২০ কোটি টাকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে কৃষকদের মধ্যে কম্বাইন হারভেস্টার, রিপারসহ বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র বিতরণ কার্যত্রম উদ্বোধন করেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সচিবালয় থেকে ১৩টি স্পটে এই কৃষিযন্ত্র বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী।

চলতি অর্থবছরে (২০২০-২১) এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ৫০০টি উপজেলায় এক হাজার ৬১৭টি কম্বাইন হারভেস্টার, ৭০১টি রিপার, ১৮৪টি রাইস ট্রান্সপ্লান্টারসহ মোট ৫ হাজার ৭৭৬টি কৃষিযন্ত্র বিতরণ করা হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমরা যে কৃষকদের কৃষিযন্ত্র দিচ্ছি এটি কৃষিক্ষেত্রে সরকারের নতুন একটি অধ্যায়। ১০/১৫ বছর আগেও দেশে চাষাবাদ, মাড়াইসহ সব কর্মকাণ্ড হতো গরু দিয়ে। এটার পরিবর্তন শুরু হয়েছে। তবে ধান কাটা ও ধান লাগানোর কাজটি এখনও মানুষ করে থাকেন। আমরা এটার একটা পরিবর্তন চাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেধের কৃষিতে অভূতপূর্ব একটি পরিবর্তন হয়েছে, সেই ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে একটি নতুন প্রকল্প শুরু করেছি। যে প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষিযন্ত্রপাতি দিচ্ছি। এগুলো দেব প্রণোদনার মাধ্যমে। আমরা প্রণোদনা দেব একটি যন্ত্রের মূল্যের ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ। বাকিটা দেবেন কৃষক।’

ফসল ফলানো ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কৃষিযন্ত্রে সরকার ৭০ ভাগ প্রণোদনা দিচ্ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ৫ বছর আমরা এই প্রণোদনা দেব, আজকে এটা শুরু হলো। আমি সকলকে বলতে চাই, শুরুতে সকলকে দিতে পারছি না। এই যে শুরু হলো এটা অব্যাহত থাকবে।’

‘বাংলাদেশের কৃষিকে শিল্পোন্নত পশ্চিমা দেশের মতো আধুনিক করব। বাংলাদেশের কৃষিকে আরা যান্ত্রিকীকরণ করব, বাংলাদেশের কৃষিকে আমরা বাণিজ্যিকীকরণ করব।’

হাওর এলাকায় ধান চাষ ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এবারও আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। আমি মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মকর্তাদের বলব সর্বাত্মক প্রস্তুতি আপনারা নেবেন। যে কোনোভাবেই হোক না কেন, আমরা যাতে ধানটা ঘরে তুলতে পারি।’

হাওরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মূল্যায়নের চেষ্টা করব

 

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমোদের প্রতিমন্ত্রী (সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী) মহোদয় বলেছেন হাওরে একটা অস্বাভাবিক গরম আবহাওয়া আসছে, অনেক ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে। বেশি ক্ষতি হয়েছে। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে আমরা এটা জানি, আমরা খবর নিচ্ছি। বিশেষজ্ঞরা যাচ্ছেন। আমাদের সচিবও যাবেন।’

তিনি বলেন, ‘চাষিরা যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, আমরা এটা অবশ্যই মূল্যায়ন করব। যতটা পারি তাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।’

অনুষ্ঠানে নেত্রকোণা প্রান্তে যুক্ত ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলামসহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন অন্যান্য দফতর ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা অনলাইনে যুক্ত থেকে বক্তব্য দেন।