Showing posts with label ধর্ম. Show all posts
Showing posts with label ধর্ম. Show all posts

Saturday, March 26, 2022

পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই ওমরাহ করতে পারবেন নারীরা

পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই ওমরাহ করতে পারবেন নারীরা

নারীদের ওমরাহ্‌ পালন


কোনও পুরুষ অভিভাবক বা মাহরাম ছাড়াই ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী নারীদের ওমরাহ পালনের অনুমতি দেবে সৌদি আরব। তবে দীর্ঘদিনের পুরনো এই রীতি বাতিল করে নারীদের ওমরাহ পালনের জন্য একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সেটি হলো একটি দলের অংশ হিসাবে ওমরাহ পালনে যেতে হবে নারীদের।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওমরাহ বা হজ যাত্রার জন্য আবেদন করা নারীদের আংশিকভাবে টিকা নেওয়া থাকতে হবে। অর্থাৎ কমপক্ষে ১ ডোজ টিকা নিতে হবে তাদের। এছাড়া কোনো ধরনের অসুস্থতা থাকা যাবে না।

দেশটির এই মন্ত্রণালয় বলেছে, সৌদি আরবে বসবাসরত এবং সৌদি নাগরিক, যারা গত ৫ বছরে হজ করেননি তারা চলতি বছরে হজের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।

গত বছর সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে সব বয়সী নারীদের ‌‌‘মাহরাম’ ছাড়াই হজ পালনের অনুমতি দেয়। তবে নারীদের অবশ্যই একটি দলের অংশ হতে হবে বলে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়।

তেল-নির্ভর অর্থনীতি থেকে রক্ষণশীল সৌদি আরবকে বের করে আনতে ব্যাপক সামাজিক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। জ্বালানি তেল বেচে রাজকীয় জীবনযাপনের যে আয়েশ দেশটি এতদিন ভোগ করেছে তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই সৌদির সমাজে রূপান্তর শুরু করেছেন তিনি।

পশ্চিমা দুনিয়ায় এমবিএস নামে পরিচিত মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতায় আসার পর সৌদি আরবে নারীদের প্রথমবারের মতো গাড়ি চালানো এবং পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।

Thursday, March 24, 2022

এক লাখ ১৮ হাজার ৯২৪ জন হজযাত্রীর ভিসা অনুমোদন

এক লাখ ১৮ হাজার ৯২৪ জন হজযাত্রীর ভিসা অনুমোদন

 



সৌদি কর্তৃপক্ষ গত সোমবার পর্যন্ত এক লাখ ১৮ হাজার ৯২৪ জন হজযাত্রীর ভিসা অনুমোদন করেছে। ঢাকায় দেশটির দূতাবাস জানিয়েছে, তাদের কাছে জমা হওয়া আর কোনো আবেদন অনিষ্পন্ন অবস্থায় নেই। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। এর আগে গত রবিবার হাইকোর্ট হজ গমনেচ্ছুদের ভিসাসংক্রান্ত জটিলতা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিরসন করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন।শেষ মুহূর্তে এসে হজ ফ্লাইটগুলোতে যাত্রী বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ার লাইনসের ১০টি ফ্লাইটে চার হাজার ৯৪১ জন সৌদি আরবে গেছে। সোমবার গেছে দুই হাজার ৯৮৬ জন। তার আগের দিন গেছে দুই হাজার ৫৪৪ জন। কম সময় সৌদি আরবে রেখে হজ করিয়ে আনতে পারলে বাড়িভাড়ার টাকা কম লাগব। এতে লাভ বেশি হবে। হজ এজেন্সিগুলোর এই অতিলোভের কারণে দেখা দিয়েছে এই বিপত্তি।যাত্রীর অভাবে অনেক ফ্লাইট খালি গেছে। বেশ কিছু ফ্লাইট বাতিলও হয়েছে। পরিস্থিতি যা, তাতে আগামী ২৬ তারিখ পর্যন্ত ফুল ফ্লাইট গেলেও যেতে পারবে আরো ৪৫ হাজার জনের মতো হজযাত্রী। কিন্তু এখনো যাওয়ার অপেক্ষায় প্রায় ৬০ হাজার জন।ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল জলিল এ বিষয়ে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখন যে অবস্থা তাতে হয়তো সামনে কিছুটা সমস্যা হতেও পারে। আশা করছি, এখন থেকে আর কোনো ফ্লাইট খালি যাবে না। ’ হজ পরিচালকের অনিয়ম বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ অনিয়ম করলে তদন্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নিযুক্ত হজ ওয়েবসাইট পরিচালনাকারী সংস্থা বিজনেস অটোমেশনের পরিচালক সোয়েব আহমেদ কালের কণ্ঠকে জানান, গতকাল ১৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভোররাত পর্যন্ত ৬৮ হাজার ১৫৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও সৌদি এয়ারলাইনসের মোট ২০১টি ফ্লাইটে এসব হজযাত্রী গেছে। ২৭টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার কথা।সংকট নিরসনে গতকাল নির্বাহী কমিটির সভা ডাকে হাব। এ বিষয়ে সংগঠনটির মহাসচিব সাহাদত হোসেন তসলিম কালের কণ্ঠকে বলেন, হজ এজেন্সি মালিকদের সঙ্গে বসে একটি উপায় বের করার চেষ্টা চলছে। সভায় কী সিদ্ধান্ত হয়েছে তা অবশ্য তিনি জানাননি।১৪ হজযাত্রীর মৃত্যু : মক্কায় আরো এক বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন। তাঁর নাম মো. আবদুর রাজ্জাক। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৪ বাংলাদেশির মৃত্যু হলো। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ১৩ আর নারী একজন।

Thursday, March 3, 2022

পবিত্র শবে বরাত ১৮ মার্চ

পবিত্র শবে বরাত ১৮ মার্চ

 



বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এ জন্য সোমবার (৪ মার্চ) রজব মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (৫ মার্চ) থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে। সেই হিসেবে আগামী ১৮ মার্চ শুক্রবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবেবরাত পালিত হবে।

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এক সিদ্ধান্তে বিয়ষটি জানানো হয়েছে। 

মহিমান্বিত শবে বরাতের রাতে সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ লাভের আশায় বেশি বেশি নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন থাকবেন। দিনে রোজা রাখবেন অনেকে। দান-খয়রাত করবেন। বিগত জীবনের পাপ মার্জনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে হাত তুলবেন আল্লাহ দরবারে।

Thursday, October 21, 2021

একই দিনে উদ্‌যাপিত হলো তিন ধর্মের উৎসব

একই দিনে উদ্‌যাপিত হলো তিন ধর্মের উৎসব


দেশে একইসাথে মুসলিমদের ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমা উদ্‌যাপিত হয়েছে। সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার কয়েক দিন পর বুধবার ধর্মীয় উৎসবগুলো উদ্‌যাপিত হলো।

বাংলাদেশে আজ ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে হাজার হাজার মুসলিম আন্তঃধর্মীয় ঐক্য বজায় রাখার শপথ নিয়েছে।

মাইজভান্ডারি দরবার শরীফ আয়োজিত ধর্মীয় সমাবেশে অংশ গ্রহণকারীরা হাত তুলে বলেন, ‘আমরা ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাকে মেনে নেব না।’

সমাবেশে আলেম ও সুফিদের পাশাপাশি মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, বিদেশি কূটনীতিক ও সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন। 

দরবার শরীফের বর্তমান নেতা সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ সমাবেশে শপথবাক্য পরিচালনা করেন।

তিনি বলেন, এ বছর মিলাদুন্নবী কোরআনের নির্দেশনা ও নবী সা. এর শিক্ষার সাথে সংগতি রেখে আন্তঃধর্মীয় ঐক্যকে সমুন্নত রাখার এক অসাধারণ সুযোগ নিয়ে এসেছে।

রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-মহাসচিব ড. হাছান মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক, কল্যাণ পার্টির সভাপতি অব. মেজর জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম সভায় বক্তব্য রাখেন। ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিরাও সমাবেশে যোগ দেন।

সমাবেশে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ ফরিদুল হক খান পীরগঞ্জ থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন। 

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ থেকে সমাবেশটি রাজপথে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। এতে অংশগ্রহণকারীদের হাতে মহানবী সা. এর সর্বজনীন শান্তি ও ঐক্যের বাণী সংবলিত প্ল্যাকার্ড বহন করে।

আহমেদ বলেন, কোরআন ও মহানবী সা. এর অনুসারী মুসলিমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বাধ্য। অন্য ধর্মের উপাসনালয়ে হামলা করা মুসলিমদের জন্য হারাম। 

তিনি নতুন করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে যেতে পারে এমন কোন মন্তব্য না করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে- (যা ইসলামে স্পষ্টত হারাম) যারা সাম্প্রতিক সহিংসতার সাথে জড়িত, সে সব দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

দেশব্যাপী মুসলিমরা ঐতিহ্যগতভাবে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা. এর জীবনী, ভূমিকা তাঁর আধ্যাত্মিক শিক্ষা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী উদ্‌যাপন করেন।

হিন্দুরা বার্ষিক কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা উদ্‌যাপন করেছেন। পূজাটি তাদের নিজ গৃহে প্রতি দিনের প্রার্থনার মতোই করা হয়। বৌদ্ধরা বুদ্ধের অহিংস শিক্ষার বাণী আলোচনার মাধ্যমে বার্ষিক প্রবারণা পূর্ণিমা উদ্‌যাপন করেছেন। 

হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা কাজল দেবনাথ বাসসকে বলেন, ‘একই দিনে একই স্থানে তিন ধর্মের ধর্মীয় উৎসব উদ্‌যাপন একটি কাকতালীয় ব্যাপার। কিন্তু আমি এটিকে আন্তঃধর্মীয় ঐক্যকে সমুন্নত রাখার  ইঙ্গিত হিসেবে দেখি। কারণ আমরা সবাই একই স্রষ্টার সৃষ্টি। তিনিই আমাদের সবার প্রভু।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই কাকতালীয় ঘটনা থেকে শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থানের চেতনায় অনুপ্রাণিত হতে চাই।’

৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে মানবজাতির জন্য শান্তির বারতা নিয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা. জন্মগ্রহণ করেন। এ উপলক্ষেই মিলাদুন্নবী উদ্‌যাপন করা হয়।

প্রতি বছর হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার পর লক্ষ্মীপূজা উদ্‌যাপন করা হয়। হিন্দু ধর্মশাস্ত্র অনুযায়ী বিষ্ণুর স্ত্রী লক্ষ্মী সৌন্দর্য ও ধনের দেবী।

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রবারণা পূর্ণিমাও উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্‌যাপিত হয়। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা তাদের তিন মাসব্যাপী নির্জনবাসের পরিসমাপ্তি ঘটান।

Saturday, August 21, 2021

আশুরার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে শান্তিপূর্ণ দেশ গড়ার আহ্বান

আশুরার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে শান্তিপূর্ণ দেশ গড়ার আহ্বান

 

পবিত্র আশুরার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে জাতীয় জীবনে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ নিয়ে বৈষম্যহীন, সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আজ শুক্রবার পবিত্র আশুরা উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পবিত্র আশুরা অত্যন্ত শোকাবহ, তাৎপর্যপূর্ণ ও মহিমান্বিত একটি দিন। বিভিন্ন কারণে এ দিনটি বিশ্বের মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, পবিত্র ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ। হিজরি ৬১ সালের ১০ মহরম মহানবী হযরত মুহম্মদ (সঃ) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) ও তার পরিবারবর্গ কারবালা প্রান্তরে শাহাদতবরণ করেন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় তাদের এ আত্মত্যাগ মুসলিম উম্মাহর জন্য এক উজ্জ্বল ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এক সংকটময় সময়ে আশুরা পালন করছি। করোনাভাইরাস সমগ্র বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে। আমাদের সরকার এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা জনগণকে সকল সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। আল্লাহ বিপদে মানুষের ধৈর্য পরীক্ষা করেন। এসময় সকলকে অসীম ধৈর্য নিয়ে সহনশীল ও সহানুভূতিশীল মনে একে অপরকে সাহায্য করে যেতে হবে।’

Sunday, July 25, 2021

অক্সিজেন এক্সপ্রেসে’ ভারত থেকে এলো ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন

অক্সিজেন এক্সপ্রেসে’ ভারত থেকে এলো ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন

 

দুই শ মেট্রিক টন তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন (এলএমও) নিয়ে ভারতীয় রেলওয়ের বিশেষ ট্রেন ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ গতকাল শনিবার রাতে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। এত দিন ভারত থেকে সড়কপথে ট্যাংকারে করে আনা হতো এলএমও। এই প্রথম ১০টি কনটেইনারে ২০০ মেট্রিক টন এলএমও নিয়ে এলো অক্সিজেন এক্সপ্রেস। 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জরুরি সেবায় দেশটিতে গত ২৪ এপ্রিল ওই অক্সিজেন এক্সপ্রেস চালু করা হয়। এ পর্যন্ত ৪৮০টি অক্সিজেন এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়েছে। এই প্রথম কোনো প্রতিবেশী দেশে ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ পাঠাল ভারত সরকার। এর ফলে দ্রুত ও স্বল্প খরচে অক্সিজেন পৌঁছে যাবে বিভিন্ন হাসপাতালে। এই চালানটি বাংলাদেশের তরল মেডিক্যাল অক্সিজেনের প্রয়োজনীয় মজুদ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে।

এর আগে ভারতের তথ্য অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, শনিবার সকালে অক্সিজেন এক্সপ্রেসে ১০টি কনটেইনারে ২০০ মেট্রিক টন এলএমও লোডিং সম্পন্ন হয়। পরে বিশেষ ট্রেনটি বেনাপোল বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়।

ট্রেনটি গতকাল রাত ১০টায় বেনাপোল রেলস্টেশনে এসে পৌঁছে। কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সেটি বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা। সেখানে খালি করে ট্রেনটি আবার ফিরে যাবে ভারতে। অক্সিজেনের আমদানিকারক হলো লিন্ডে বাংলাদেশ। রপ্তানিকারকও লিন্ডে ইন্ডিয়া। বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স সারথী এন্টারপ্রাইজ।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার কল্যাণ মিত্র জানান, অক্সিজেনবাহী ভারতীয় ট্রেনটি বেনাপোল বন্দরের রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে খালাস দেওয়া হবে। ঈদের ছুটির মধ্যে অক্সিজেনসহ জরুরি সামগ্রী আমদানিতে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতায় কাস্টমস সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। 

উল্লেখ্য, ঈদের ছুটির মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় গত ২১ জুলাই বিকেলে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হয় ১৮০ মেট্রিক টন অক্সিজেন। দেশে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেনের চাহিদা বাড়ায় বাংলাদেশের আমদানিকারকরা ১১টি ট্যাংকারে এই অক্সিজেন আমদানি করেন। 

Wednesday, July 21, 2021

কোরবানির মর্মার্থ অনুধাবন করে মানুষের পাশে দাঁড়ান: রাষ্ট্রপতি

কোরবানির মর্মার্থ অনুধাবন করে মানুষের পাশে দাঁড়ান: রাষ্ট্রপতি

 



করোনা মহামারির এ কঠিন সময়ে কোরবানির মর্মার্থ অনুধাবন করে সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হয়ে মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান। এ সময় পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলিম ভাইবোনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান।

তিনি বলেন, মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। ‘আজহা’ অর্থ কোরবানি বা উৎসর্গ করা। ঈদুল আজহা উৎসবের সাথে মিশে আছে চরম ত্যাগ ও প্রভুপ্রেমের পরাকাষ্ঠা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ) কে কোরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়ার মনোভাব ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়।’

আবদুল হামিদ বলেন, এ বছর এমন একটা সময়ে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে যখন বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে চরমভাবে বিপর্যস্থ। করোনার কারণে দেশের জনগণের জীবন ও জীবিকা আজ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। জীবন বাঁচানো প্রথম অগ্রাধিকার হলেও জীবন বাঁচিয়ে রাখতে জীবিকার গুরুত্বও অনস্বীকার্য। কঠিন এ সময়ে তিনি দেশের আপামর জনগণের প্রতি কোরবানির মর্মার্থ অনুধাবন করে সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হয়ে মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান। একই সাথে তিনি দেশবাসীর প্রতি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে ঈদুল আজহা উদযাপনের আহবান জানান। তিনি বলেন, ‘ত্যাগের শিক্ষা ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলিত হলেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ। মহান আল্লাহ মহামারি করোনার হাত থেকে সবাইকে করুন, আমিন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান আল্লাহর নিকট কোরবানি কবুল হওয়ার জন্য শুদ্ধ নিয়ত ও উপার্জন থাকা আবশ্যক। সরকার নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করে এবং কোরবানির বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ বন্ধে সকলে সচেষ্ট থাকবেন বলে তিনি আমি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের আদর্শ।

Wednesday, April 21, 2021

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত ও মুনাজাত

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত ও মুনাজাত

 

নামাজ ইসলাম ধর্মের প্রধান ইবাদত। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত (নির্দিষ্ট নামাযের নির্দিষ্ট সময়) নামাজ পড়া প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক বা ফরয‌। নামায ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। শাহাদাহ্‌ বা বিশ্বাসের পর নামাযই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। তাই সকলের জন্য সঠিক ভাবে নামাজ আদায় করা আবশ্যক। জেনে নিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত ও বাংলায় মোনাজাত।

সালাতুল ফজর
ফজরে প্রথমে দুই রাকাআত সুন্নাত এবং পরে দুই রাকাআত ফরজ।

সুন্নত নামাজের নিয়ত: নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি, সুন্নাতু রাসুলিল্লা-হি তাআলা মুতাও য়াজজিহান্ ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আক্বার।

ফরজ নামাজের নিয়ত : নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি, ফারজুল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

সালাতুল জোহর
যুহরের নামাজ প্রথমে চার রাকাআত সুন্নাত। তারপর চার রাকাআত ফরজ এবং তারপর দুই রাকাআত সুন্নাত। এ দশ রাকাআত পড়া উত্তম। কেউ কেউ সর্বশেষ দুই রাকআত নফল নামাজও পড়ে। এ হিসেবে জোহরের নামাজ ১২ রাকাআত আদায় করা হয়।

সুন্নত নামাজের নিয়ত: নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-তাআলা আরবাআ রাকয়াতি সালাতিজ জোহরি সুন্নাতু রাসুলিল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

ফরজ নামাজের নিয়ত: নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা আরবাআ রাকয়াতি সালাতিজ জোহরি ফারজুল্লাহি তাআলঅ মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

সুন্নত নামাজের নিয়ত : (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকায়াতাই সালাতিজ জোহরি সুন্নাতি রাসূলিল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

সালাতুল আসর
আসরের নামাজ চার রাকাআত পড়া ফরজ। কেউ কেউ ফরজের পূর্বে চার রাকাআত সুন্নাত নামাজ পড়ে থাকে।

ফরজ নামাযের নিয়ত: চার রাকায়াত ফরজ নামাযের নিয়ত নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা আরবাআ রাকায়াতি সালাতিল আছরি ফারজুল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)

সালাতুল মাগরিব
মাগরিবে প্রথম তিন রাকাআত ফরজ। তারপর দুই রাকাআত সুন্নাত। কেউ কেউ সুন্নাতের পর দুই রাকাআত নফল পড়ে থাকে।

ফরজ নামাযের নিয়ত : নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা ছালাছা রাকয়াতি সালাতিল মাগরিব ফারজুল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

সুন্নাত নামাযের নিয়ত : নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল মাগরিবি সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

সালাতুল ইশা
ইশার নামাজে চার রাকাআত ফরজ। তারপর দুই রাকাআত সুন্নাত। অতপর তিন রাকাআত বিতর। বিতর পড়া ওয়াজিব। অনেকে ফরজের পূর্বে চার রাকাআত সুন্নাত এবং বিতরের পর দুই রাকাআত নফলও নামাজ পড়ে থাকে।

চার রাকায়াত ফরজ নামাজের নিয়ত : নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা আরবাআ রাকয়াতি এশায়ি ফারজুল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

সুন্নাত নামাজের নিয়ত: নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকায়াতি সালাতিল এশায়ি সুন্নাতু রাসুূলিল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

তিন রাকায়াত বেতের নামাজের নিয়ত: নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা ছালাছা রাকায়াতি সালাতিল বিতরি ওয়াজিবুল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

মোনাজাত 
রাব্বানা আ-তিনা ফিদ্দুনইয়া হাসানাওঁ ওয়াফিল আখিরাতি হাছানাতাওঁ ওয়াকিনা আজাবান্নার। ওয়া সাল্লাল্লাহু- তাআলা আলা খাইরি খালক্বিহী মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আ-লিহি ওয়াআছহাবিহী আজমায়ীন। বিরাহমাতিকা ইয়া আরিহামার রাহিমীন।

পরিশেষে : সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে ফজর ৪ রাকাআত; জোহর ১০ রাকাআত; আসর ৪ রাকাআত, মাগরিব ৫ রাকাআত এবং ইশার ৯ রাকাআত নামাজ যথাযথ আদায়ে যত্নবান হওয়া আবশ্যক। পাশাপাশি প্রত্যেক ওয়াক্তের আগে পরের সুন্নাত ও নফল আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Monday, March 29, 2021

আজ পবিত্র শবে বরাত

আজ পবিত্র শবে বরাত

 


আজ পবিত্র শবে বরাত

অনলাইন ডেস্ক: আজ পবিত্র শবে বরাত। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় দিবাগত রাতে মহান আল্লাহর রহমত কামনায় ‘নফল ইবাদত-বন্দেগীর’ মাধ্যমে পবিত্র শবে বরাত উদযাপন করবেন।মহিমান্বিত এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ লাভের আশায় বেশি বেশি নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন থাকবেন। অনেকে রোজা রাখেন, দান-খয়রাত করেন। অতীতের গুনাহের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করবেন।
ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি হালুয়া, ফিরনি, রুটিসহ হরেক রকমের উপাদেয় খাবার তৈরি করা হবে। এসব খাবার বিতরণ করা হবে আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে। অনেকে রাতভর ইবাদত করে ভোরে কবরস্থানে যাবেন। চিরনিদ্রায় শায়িত আপনজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করবেন।পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন।পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ‘শবেবরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।এদিকে পবিত্র শবে বরাতে আতশবাজি, পটকাবাজি নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি জানায়, শবে বরাতের পবিত্রতা রক্ষার্থে এবং সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন নিশ্চিত করতে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি, পটকাবাজি, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

 

Wednesday, March 17, 2021

বান্দার উপর আল্লাহর হক এবং আল্লাহর উপর বান্দার হক কী?

বান্দার উপর আল্লাহর হক এবং আল্লাহর উপর বান্দার হক কী?


মানুষের ওপর যেমন আল্লাহর হক রয়েছে তেমনি আল্লাহর ওপরও মানুষের হক বা অধিকার রয়েছে। এ অধিকারের বিষয়ে যথাযথ দায়িত্ব পালন করা বান্দার একান্ত কাজ।

আল্লাহ তাআলা মানুষকে তার নির্দেশ মতো কাজ করার কথা বলেছেন। এ নির্দেশ মোতাবেক কাজ করার নামই ইবাদত। তা হতে পারে পরিবার প্রতিপালন, ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি কিংবা ব্যক্তিগত যে কোনো কাজ। এমন কোনো কাজ নেই, যে কাজের ব্যাপারে মহান আল্লাহর বিধি-নিষেধ নেই।

সুতরাং আল্লাহর হুকুম মোতাকেব কাজ করাই বান্দার দায়িত্ব ও কর্তব্য। আর বান্দার ওপর মহান আল্লাহর অধিকারও এটি। এরমধ্যে বান্দার প্রতি সবচেয়ে বড় নির্দেশ হচ্ছে- তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করা যাবে না। তার নাফরমানি ও অবাধ্যতা থেকে বিরত থেকে থাকতে হবে।

অপারগতা ও অজ্ঞতা এবং চরম অবহেলা ও বাড়াবাড়ির কারণে আল্লাহর সঙ্গে বান্দা অপরাধ করতে পারে। এ কারণে যদি আল্লাহ তাআলা বান্দাকে আজাব বা শাস্তি দেন, তাহলে সেটা বান্দার উপর জুলুম হবে না। পক্ষান্তরে দয়ালু আল্লাহ তাআলা যদি কোনো বান্দাকে ক্ষমা করে দিতে চান তবে কেউ তাতে বাঁধাও দিতে পারবে না। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর হক বা অধিকার সম্পর্কে সুস্পষ্ট ঘোষণা তুলে ধরেছেন-
হজরত মুয়াজ ইববে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি বিশ্বনবির পেছনে ‘উফায়ের’ নামক গাধার উপর বসা ছিলাম। তখন তিনি বললেন-
‘হে মুয়াজ! তুমি কি জান বান্দার উপর আল্লাহর হক এবং আল্লাহর উপর বান্দার হক কী?
মুয়াজ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, এ ব্যাপারে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই বেশি জানেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-
‘বান্দার উপর আল্লাহর হক হলো- একমাত্র তাঁরই ইবাদাত করবে এবং তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না। আর আল্লাহর উপর বান্দার হক হলো- যে তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করে না তাকে শাস্তি না দেয়া।’

হজরত মুয়াজ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! এ ব্যাপারে মানুষকে সুসংবাদ প্রদান করি?
তিনি (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন- তাদের (এ) সুসংবাদ দিও না; কারণ তারা হাত-পা গুটিয়ে পরনির্ভরশীল হয়ে কাজ-কর্ম ও ইবাদাত করা ছেড়ে বসে থাকবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

এ হাদিসে মানুষকে সব কাজে মহান আল্লাহর বিধান মেনে চলার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যারা আল্লাহর বিধান মোতাবেক ব্যক্তি, পরিবার, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন পরিচালনা করবে। সব কাজে আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন করবে, তারাই আল্লাহর শাস্তি থেকে বেঁচে থাকবে এবং দুনিয়া ও পরকালের সব সুখ-শান্তি ও নেয়ামত তাদের জন্য নির্ধারিত।

হাদিসের এ নির্দেশনা মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর এ জমিনে তারই বিধান বাস্তবায়নে স্বচেষ্ট থাকবে। তবেই বান্দা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে সক্ষম হবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর হক আদায়ে স্বচেষ্ট থাকার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও পরকালের শান্তি ও নেয়ামত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

Friday, May 22, 2020

 পবিত্র জুমআতুল বিদা আজ

পবিত্র জুমআতুল বিদা আজ


 
 

সুসপ ডেস্ক : পবিত্র জুমআতুল বিদা আজ । এ জুমআ দ্বারা রমজানের শেষ জুমআকে বোঝানো হয়ে থাকে। জুমআতুল বিদাকে ইবাদতের বিশেষ দিন মনে করে গুরুত্ব দেয়া হয়। কোনো কোনো মানুষের ধারণা, এর বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদা রয়েছে। ফলে তারা এ জুমআ আদায়ের জন্য এলাকার সবচেয়ে বড় মসজিদে গমন করে। ইসলামি শরিয়তে জুমআতুল বিদা বলে আলাদা কোনো ফজিলত নেই।
তবে একথা ঠিক যে, জুমআর দিন অনেক ফজিলত ও মর্যাদার দিন। আর রমজানের কারণে জুমআর দিনের মর্যাদাও বেড়ে যায়। জুমআতুল বিদার বিশেষ ফজিলতের কথা না ভেবে যেহেতু আজই রমজানের শেষ জুমআ তাই জুমআ আদায়ে কুরআন-সুন্নাহ ঘোষিত ফজিলত লাভে সচেষ্ট হওয়া প্রত্যেক ঈমানদার মুসলমানের জন্য জরুরি।
ইতিমধ্যে রমজানে মুমিন মুসলমান তিনটি জুমআ অতিবাহিত করেছেন। আজ রমজানের বিদায়ী জুমআর দ্বার প্রান্তে। তাই কুরআন নাজিলের মাসের মর্যাদা ও বরকতের সঙ্গে জুমআর মর্যাদা ও ফজিলতে মুমিন রোজাদারের আমল ও হৃদয় হোক আলোকিত।
জুমআর নামাজের মর্যাদা সম্পর্কে হজরত সামুরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, `তোমরা জুমআর নামাজে উপস্থিত হও এবং ইমামের কাছাকাছি হয়ে দাঁড়াও। কেননা যে ব্যক্তি জুমআর নামাজে সবার পেছনে উপস্থিত হবে, জান্নাতে প্রবেশ ক্ষেত্রেও সে সবার পিছনেই পড়ে থাকবে।` (মুসনাদে আহমদ)
মুসলিম উম্মাহর কাছে জুমআর দিনটি সপ্তাহিক ইবাদতের দিন এবং ঈদ হিসেবে গণ্য। এ দিনের ফজিলত এমনিতেই বেশি। তবে রমজানের শেষ দশকে হওয়ার কারণে এ জুমআর সঙ্গে শেষ দশকের ফজিলতও যোগ হয়েছে। জুমআর ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সূর্যোদয় হওয়ার সবগুলো দিনের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম ও শ্রেষ্ঠ হলো জুমআর দিন। এই জুমআর দিনেই হজরত আদম আলাইহিস সালামকে আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন এবং জুমআর দিনই তাকে জান্নাত দান করেন এবং জুমআর দিনেই তাকে জান্নাত থেকে এই দুনিয়ায় প্রেরণ করেন এবং কেয়ামতও এই জুমআর দিনেই অনুষ্ঠিত হবে। (মুসলিম)।
পাঁচ শ্রেণির লোক ব্যতিত জুমআর নামাজ ত্যাগ করা কবিরা গোনাহ। তারা হলো-
- ক্রীতদাস;
- স্ত্রীলোক;
- অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক;
- মুসাফির এবং
রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। (আবু দাউদ)
জুমআ নামাজ না পড়ার পরিণাম-
- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমআ বিনা ওজরে ও ইচ্ছা করে ছেড়ে দেবে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার অন্তরে মোহর মেরে দেবেন। (তিরমিযী,আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)
- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জুমআ ত্যাগকারী লোকেরা হয় নিজেদের এই খারাপ কাজ হতে বিরত থাকুক, নতুবা আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত তাদের এই গোনাহের শাস্তিতে তাদের অন্তরের ওপর মোহর করে দেবেন। পরে তারা আত্মভোলা হয়ে যাবে। অতপর সংশোধন লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে যাবে। (মুসলিম)
- হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনা এই রকম- যে ব্যক্তি পর পর তিনটি জুমআ পরিত্যাগ করবে, সে ইসলামকে পিছনের দিকে নিক্ষেপ করল। (মুসলিম)।
সুতরাং আমরা জামআ`র নামাজ পরিত্যাগ না করে সবার আগে আগে রমজানের শেষ জুমআর নামাজ তথা জুমাআতুল বিদা আদায় করতে মসজিদে উপস্থিত হওয়া। বিগত জীবনের ভুল-ভ্রান্তি ও গোনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা জরুরি।
সতর্কতা
ইসলামের প্রাথমিক যুগেও জুমাআর প্রচলন ছিল। সে সময় জুমআর দিনকে ইয়াওমে আরুবা বলা হতো। যা ইয়াহুদি, খ্রিস্টান তথা জাহেলি সম্প্রদায়ের লোকেরা পালন করতো। তারা জুমআর দিনে গল্প-গুজব, হাসি-ঠাট্টা, আমোদ-ফুর্তির আসর বসাত। এই ছিল তাদের জুমআর সংস্কৃতি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মুমিন মুসলমানকে এ ধরনের উৎসব থেকে হেফাজত করুন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের শেষ জুমআ আদায়ের মাধ্যমে নিজেদের বিগত জীবনের সব গোনাহ থেকে মুক্তি লাভের তাওফিক দান করুন। জুমআর ফজিলত ও মর্যাদাকে রমজনের ফজিলতের সঙ্গে বাড়িয়ে মুমিনের সব আমলকে কবুল করার মাধ্যমে তাদের হৃদয়ে হেদায়েতের আলোতে ভরপুর করে দিন। আমিন।

Thursday, January 16, 2020

৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে যোগ দিচ্ছেন মুসল্লিরা

৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে যোগ দিচ্ছেন মুসল্লিরা


 টঙ্গীর তুরাগতীরে ময়দানে তাবলিগ জামায়াত আয়োজিত ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে জড়ো হচ্ছেন দেশ-বিদেশের মুসল্লিরা। দ্বিতীয় পর্ব পরিচালনা করবেন সাদ অনুসারিরা। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিকতা।
কনকনে শীত উপেক্ষা করে গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে ময়দানে আসতে শুরু করছেন মুসল্লিরা। যার যার খিত্তায় অবস্থান নিচ্ছেন তারা। বিভিন্ন যানবাহনে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে দলে দলে মুসল্লিরা অবস্থান নিচ্ছেন ময়দানে। রান্না-বান্নার জিনিসপত্র রয়েছে তাদের সঙ্গে। দ্বিতীয় পর্বেও দেশের ৬৪ জেলার মুসল্লি অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বিশ্ব মাওলানাদের বয়ান শুনতে ও ইবাদত করতে এখানে জড়ো হচ্ছেন। তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেবেন বলে আশা করছেন আয়োজকরা। আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বাদ মাগরিব ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এরপর শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা ওবায়দুল্লাহ খুরশিদ। পরে বাংলায় বয়ান তরজমা করেন বাংলাদেশি মাওলানা আব্দুল মতিন। রোববার (১২ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
ইজতেমায় সাদ অনুসারি মুরুব্বি আব্দুল্লাহ শাকিল জানান, বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি ময়দানের দিকে আসছেন। লাখ লাখ মুসল্লি দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। রোববার (১৯ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব।

Friday, November 15, 2019

চিংড়ি মাছে জেলি মেশানোর দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

চিংড়ি মাছে জেলি মেশানোর দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা


কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চিংড়ি মাছে ক্ষতিকর জেলি মেশানোর দায়ে সুজন বর্মণ (৪৫) নামে এক মৎস্য ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। 
সুজন বর্মণ শহরের উত্তর জগন্নাথপুর এলাকার সূর্য বর্মণের ছেলে ও ভৈরব মেঘনা মৎস্য আড়তের অন্তর ফিস এন্টারপ্রাইজের মালিক।
ভৈরব উপজেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. লতিফুর রহমানের নেতৃত্বে গত মঙ্গলবার রাতে শহরের পলতাকান্দা এলাকার ভৈরব মেঘনা মৎস্য আড়তে অভিযান চালানো হয়। এসময় অন্তর ফিস এন্টারপ্রাইজে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জেলি মিশ্রিত ১১০ কেজি চিংড়ি মাছ জব্দ করা হয়। খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

Monday, August 26, 2019

ইসলাম ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতায় বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার অবদান

ইসলাম ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতায় বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার অবদান


বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন উদার চেতনার অধিকারী একজন খাঁটি ঈমানদার মুসলমান। তিনি কখনও ইসলামকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেননি। তারই যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের উন্নয়ন করে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় কর্মকাণ্ডকে যথাযোগ্য মর্যাদায় আসীন করেছেন। ইসলাম ধর্মের প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের জন্য মুসলিম সম্প্রদায়কে উৎসাহী করার কৃতিত্ব সম্পূর্ণ তার। উপরন্তু দেশের মধ্যে ধর্মীয় উগ্রবাদের জঙ্গিপনা নির্মূলের সাফল্যও তার সরকারের বড় অবদান।
তারই যোগ্য উত্তরসূরি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের উন্নয়ন করে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় কর্মকাণ্ডকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উন্নতি করেছেন। ইসলাম ধর্মের প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের জন্য মুসলিম সম্প্রদায়কে উৎসাহী করার কৃতিত্ব সম্পূর্ণ তার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিদিন সকাল শুরু হয় তাহাজ্জুদ ও ফজরের নামাজের মধ্য দিয়ে। শুধু নামায নয়, তিনি নিয়মিত পাঠ করেন কোরআন শরীফ। 
উপরন্তু স্বাধীন দেশের ধর্মীয় উগ্রবাদের জঙ্গিপনা নির্মূলের সাফল্যও তার সরকারের বড় অবদান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, একটি নতুন মানচিত্রের অমর রূপকার।
তিনি যেমন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের মহান স্থপতি, তেমনি বাংলাদেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামের প্রচার-প্রসারের স্থপতিও তিনিই। এ দুটি অনন্য সাধারণ অনুষঙ্গ বঙ্গবন্ধুর জীবনকে দান করেছে উজ্জ্বল মহিমা। ইসলাম সম্পর্কে গবেষণা, প্রচার-প্রসার ও এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সামগ্রিক জীবনকে মহান ধর্ম ইসলামের কল্যাণময় স্রোতধারায় সঞ্জীবিত করার লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। 
সীরাত মজলিশ প্রতিষ্ঠা : বঙ্গবন্ধু দিকনির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকায় সীরাত মজলিশ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করা হয়। সীরাত মজলিশ ১৯৭৩ ও ১৯৭৪ সালে রবিউল আউয়াল মাসে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম বৃহত্তর আঙ্গিকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) মাহফিল উদযাপনের কর্মসূচী গ্রহণ করে। সরকার প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধু বায়তুল মোকাররম মসজিদ চত্বরে মাহফিলের শুভ উদ্বোধন করেন।
হজ্জ্ব পালনের জন্য সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা : পাকিস্তান আমলে হজ্জ্বযাত্রীদের জন্য কোন সরকারী অনুদানের ব্যবস্থা ছিলনা। বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে প্রথম হজ্জ্বযাত্রীদের জন্য সরকারী তহবিল থেকে অনুদানের ব্যবস্থা করেন এবং হজ্জ্ব ভ্রমণ কর রহিত করেন। ফলে হজ্জ্ব পালনকারীদের আর্থিক সাশ্রয় হয়।
বিশ্ব ইজতেমার জন্য টঙ্গীতে সরকারি জায়গা বরাদ্দ : বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে সামাধান করার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্থায়ী বন্দোবস্ত হিসেবে তুরাগ নদীর তীরবর্তী জায়গাটি প্রদান করেন। সেখানেই আজ পর্যন্ত তাবলিগ জামাত বিশ্ব ইজতেমা করে আসছে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ইসলাম ও মুসলমানদের খেদমতে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেন। তা হল---
১. আল-কোরআনের ডিজিটালাইজেশন: ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ; দেশের ৩১টি কামিল মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালু করা; যোগ্য আলেমদের ফতোয়া প্রদানে আদালতের ঐতিহাসিক রায়; জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সৌন্দর্যবর্ধন ও সম্প্র্রসারণ, সুউচ্চ মিনার নির্মাণ ইত্যাদি।
২. বাংলাদেশে ইসলামের প্রচার বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও রাজকীয় সৌদি আরব সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর; হজ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার।
৩. জাতীয় শিক্ষানীতিতে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্তিকরণ।
৪. মসজিদ পাঠাগার স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন।
৫. চট্টগ্রাম জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্স ফাউন্ডেশনের অনুকূলে ন্যস্তকরণ। 
ইসলামের প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা কওমি জননী জননেত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী অবদানের কথা বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বঙ্গবন্ধু তাঁর সাড়ে তিন বছরের সংক্ষিপ্ত শাসনামল ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ইসলামের খেদমতে যে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন এবং রেখে চলছেন, গোটা পৃথিবীতে তার দৃষ্টান্ত বিরল।

Saturday, August 17, 2019

১৪শ কোটি টাকা ব্যয়ে তুরাগ নদীর তীরে হচ্ছে পয়ঃশোধনাগার

১৪শ কোটি টাকা ব্যয়ে তুরাগ নদীর তীরে হচ্ছে পয়ঃশোধনাগার


সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন নিশ্চিত করতে তুরাগ নদীর তীরে ২০ হেক্টর জমিতে একটি আধুনিক পয়ঃশোধনাগার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।  এতে নির্মাণব্যয় হবে প্রায় ১৪শ কোটি টাকা।  এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজধানীর উত্তরা ও সংলগ্ন এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।

ইতোমধ্যে এই পয়ঃশোধনাগার বা স্যুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি) নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের একটি প্রকল্প চূড়ান্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।  

পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পটি প্রস্তাব পাওয়ার পর ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় দেয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় ১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকার প্রকল্পটি উপস্থাপন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।  অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা ওয়াসা।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে ঢাকা মহানগরীর মাত্র ২০ শতাংশ এলাকায় পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা রয়েছে। বাকি ৮০ শতাংশ এ ব্যবস্থাপনা না থাকায় এসব এলাকার লেক, খাল ও নদীর পানি দূষিত হয়ে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটাচ্ছে। এতে করে এলাকাবাসীকে বসবাস করতে হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। এর মধ্যে পরিকল্পিত ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই এন্ড স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় সম্প্রতি ‘সুয়েজ মাস্টারপ্ল্যান’ প্রণয়ন করা হয়েছে।  এর আওতায় উত্তরা ও সংলগ্ন এলাকার সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য একটি এসটিপি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটি নির্মাণের জন্য বিদ্যমান টঙ্গী-মিরপুর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংলগ্ন তুরাগ থানার ধউর মৌজায় ২০ হেক্টর জমি নির্বাচন করা হয়েছে।  এই জমি অধিগ্রহণের জন্য ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর পরিকল্পনা কমিশনে প্রথমবার প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিইসি সভায় সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পের জন্য নির্বাচিত জমির প্রাক্কলন পাঠাতে জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দেয়া হয়। জবাবে জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে জানানো হয়, প্রস্তাবিত জমিটি ভূমি মন্ত্রণালয় কর্মকর্তাদের নামে বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ভূমির মালিকরা হাইকোর্টে রিট আবেদন করায় প্রস্তাবিত জমিতে অধিগ্রহণ সংক্রান্ত আইনি জটিলতা রয়েছে বলে জানানো হয়।

পরে ওই জমির বিপরীতে হাইকোর্ট একাধিক রিট পিটিশন মামলা চলমান ও ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে মন্ত্রণালয় থেকে উত্তরা এলাকায় পয়ঃশোধনাগার নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত বিকল্প প্রস্তাব পাঠানোর জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে নির্দেশনা দেয়া হয়। বিকল্প স্থান নির্ধারণের বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সঙ্গে যোগাযোগ করে ঢাকা ওয়াসা জানতে পারে, রাজউক ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানে (ডিএপি) সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য দিয়াবাড়ি, নলভোগ ও ধউর মৌজায় প্রয়োজনীয় ভূমি চিহ্নিত রয়েছে। কিন্তু এই জমির একটি বড় অংশ সরকার অবমুক্ত করে দিয়েছে। বাকি অংশে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের প্রয়োজনীয় জমি সংকুলান হবে না বলে রাজউকের সঙ্গে আলোচনা করে ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানে ট্রিটমেন্ট প্ল্যানের জন্য চিহ্নিত অংশের পূর্ব পাশের কিছু জমিসহ প্রায় ৫৩ একর জমি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জরিপ করে রাজউকের ছাড়পত্র নেয়া হয়। পরে রাজউক অনুমোদিত জমিতে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করতে ৫৩ একর ভূমি অধিগ্রহণের জন্য সিএস নকশা, আরএস নকশা ও সিটি নকশাসহ ল্যান্ড শিডিউল তৈরি করে প্রস্তাবিত ভূমি অধিগ্রহণের প্রাক্কলন পাঠানোর জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দেয়া হয়। তাতে বলা হয়, জেলা প্রশাসক দপ্তর থেকে ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ ব্যয় প্রাক্কলন প্রস্তুত করে সে অনুযায়ী এই ভূমির চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ, সাইট অফিস ও সিকিউরিটি গার্ড শেড নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পুনর্গঠিত প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গিস বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীন তুরাগ থানা এলাকায় ৫৩ একর জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে পুরো উত্তরা ও সংলগ্ন এলাকার জন্য সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পয়ঃশোধনাগারটি নির্মাণ করা সম্ভব হবে।