Showing posts with label বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি. Show all posts
Showing posts with label বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি. Show all posts

Monday, June 6, 2022

নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন চালু করছে অ্যাপল!

নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন চালু করছে অ্যাপল!



বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সম্প্রতি পরিকল্পনা করেছে নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন চালু করার । ২০২২ সালে অ্যাপলের ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেভেলপার কনফারেন্সে এ সার্চ ইঞ্জিন চালুর ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে। বিশিষ্ট প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, লেখক-ব্লগার রবার্ট স্কোবলের পোস্ট করা এক টুইটের পর থেকেই জোরালো আলোচনা চলছে এ নিয়ে। খবর ইন্ডিয়াটুডের।

রবার্ট স্কোবল তার টুইটে লিখেছেন, আমি আগামী কিছুদিনের মধ্যেই অ্যাপলের কাছ থেকে একটি চমক প্রত্যাশা করছি। এ যাবৎ চালু করা সকল পণ্যের মধ্যে এটি সবচেয়ে ব্যয়বহুল হতে যাচ্ছে।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মূলত পিছিয়ে থাকা সার্চ ইঞ্জিন ব্যবসায় নিজেদের এগিয়ে নিতে ও গুগলের সাথে বাজারের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে অ্যাপল। 

যদিও সার্চ ইঞ্জিন থেকে গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেট ঠিক কী পরিমাণ লাভ করবে তা এখনও অজানা। তবে অ্যালফাবেটের হিসাব অনুযায়ী, গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে ২০২১ সালে অন্তত ২১০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।দীর্ঘদিন ধরেই অ্যাপলের নিজস্ব ব্রাউজারে গুগলে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করায় গুগলকে প্রতিবছর প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে অ্যাপল।

প্রসঙ্গত, অ্যাপল বিশ্বাস করে যে, আইওএস এবং তাদের ওয়েব ব্রাউজার এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। অ্যাপল বিশ্বাস করে, তারা সার্চ ইঞ্জিন ব্যবসায় ভাল করবে।

Saturday, December 11, 2021

দেশে পরীক্ষামূলক ফাইভ জি চালু হচ্ছে রোববার

দেশে পরীক্ষামূলক ফাইভ জি চালু হচ্ছে রোববার

 

দেশে পরীক্ষামূলকভাবে আগামী রোববার ফাইভ জি চালু করছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম অপারেটর টেলিটক। এতে অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে হুয়াওয়ে। 

 

প্রাথমিকভাবে ছয়টি স্থানে ফাইভ-জির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হবে। বাণিজ্যিকভাবে গ্রাহকদের জন্য ২০২২ সালের মধ্যে ২০০টি স্থানে এ সেবা চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে তা বিস্তৃত করা হবে।


ফাইভ জি প্রযুক্তি সেবাদানের বিষয়ে চলতি বছরের অক্টোবরে টেলিটকের সঙ্গে হুয়াওয়ে একটি চুক্তি করে। এই চুক্তির অধীনে, হুয়াওয়ে বাংলাদেশে ফাইভ জি প্রযুক্তি চালু করতে টেলিটককে বিশ্বমানের সেবা প্রদান করছে। 

ইতোমধ্যেই ঢাকা শহরের বিভিন্ন সাইটে হুয়াওয়ে ও টেলিটকের যৌথ পরীক্ষায় ব্যবহারকারীদের জন্য এক দশমিক পাঁচ জিবিপিএস পিক ইন্টারনেট গতি এবং ৭-১০ মিলি সেকেন্ড ল্যাটেন্সির মতো দারুণ ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মাধ্যমে দেশে শিল্পের ডিজিটালাইজেশন ত্বরান্বিত করা এবং ব্যক্তিগত ব্যবহারকারীদের জন্য আরও অনেক সুযোগ তৈরি করা সম্ভব হবে। 

হুয়াওয়ে বাংলাদেশের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার কেভিন স্যু বলেন, বাংলাদেশে ফাইভ জি নেটওয়ার্কের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরিতে আমরা টেলিটকের সঙ্গে অংশ নিয়েছি। প্রাথমিকভাবে টেলিটকের ৬৫ শতাংশেরও বেশি সাইটে হুয়াওয়ে প্রযুক্তি প্রদান করছে।

Friday, November 26, 2021

ডিসেম্বরে চালু ফাইভ-জি : যেসব জায়গায় পাওয়া যাবে

ডিসেম্বরে চালু ফাইভ-জি : যেসব জায়গায় পাওয়া যাবে

 

দেশে আগামী ১২ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে যাচ্ছে ফাইভজি। রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে এই নেটওয়ার্ক চালু করবে। আগামী বছর দেশের ২০০টি গুরুত্বপূর্ণ সাইটে (টাওয়ারে) এই নেটওয়ার্ক চালু করবে অপারেটরটি। যদিও ২০২২ সালে অন্যান্য মোবাইল ফোন অপারেটরও ফাইভজি চালু করবে।

১২ ডিসেম্বর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে’ ফাইভজি নেটওয়ার্ক চালু হলেও সবাই এই সেবা ব্যবহার করতে পারবেন না। কয়েকটি বিশেষ স্থাপনায় এই নেটওয়ার্ক চালু করা হবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে কয়েকটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ফাইভজি চালুর পরিকল্পনা করেছি। এরমধ্যে রয়েছে— বঙ্গভবন, গণভবন, সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সচিবালয় ও ধানমন্ডি ৩২ নম্বর। এ ছাড়া আমাদের আরও দুটি স্থাপনায় ফাইভজি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। যদিও এখনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি, এগুলো হলো— টুঙ্গিপাড়া ও রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা।’

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ১৪টি মোবাইল তৈরির কারখানা রয়েছে। এর উদ্যোক্তারা আমাদের জানিয়েছেন, সবারই ফাইভজি ফোন তৈরির সক্ষমতা রয়েছে। সময় হলেই তারা ফাইভজি ফোন তৈরি করবেন।’

ফাইভজি ফোন তৈরির বিষয়টি উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘স্যামসাং আমাকে জানিয়েছে, তারা এরইমধ্যে ফাইভজি ফোন তৈরি করেছে।’  অন্যরাও এগিয়ে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন তিনি।

মার্চে ফাইভজির তরঙ্গ নিলাম

আগামী বছরের মার্চ মাসে ফাইভজির জন্য তরঙ্গ (স্পেক্ট্রাম) নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে তরঙ্গ নিলাম হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। সেই নিলামে দেশের অন্যান্য মোবাইল অপারেটর অংশ নিয়ে পর্যায়ক্রমে ফাইভজি চালু করবে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, ফাইভজি সেবা চালু করতে তরঙ্গ বরাদ্দ পেয়েছে টেলিটক। প্রতিষ্ঠানটি তরঙ্গ বরাদ্দ পেতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিতে আবেদন করলে ২৫৪তম কমিশন বৈঠকে টেলিটকের অনুকূলে ৩ দশমিক ৫ গিগাহার্জ ব্যান্ডে (৩৩৪০-৩৪০০ মেগাহার্জ) ৬০ মেগাহার্জ তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়া হয়।

Friday, September 17, 2021

বাংলাদেশে চলবে ইলেকট্রিক গাড়ি

বাংলাদেশে চলবে ইলেকট্রিক গাড়ি

 

দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার চালু করতে চায় সরকার। মূলত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশবান্ধব সবুজ শক্তির ব্যবহার বাড়াতে এবং উৎপাদিত বিদ্যুতের ব্যবহার নিশ্চিতে এই গাড়ির ব্যাপক প্রচলনের কথা ভাবছে বিদ্যুৎ বিভাগ। দেশজুড়ে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে চার্জিং স্টেশন স্থাপনেরও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, বর্তমানে চাহিদার চেয়ে দ্বিগুণ বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা হয়েছে বাংলাদেশের। এই বিদ্যুতের অধিকাংশ ব্যবহার হচ্ছে বাড়ি-ঘর ও শিল্প কারখানায়। তাই উৎপাদিত বিদ্যুতের নানামুখী ব্যবহার বাড়াতে ইলেকট্রিক গাড়ি চালুর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকাসহ উন্নত দেশগুলোতে অবশ্য আরও আগেই ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহার শুরু হয়। পরিবেশবান্ধব সাশ্রয়ী যান হিসেবে সারা বিশে^ এই গাড়ির জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ফলে এই গাড়ি চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশও পেট্রল বা ডিজেলের মতো ফসিল ফুয়েলের ব্যবহার কমিয়ে আনতে চায়। জ্বালানি তেলের তুলনায় ইলেকট্রিক গাড়ির খরচ কম। এ গাড়ির চলার গতির সক্ষমতাও বেশি। এটি চালাতে কিলোমিটারপ্রতি খরচ পড়বে মাত্র ৫০ পয়সা। সরকার আশা করছে, চালু করতে পারলে দ্রুতই এ গাড়ির ব্যবহার বাড়বে।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আমাদের সময়কে বলেন, ‘উন্নত দেশগুলো ইতোমধ্যে ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার শুরু করেছে। আমাদের দেশেও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা অনেক শক্তিশালী হয়েছে। ফলে আমাদের উৎপাদিত

বিদ্যুতের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তবে ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যাপক আকারে চালু করতে সারাদেশে স্থাপন করতে হবে চার্জিং স্টেশন। তাই আমরা বৈদ্যুতিক যানবাহনের চার্জিং নীতিমালা গ্রাহকবান্ধব করে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন জেলায় চার্জিং স্টেশন স্থাপনের জন্য কাজ করছে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ইতোমধ্যে ইলেকট্রিক গাড়ি আমদানি এবং বিক্রির পাশাপাশি জনপ্রিয়তা বাড়াতে নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু করছে সরকার। গত ১২ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বৈদ্যুতিক গাড়ি চলাচলের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই গাড়ি আমদানি এবং অন্যান্য বিষয়ে কাজ করবে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। আর ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য চার্জিং স্টেশন করে দেবে বিদ্যুৎ বিভাগ। চাইলে বাসা বাড়ির বৈদ্যুতিক লাইনেও এগুলো চার্জ করা যেতে পারে। কিন্তু একবার রাস্তায় নামলে সেটি আর সম্ভব নয়। ফলে রাস্তায় থাকতে হবে চার্জিং স্টেশন। তাই বিদ্যুৎ বিভাগ চার্জিং স্টেশন করবে আর গাড়ি আমদানি এবং বাজারজাতের উদ্যোগ নেবে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, ২০২০ সালে অন্য সব মোটরগাড়ির বিক্রি যেখানে কমেছে, সেখানে ইলেকট্রিক গাড়ির বিক্রি বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। ইউরোপের দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও চীন এবং ভারত বৈদ্যুতিক গাড়ি রাস্তায় নামানোর উদ্যোগ নিয়েছে জোরেশোরে।

জানা গেছে, বিশে^ ইলেকট্রিক গাড়ির একচেটিয়া বাজার দখল করে রেখেছে ইলন মাস্কের কোম্পানি টেসলা। তাদের সব শেষ প্রযুক্তির গাড়িতে একবার চার্জে ৩০০ মাইল অবধি যাওয়া সম্ভব। এ ধরনের গাড়ি মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে স্টেশনে চার্জ করা যায়।

Wednesday, September 15, 2021

৩২ জেলায় হচ্ছে নতুন আইটি ট্রেনিং সেন্টার

৩২ জেলায় হচ্ছে নতুন আইটি ট্রেনিং সেন্টার

 


দেশের আরও ৩২টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে আইসিটি বিভাগ। এ লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে এবার শুরু হচ্ছে নতুন প্রকল্প। এদিকে দুটি প্রকল্পের আওতায় ১৯টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ চলছে। নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৫১ জেলায় প্রতিষ্ঠিত হবে তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার। আইসিটি বিভাগের হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন করে ৩২টি জেলায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে নতুন চুক্তি করা হয়েছে। নতুন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই করবে শেল্‌টেক প্রাইভেট লিমিটেড। সম্ভাবনা যাচাই প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে চার কোটি ৮৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। প্রস্তাবিত ৩২ জেলায় প্রাপ্ত জমি সরেজমিন জরিপ এবং এ বিষয়ে বিশদ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে প্রকল্পের উপযোগিতা নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে আইসিটি বিভাগের উপসচিব জোহরা বেগম এবং শেল্‌টেক প্রাইভেট লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান এসকে বশির আহমেদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।

শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের তালিকায় থাকা ৩২ জেলা হচ্ছে- গাজীপুর, শরীয়তপুর, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, নরসিংদী, চট্টগ্রাম (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়), ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, রাঙামাটি, লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী, বগুড়া, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, খুলনা, যশোর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ, জামালপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম।

Friday, August 27, 2021

ডিজিটাল অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করবে ফেসবুক

ডিজিটাল অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করবে ফেসবুক

 

ডিজিটাল অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে ফেসবুক। প্রাথমিকভাবে তাদের এই বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ১ বিলিয়ন ডলার অর্থাত্ ৮ হাজার কোটি টাকার মতো। তবে বিনিয়োগের এ আলোচনাটি চূড়ান্ত অবস্থায় পৌঁছেনি বলে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। গত ৯ আগস্ট ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ও বিটিআরসির মধ্যে বিনিয়োগসংক্রান্ত এক উচ্চ পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে ফেসবুক এ আগ্রহ প্রকাশ করে।

 

বৈঠকে ফেসবুকের সিঙ্গাপুর আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে বাংলাদেশ বিষয়ক হেড অব পাবলিক পলিসি সাবনাজ রশিদ দিয়া, হেড অব কানেকটিভিটি টম সি, কানেকটিভিটি অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা তাহানি ইকবাল অংশ নেন।

 

বাংলাদেশে বর্তমানে ফেসবুকের গ্রাহক ৪ কোটি ৮০ লাখ। যা ফেসবুকের দশম সর্বোচ্চ গ্রাহক। এতদিন ফেসবুক বাংলাদেশকে এড়িয়ে গেলেও বর্তমানে গ্রাহক সংখ্যার বিচারে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এরই মধ্যে ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন করে ভ্যাটও দিচ্ছে ফেসবুক ও গুগলের মতো প্রতিষ্ঠান। ঐ দিনের বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, এটা ছিল আলোচনার একেবারে প্রথম ধাপ। পরে আরো বিস্তারিত বলা যাবে আসলে তারা কোন কোন খাতে বিনিয়োগ করতে চায়। তবে তারা ডিজিটাল অবকাঠামোর কথা বলেছে। দেশের এক জন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা বলেন, ফেসবুক দেশের ডিজিটাল অবকাঠামো খাতেই বিনিয়োগ করবে। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, দেশে এখন তাদের বিশাল ব্যবসা রয়েছে। ফলে তারা চাইবে ব্যবহারকারীর সংখ্যা আরো বাড়াতে। সে কারণে তারা দুর্গম এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছাতে, কম টাকায় সোশ্যাল প্যাকের অফারের মতো উদ্যোগ নিতে, কম দামের ডিজিটাল ডিভাইস সহজলভ্য করা, ফ্রি ওয়াইফাই জোন স্থাপন, ফেসবুককেন্দ্রিক বিভিন্ন উদ্যোগে সহায়তাদানের মতো কাজ করতে পারে বলে ধারণা করা যায়।

Monday, August 16, 2021

ই-পাসপোর্ট যুগে যাচ্ছে বাংলাদেশ মিশনগুলো

ই-পাসপোর্ট যুগে যাচ্ছে বাংলাদেশ মিশনগুলো

 



বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট পেতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে বেশকিছু দিন ধরে। জুনের শুরুতে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) সার্ভার ডাউন হয়ে যাওয়ার কারণে প্রবাসীরা দীর্ঘদিন অপেক্ষায় থেকেও নতুন পাসপোর্ট পাচ্ছেন না। বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস নোটিশ দিয়ে এমআরপি আবেদন নেওয়া বন্ধ রেখেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সার্ভার সমস্যার আপাতত সমাধান হয়েছে। ফলে নতুন করে প্রবাসীদের পাসপোর্ট প্রদান শুরু করেছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর। এদিকে প্রবাসীদের এসব ভোগান্তি রোধে ই-পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করছে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো। সবকিছু ঠিক থাকলে ২৫ আগস্ট জার্মানিতে বাংলাদেশ মিশনে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে বিদেশে এই অধ্যায় শুরু হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এই কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের (এমআরপি) কাজটি পেয়েছিল মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠান আইরিস করপোরেশন। সেখানে তিন কোটি পাসপোর্টের চুক্তি ছিল। গত জুনে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের এমআরপি সার্ভারের ধারণক্ষমতা তিন কোটির সীমা পার হয়ে যায়। এই তিন কোটি আঙুলের ছাপ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর নতুন করে আর পাসপোর্ট ছাপা যাচ্ছিল না। ফলে সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, ওমান, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, মালদ্বীপ, লেবাননসহ অনেক দেশের বাংলাদেশ মিশন পাসপোর্ট সেবা প্রদানে সার্ভার ত্রুটির কথা বলে দুঃখ প্রকাশ করে নোটিশ দেয়।

সার্ভার সমস্যা ও প্রবাসীদের ভোগান্তির বিষয়ে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডিজি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব চৌধুরী বলেন, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ব্যবস্থাকে সময়ে সময়ে আপগ্রেড করার প্রয়োজন হয়। এই সার্ভার আপগ্রেড করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মালয়েশিয়ার একটি সংস্থার সঙ্গে আমাদের চুক্তি আছে। চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে সবকিছু চূড়ান্ত করেছি। সার্ভার আপগ্রেড হওয়ার পর জমা থাকা আবেদনপত্রের ভিত্তিতে পাসপোর্ট ছাপানোও শুরু হয়েছে। আমরা একদিনও আমাদের সেবা বন্ধ রাখিনি। তিনি বলেন, এমআরপি পাসপোর্ট বন্ধ করে দেওয়ার কথা ছিল। ই-পাসপোর্ট চালু করতে পারিনি বলেই এমআরপিকে বেশিদিন চালাতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ২০২০ সালে ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করেছেন, তাই এমআরপি তো বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এটা জোড়াতালি দিয়ে চালাচ্ছি। অনেক কিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে ৬০ লাখ নতুন পাসপোর্ট কিনে ফেলেছি, মেইনটেন্যান্স কন্ট্রাক্টও বাড়িয়েছি।

সূত্র জানায়, ২০২০ সালের মধ্যে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে ই-পাসপোর্ট চালুর লক্ষ্য ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মকর্তারা দেশের বাইরে যেতে না পারায় এটা চালু করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে ডিজি আইয়ুব চৌধুরী বলেন, এতদিনে বিদেশে আমাদের মিশনগুলোয় ই-পাসপোর্ট চালু হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে সম্ভব হয়নি। সব ঠিক থাকলে ২৫ আগস্ট জার্মানির বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করব।

মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ার আমাদের সময়কে বলেন, এমআরপির কেন্দ্রীয় সার্ভারের ত্রুটির কারণে পাসপোর্ট পেতে বিলম্ব হচ্ছিল। তবে আমরা নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা দিয়ে গেছি। মালয়েশিয়াতে বৈধকরণের কার্যক্রম চলমান ছিল। ফলে একটু সমস্যা হচ্ছিল। এখন সেই সমস্যা নেই। শেষ ছয় মাসে আমরা ২ লাখ ৯ হাজার পাসপোর্ট দিয়েছি।

মালদ্বীপে নিযুক্ত হাইকমিশনার রিয়াল অ্যাডমিরাল নাজমুল হাসান বলেন, সার্ভার ত্রুটির কারণে পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণ আপাতত বন্ধ আছে। আমাদের সার্ভারের যন্ত্রপাতি ঢাকাতে পাঠিয়েছি। দেখি কবে ঠিক হয়ে আসে। আমার এখানে দিনে গড়ে ৫০টির মতো আবেদন জমা হয়। বন্ধ থাকার কারণে পাসপোর্ট জট হবে।

Saturday, July 31, 2021

ফাইভ জি ইন্টারনেট চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ

ফাইভ জি ইন্টারনেট চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ

 

গ্রাম থেকে শহর সবখানে ইন্টারনেট। তথ্য-প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে গেছে মানুষের জীবন মান বদলেছে সময়। তাইতো তথ্য-প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটাতে বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিচ্ছে ফাইভ জি ইন্টারনেট চালুর জন্য। যা বদলে দিবে শহর থেকে আবহমান গ্রাম বাংলার পুরো চিত্র। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান সময়ে এই ইন্টারনেট সেবার ফলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে পিছিয়ে পড়বে না বাংলাদেশ। 

আবহমান গ্রাম বাংলার চিত্র। গ্রাম ঠিকই আছে তবে এখানে লেগেছে ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া। এখানকার দোকানী ছেলেটিও দিনভর দোকানে কাজ করে আর মালপত্র কেনে ইন্টারনেটের সহায়তায়।

এখন গ্রামকে পুরোপুরিই বদলে দিয়েছে ইন্টারনেট সেবা। মোবাইল মানি ট্রান্সফার-ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট অথবা সেটটপ বক্স। ফ্রিলানসিং থেকে বিনোদন সবখানেই এখন প্রযুক্তি বিপ্লব। এ সবই হচ্ছে ফোর জি ইন্টারনেটের বদৌলতে।

তবে বাংলাদেশ চাইছে বর্তমান অবস্থারও উন্নতি করতে। তারা চাইছে দেশের বর্তমান অবস্থার উন্নতি ঘটিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রতিযোগীতায় নামতে যার অন্যতম উপাদান ফাইভ জি ইন্টারনেট।

এই ফাইভ জি ইন্টারনেট বদলে দিবে সারা পৃথিবীকে। গ্রাম থেকে শহর সবখানে যোগাযোগ হবে সুদৃঢ় আর কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা হবে মানুষের সাহায্যকারী। হুওয়ায়ের এই সম্পার্ট সিটি প্রজেক্ট দেখলে যা খানেকটা আন্দাজ করা যায়।

শুধু তাই নয় স্মার্ট সিটির পাশাপাশি কৃষিতেও ব্যাপক উন্নতি সাধন হবে। সুইজার ল্যান্ডের এই ফাইভ জি স্মার্ট ফার্মটি যার বাস্তব উদাহরন। কৃষি প্রধান দেশের হাতে যখন এমন প্রযুক্তি আসবে তখন বদলে যাবে গ্রামীন জনপদ। পার্থক্য হারাবে শহরের সাথেও।

Sunday, July 25, 2021

ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প আসছে বাংলাদেশে

ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প আসছে বাংলাদেশে

 


তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশকে আত্মনির্ভরশীল করার লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ফেসবুকের বিকল্প নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে বাংলাদেশ। মাধ্যমটির নাম নির্ধারণ করা হচ্ছে ‘যোগাযোগ’।

প্রতিমন্ত্রী আজ শনিবার (২৪ জুলাই) উইমেন ই-কমার্স আয়োজিত এন্টারপ্রেনারশীপ মাস্টারক্লাস সিরিজ-২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী মনে করেন, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের উদ্যোক্তারা তথ্য, উপাত্ত এবং যোগাযোগের জন্য নিজেদের মধ্যে একটি নিজস্ব অনলাইন মার্কেট প্লেস ও গ্রুপ তৈরি করতে পারবে। উদ্যোক্তাগনকে বিদেশ নির্ভর হতে হবে না।

পলক আরও জানান, নিজস্ব কমিউনিকেশনের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ এর বিকল্প হিসেবে ‘আলাপন’ নামেরও একটি প্ল্যাটফ্রম তৈরি করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে ডিজিটাল ই কমার্স পলিসি করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের লক্ষ লক্ষ উদ্যোক্তা তৈরি করতে তরুণ ও যুবকদের যে কোনো নতুন নতুন উদ্ভাবনে সরকার নীতিগতসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করছে।

Sunday, September 27, 2020

বিশ্বের ৮০ দেশে সফটওয়্যার রফতানি করছে বাংলাদেশ ॥ মোস্তাফা জব্বার

বিশ্বের ৮০ দেশে সফটওয়্যার রফতানি করছে বাংলাদেশ ॥ মোস্তাফা জব্বার

 




ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দূরদর্শী পরিকল্পনা নেয়ার পাশাপাশি তা বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ আজ রফতানিকারক দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। শনিবার ঢাকায় অনলাইনে মার্চেন্ট বে লিমিটেডের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই অতীতের শত শত বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে শিল্পোন্নত বিশ্বের সমান্তরালে চলার সক্ষমতা অর্জন করেছি। বিশ্বের ৮০টি দেশে বাংলাদেশ সফটওয়্যার রফতানি করছে। নাইজিরিয়া ও নেপালে কম্পিউটার, যুক্তরাষ্ট্রে মোবাইল রফতানি করছি। সৌদি আরবে আইওটি ডিভাইস রফতানি হচ্ছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত মোবাইল থেকে দেশের শতকরা ৮২ ভাগ মোবাইলের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। ৫জি মোবাইল উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা পৃথিবীকে জয় করার মেধা রাখে। দেশের শতকরা ৬৫ ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠী বড় সম্পদ। অপরদিকে জার্মান ও জাপানসহ পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশের পপুলেশন ডিভিডেন্টের দিকে থেকে বিপরীত চিত্র বিদ্যমান। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিকস, ব্লকচেন, বিগডাটা ইত্যাদি ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে মানুষের দক্ষতার সমন্বয় ঘটিয়েই আমাদের শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। উন্নত দেশের সঙ্গে ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রয়োগ ও ব্যবহারের ভাবনার সঙ্গে আমাদের চিন্তা-ভাবনাও এক হবে না।


Friday, May 29, 2020

করোনাভাইরাস চিকিৎসা: বাড়িতে বসে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় যে ছয়টি বিষয় মনে রাখবেন

করোনাভাইরাস চিকিৎসা: বাড়িতে বসে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় যে ছয়টি বিষয় মনে রাখবেন

যে কোন ব্যক্তির ভেতর যখন করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রাথমিক কিছু লক্ষণ দেখা দেয় তখন তিনি আতঙ্কিত হয়ে উঠেন।
কী করতে হবে? কোথায় যোগাযোগ করা প্রয়োজন? ডাক্তার পাবো কোথায়? হাসপাতালে যেতে হবে কি না? - এসব প্রশ্ন তখন সামনে আসে। সর্বপ্রথমে মনে রাখতে হবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই।
সারা পৃথিবীতে যত মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে তাদের ৮০ শতাংশেরও বেশি বাসায় থেকে নানাভাবে উপশমের চেষ্টা করছেন।
এতে করে অন্যদের মাঝে সংক্রমণের আশংকা কমে আসবে।

২. জ্বর আসলে কী করবেন

করোনাভাইরাস সংক্রমণ থামানোর যেহেতু কোন ঔষধ নেই সেজন্য সাধারণ সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে যে ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয় সেগুলো অনুসরণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
ঢাকার বক্ষব্যধি হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী সাইফুদ্দিন বেন্নুর বলেন, প্যারাসিটামল খাওয়া এবং গার্গল করা করা যেতে পারে।
জ্বর এলেই আতঙ্কিত না হাবার পরামর্শ দিচ্ছেন মি. বেন্নুর। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

৩. কফ থাকলে যা করবেন

যদি আপনার কফ জমে থাকে বসার সময় পিঠে ভর দিয়ে হেলান দিয়ে না বাসাই ভালো। মেরুদণ্ড সোজা করে বসুন। এতে কফ কিছুটা হালকা হয়ে আসতে পারে।
ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ওয়েবসাইটে এ তথ্য দেয়া হয়েছে।
সেখানে আরো বলা হয়েছে, কফ হালকা করার জন্য এক চামচ মধু খেতে পারেন। এতে উপকার হতে পারে। তবে বারো বছর বয়সের নিচে বাচ্চাদের মধু দেবেন না।

৪. টেস্ট সেন্টারের ফোন নম্বর রাখুন

বাংলাদেশে এখন ৪৫টির মেতো ল্যাবরেটরিতে করোনাভাইরাসের টেস্ট করানো হচ্ছে। আপনার নিকটস্থ টেস্ট সেন্টার কোথায় হতে পারে সে সংক্রান্ত খোঁজ রাখুন।
এখন কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাসায় গিয়ে নুমনা সংগ্রহ করছে। তাদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে রাখতে পারেন।

৫. অক্সিজেন ভাড়া নিতে পারেন

শ্বাসকষ্ট হলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন হয়। কিন্তু বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রেই সেটি সম্ভব হচ্ছে না।
এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটোছুটি করতে করতে রোগীর অবস্থা আরো অবনতি হয়।
রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে না পারলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাসায় অক্সিজেন নিতে পারেন।
ঢাকার বক্ষব্যধি হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী সাইফুদ্দিন বেন্নুর বলেন, "অক্সিজেন বাসায় নেবার সিস্টেম আছে। আমরা যখন লং টাইম অক্সিজেন থেরাপি দেই, আমরা কখন অক্সিজেন বাসায় নিতে বলি রোগীদের।" তিনি বলেন, কোভিড১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে হাই ফ্লো অক্সিজেন দিতে হবে।

৬. টেলিমেডিসিন সম্পর্কে জেনে রাখুন

করোনা সংক্রমনের এই সময়টিতে অনেক চিকিৎসক রোগীদের সরাসরি দেখছেন না। অধিকাংশ ডাক্তারের চেম্বারও বন্ধ।
তবে গত দুইমাসে বহু ডাক্তার টেলিফোন এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।
বেশকিছু সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডাক্তারদের মাধ্যমে টেলিফোনে অথবা ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে।
যেসব প্রতিষ্ঠান এ ধরণের সুবিধা দিচ্ছে তাদের ফোন নম্বর হাতের কাছে রাখতে পারেন। টেলিফোন নম্বর জানা থাকলে প্রয়োজনের সময় দ্রুত কাজে লাগবে।
চিকিৎসক সাইফুদ্দিন বেন্নুর বলেন, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিয়ে তিনি ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত সন্তুষ্ট হতে পারেন।
তিনি বলেন, বেশিরভাগে ক্ষেত্রে রোগীদের উদ্বেগ প্রশমনেও ভূমিকা রাখে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা।

Thursday, September 26, 2019

আগস্টে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ২০ লাখ

আগস্টে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ২০ লাখ


দেশে বেড়েই চলছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। বিশেষ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে শুরু করে। মূলত সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি ও দাম কমে যাওয়ায় এর ব্যবহারকারী বৃদ্ধি পেতে থাকে। এ বছরের জুলাই মাসের শেষে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯ কোটি ৬১ লাখ ৭৬ হাজার। তার ঠিক এক মাস পরে (গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত) এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৯ কোটি ৮১ লাখ ৩৬ হাজারে। এক মাসের ব্যবধানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়েছে প্রায় ২০ লাখ ৪০ হাজার। শুধু ইন্টারনেট ব্যবহারকারীই নয়, দেশে ব্যান্ডউইথের ব্যবহারও বেড়েছে। বর্তমানে দেশে এক হাজার ৪০০ জিবিপিএস (গিগাবিটস পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে। 
দেশে ব্যান্ডউইথের ব্যবহার বাড়ার পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বাড়ছে। তবে এক মাসে ২০ লাখ গ্রাহক বাড়ার কারণ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা এও বলছেন, গত এক মাসে বা কিছু সময় আগে ব্রডব্যান্ড গ্রাহকের সংখ্যা সেভাবে বাড়েনি। গ্রোথ একই রয়েছে, যা গ্রাহক বেড়েছে তার সবই মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। গত জুন মাসে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৯ কোটি ৬১ লাখ ৯৯ হাজার। এর আগের মাস তথা মে মাসে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪৫ হাজার।
দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-ইউ-৪ এর মাধ্যমে দেশে ব্যান্ডউইথ আসছে ৪০০ জিবিপিএস। অন্যদিকে সেকেন্ড সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-ইউ-৫ এর মাধ্যমে আছে ৭০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ। অবশিষ্ট ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আসছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আইটিসির (ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল) মাধ্যমে। প্রসঙ্গত, দেশের ৬টি আইটিসি হলো—সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেড, ফাইবার অ্যাট হোম, নভোকম লিমিটেড, ওয়ান এশিয়া, বিডি লিংক কমিউনিকেশন লিমিটেড ও ম্যাংগো টেলিসার্ভিসেস লিমিটেড।
এ বিষয়ে ইন্টারনেট বিশেষজ্ঞরা জানান, ‘আইএসপির মাধ্যমে বর্তমানে গ্রাহকরা ৯০০ জিবিপিএস’র মতো ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করছেন। আর মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকরা ব্যবহার করছে ৫০০ জিবিপিএস।’ যা রীতিমতো উল্লেখযোগ্য উন্নতি।

Sunday, September 1, 2019

মেডিকেল পরীক্ষা: কোচিং সেন্টার বন্ধ, অনলাইনে নজরদারি

মেডিকেল পরীক্ষা: কোচিং সেন্টার বন্ধ, অনলাইনে নজরদারি


আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত দেড় মাসের জন্য রাজধানীসহ সারাদেশে মেডিকেল কোচিং সেন্টার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। আগামী ৪ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীন রাজধানীসহ সারাদেশের ১৯টি সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের (২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে এ পরীক্ষা নেয়া হবে।
এছাড়া এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা কোথাও ভুয়া প্রশ্ন কেনাবেচা রুখতে অনলাইন নজরদারি জোরদার করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন আইডি, পেজ কিংবা গ্ৰুপ থেকে প্রশ্ন বিক্রির আহ্বান করা হচ্ছে কিনা- সে বিষয়ে কাজ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার মনিটরিং সেল। এসব পেজে কারা লাইক কমেন্টস করছে, কারা যোগাযোগ করছে এবং কারা এসব পেজ পরিচালনা করছে সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডাক্তার এ কে এম আহসান হাবীব জানান, মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা বরাবরই সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে সরকারের ঊর্ধ্বতন নীতিনির্ধারক রয়েছেন। সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সর্বদা সজাগ রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গত ২৭ আগস্ট থেকে অনলাইনে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়। প্রথম দুদিনে ৪৬ হাজার আবেদন জমা পড়ে। ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদনের গ্রহণ করা হবে। আগামী ৪ অক্টোবর (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রে কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীসহ সারাদেশে লিখিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বর্তমানে সরকারি ৩৬টি মেডিকেল কলেজে মোট আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৬৮টি। তার মধ্যে ৩ হাজার ৯৬৬টি সাধারণ আসন, ৮২টি মুক্তিযোদ্ধা ও ২০টি উপজাতি কোটা। ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে পদার্থবিদ্যায় ২০, রসায়নবিদ্যা ২৫, জীববিজ্ঞান ৩০, ইংরেজি ১৫ ও বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান ১০ নম্বর থাকবে।
‘ফাইভ-জি চালুকারী দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে থাকবে বাংলাদেশ’

‘ফাইভ-জি চালুকারী দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে থাকবে বাংলাদেশ’


  
ফাইভ-জি চালুকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম সারিতে থাকবে। আমরা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে- কৃষিক্ষেত্র, মৎস্যক্ষেত্র এবং জিডিপির উন্নয়নে কী করেছি, সেসব কথা অনেক বলা হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ডিজিটাল বিপ্লবের ক্ষেত্রে সারা দুনিয়াকে যে পথ দেখিয়েছি তা বলা হয় না বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্নই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেরণা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু এই সেমিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
ডাকসুর বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক আরিফ ইবনে আলীর সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মো. রাজি হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. কাজী মুহাইমিন আস-সাকিব, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. রশীদুল হাসান প্রমুখ।

Monday, August 26, 2019

দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজ

দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজ


গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে এখন পর্যন্ত জায়গা বরাদ্দ পেয়েছে ২৭টি প্রতিষ্ঠান। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একাধিকবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর পরও দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে এই হাইটেক সিটি।
১৯৯৯ সালের ১৩ জুলাই বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের সভায় কালিয়াকৈরে ২৩১ একর জমিতে হাইটেক পার্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে এর আয়তন বাড়িয়ে করা হয় ৩৫৫ একর। এতে উচ্চগতির ইন্টারনেট, সার্বক্ষণিক বিদ্যুত সরবরাহ, যোগাযোগের জন্য শাটল ট্রেন এবং কম দামে জায়গা বরাদ্দ পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এতে অন্তত ১ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় প্রকল্পটি পিপিপি মডেলে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এই হাইটেক সিটিতে উৎপাদিত পণ্যে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কর অবকাশ সুবিধা পাবেন উৎপাদকরা। উৎপাদিত সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার পণ্য রফতানিতে উৎপাদকরা ১০ শতাংশ প্রণোদনা পাবেন। ৩৫৫ একর জমির ওপর নির্মিতব্য বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প। এতে রয়েছে ৬টি ব্লক। এরমধ্যে ১ নম্বর ব্লকে রয়েছে ৬৫ একর জায়গা, দুই নম্বর ব্লকে ৬২ একর, তিন নম্বর ব্লকে ৪০, চার নম্বর ব্লকে ৩৬, পাঁচ নম্বর ব্লকে ২৯ এবং ৬ নম্বর ব্লকে ৯৭ একর জমি রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি কর্তৃপক্ষ ৬ নম্বর ব্লকে ২১টি প্রতিষ্ঠানকে সরাসরি বরাদ্দ দিয়েছে। এরমধ্যে ৪টির বরাদ্দ বাতিল হয়েছে। মোট জায়গার মধ্যে ডেভেলপার ও অবকাঠামো নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান সামিট টেকনোপলিস দুই ও পাঁচ নম্বর ব্লক, ফাইবার এ্যাট হোম তিন নম্বর ব্লক উন্নয়নের দায়িত্ব পেয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি এরইমধ্যে ৫টি করে প্রতিষ্ঠানকে জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জায়গা বরাদ্দ পেয়েছে যেসব প্রতিষ্ঠান:
আগামী ৪০ বছরের জন্য বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে রবি, জেনেক্স, বিজেআইটি সফটওয়্যার, ফেয়ার ইলেক্ট্রনিকস, কেডিএস গ্রুপ, ইন্টারক্লাউড, বিজনেস অটোমেশন, নাসডাক টেকনোলজিস, জেআর এন্টারপ্রাইজ, বিজনেস অটোমেশন লিমিটেড, ডেটা সফট, আমরা হোল্ডিংস, ভেড নেট লিমিটেড, স্পেকট্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কনসোর্টিয়াম লিমিটেড, মিডিয়া সফট, ডেটা সিস্টেম লিমিটেড, ইউওয়াই সিস্টেম লিমিটেড, এসবি টেল এন্টারপ্রাইজ, ইউনিকম বাংলাদেশ ও সিস্টেক ডিজিটাল।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে সফটওয়্যার কোম্পানি ক্যাটাগরিতে দেড় একর জায়গা বরাদ্দ পেয়েছে রবি। মোবাইল অপারেটরটি সেখানে ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্সকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তিন একর জমি। প্রতিষ্ঠানটি ইলেক্ট্রনিক্স, হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার উৎপাদনে বিনিয়োগ করবে ১০ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া বরাদ্দ পাওয়া ৯টি কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে ২০ দশমিক ৫০ একর জমি। প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগ করবে ১৪০ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ডলার।
দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে।
জানা গেছে, রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজ শেষ হলে এখানে ১৪ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ২০২১ সালের মধ্যেই আইটি খাতে কর্মতৎপরতার জন্য বিশ্ব রাজশাহীকে চিনবে নতুন নামে।  ভারতের ব্যাঙ্গালুরু, আমেরিকার সানফ্রানসিসকো ও ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন সিটির মতো বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে বিশ্বমানের সফটওয়্যার তৈরি হবে। 
হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গেছে, ৩১ দশমিক ৬৩ একর জায়গার উপর ২৮১ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির আদলে তৈরি করা হচ্ছে রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের অবকাঠামো।  এখানে গড়ে তোলা হবে ১০ তলা একটি ভবন। এছাড়া ৬২ হাজার বর্গফুট আয়তনের পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি আইটি ইনকিউবেটর কাম ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হবে।  আগামী তিন বছরের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। উল্লেখ্য, দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ২০২১ সালের মধ্যে সারা দেশের ২৮টি পার্কের কাজ শেষ করতে চায় সরকার। এসব আইটি পার্কে সরাসরি তিন লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আর পরোক্ষভাবে প্রায় ২০ লাখ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে বলে জানা গেছে।

Friday, August 23, 2019

মাধ্যমিকে বাধ্যতামূলক হচ্ছে কর্মমুখী শিক্ষা

মাধ্যমিকে বাধ্যতামূলক হচ্ছে কর্মমুখী শিক্ষা



সাধারণ শিক্ষার উভয় ধারায় (স্কুল ও মাদ্রাসা) ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কর্মমুখী প্রকৌশল শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে ২০২১ সাল থেকে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে পাঠ্যক্রম (সিলেবাস) প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে। এর আওতায় বই সম্পাদনের কাজও চলছে। এছাড়া নবম-দশম শ্রেণিতে কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বুধবার (২১ আগস্ট) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সংসদীয় কমিটির গত বৈঠকে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়। বুধবার মন্ত্রণালয় সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন অগ্রগতি কমিটিকে জানিয়েছে।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার জন্য কর্মমুখী প্রকৌশল শিক্ষা ১, ২ ও ৩ নামক তিনটি বই প্রণয়নের জন্য সিলেবাস তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে বই সম্পাদনের কাজ।

এছাড়া নবম-দশম শ্রেণির সব শাখায় (বিজ্ঞান/মানবিক/ব্যবসায় শিক্ষা) কারিগরি শিক্ষার বই বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ওয়ার্কশপ করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাক-বৃত্তিমূলক ও বৃত্তিমূলক কোর্স চালুর জন্য সম্ভাব্য বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে, যা চূড়ান্তকরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আফছারুল আমীন বলেন, ‘আমরা আগের বৈঠকে সাধারণ শিক্ষায় কর্মমুখী শিক্ষা চালুর সুপারিশ করেছিলাম। আজকের বৈঠকে মন্ত্রণালয় থেকে তার অগ্রগতি জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছে, ২০২১ সাল থেকে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে।’

এদিকে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতিটি শ্রেণিতে প্রতি বছরের জন্য নির্ধারিত সিলেবাস শ্রেণি কার্যক্রমের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হয় কিনা তা নজরদারিতে রাখার সুপারিশ করেছে কমিটি।

আফছারুল আমীনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, একেএম শাহাজাহান কামাল, ফজলে হোসেন বাদশা, আবদুস সোবহান মিয়া এবং গোলাম কিবরিয়া টিপু অংশ নেন।

Tuesday, August 20, 2019

রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে কাজের সুযোগ হবে ১৪ হাজার তরুণের

রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে কাজের সুযোগ হবে ১৪ হাজার তরুণের


দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে।  তারই ধারাবাহিকতায় বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে।
জানা গেছে, রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজ শেষ হলে এখানে ১৪ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।  ২০২১ সালের মধ্যেই আইটি খাতে কর্মতৎপরতার জন্য বিশ্ব রাজশাহীকে চিনবে নতুন নামে।  আরো জানা গেছে, ভারতের ব্যাঙ্গালুরু, আমেরিকার সানফ্রানসিসকো ও ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন সিটির মতো বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে বিশ্বমানের সফটওয়্যার তৈরি হবে। 
হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গেছে, ৩১ দশমিক ৬৩ একর জায়গার উপর ২৮১ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির আদলে তৈরি করা হচ্ছে রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের অবকাঠামো।  এখানে গড়ে তোলা হবে ১০ তলা একটি ভবন।  এছাড়া ৬২ হাজার বর্গফুট আয়তনের পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি আইটি ইনকিউবেটর কাম ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হবে।  আগামী তিন বছরের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
উল্লেখ্য, দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ২০২১ সালের মধ্যে সারা দেশের ২৮টি পার্কের কাজ শেষ করতে চায় সরকার।  এসব আইটি পার্কে সরাসরি তিন লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।  আর পরোক্ষভাবে প্রায় ২০ লাখ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে বলে জানা গেছে।
তথ্য প্রযুক্তির সহজলভ্যতা, সরকারি সেবায় সুবিধা পাচ্ছে দেশবাসী

তথ্য প্রযুক্তির সহজলভ্যতা, সরকারি সেবায় সুবিধা পাচ্ছে দেশবাসী


সরকারি সেবা সহজ করে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছে বর্তমান সরকার।  ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করার মাধ্যমে সরকারি সেবা সহজলভ্য করতে সরকার এরই মধ্যে ই-গভর্মেন্ট সেবা চালু করেছে।
 
জানা গেছে, দেশে দেড় হাজারের মতো সরকারি সেবা রয়েছে।  এসব সেবা ডিজিটাইজড করার মাধ্যমে দুর্নীতির মাত্রা জিরো লেভেলে আনতে কাজ করছে সরকার।  পাশাপাশি জনসেবার বিষয়টি মাথায় রেখে হয়রানি বন্ধে সরকারের ডিজিটাল কার্যক্রমের সুবিধা পেতেও শুরু করেছে দেশবাসী।  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেবার মান বৃদ্ধির কারণে সরকারি সেবা হয়েছে সহজলভ্য ও এবং সাশ্রয়ী। 
বিভিন্ন তথ্যানুসারে, ডিজিটাল সেবা চালুকরণে দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের চেয়ে অল্প সময়ে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।  জনগণের দ্বারপ্রান্তে সরকারি সেবা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বকে মডেল রেখে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।  পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে একযোগে বাংলাদেশেও ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক সেবা চালু হবে।  ইন্টারনেটের মূল্য কমিয়ে আনা হয়েছে, বাড়ানো হয়েছে সেবা।  যার কারণে সরকারি কাজে এসেছে গতি। 
সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প অনুমোদন, বাস্তবায়ন এবং তদারকিতে ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণ করছে সরকার।  সরকারি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় লেগেছে তথ্য-প্রযুক্তির ছোঁয়া।  যার কারণে দুর্নীতি কমেছে এবং বেড়েছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।  মন্ত্রণালয়, সচিবালয়, সরকারি অফিস-আদালত, স্থানীয় পৌরসভা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে ই-সেবা।  বিদ্যুৎ-গ্যাস বিল দেয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় সেবা এখন তথ্য প্রযুক্তির সেবায় গ্রহণ করতে পারছে মানুষ। 
২০০৮ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ শুরু করেন, তার আগের সরকারের আমলে বাংলাদেশ পরপর ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল৷ এখন প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে মানুষের সময়, অর্থ-দুর্নীতি সবই কমে এসেছে৷ আগে কিছু করতে হলে মানুষকে শারীরিকভাবে সেখানে উপস্থিত হতে হতো৷ এখন অটোমেশনের ফলে শারীরিক উপস্থিতি যেমন কমছে, তেমনি দুর্নীতিও কমছে৷ গত ৯ বছরে প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে সারা বিশ্বে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, দুর্নীতির সূচক অনেকটা সম্মানজনক জায়গায় এসেছে বাংলাদেশ।  সবই সম্ভব হয়ে সরকারি সেবা ডিজিটাল সিস্টেমের আওতায় আনার জন্য।  আগে এটিএম কার্ড ছিল না, মোবাইল ব্যাংকিং ছিল না৷ এখন ৫ কোটিরও বেশি মানুষ অনলাইন ব্যাংকিং সেবা নিচ্ছেন৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছেন ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ স্থাপনের মাধ্যমে৷ ব্যাংকিং সেক্টরে এখন অর্ধেক লেনদেন অনলাইনে হচ্ছে।  মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে।  তেমনি করে কোটি কোটি টাকা রেমিট্যান্স আসছে ডিজিটাইজড সিস্টেমে। 
এক কথায় তথ্য প্রযুক্তির ছোঁয়ার পাল্টে যাচ্ছে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক চিত্র।  পাল্টাচ্ছে মানুষের জীবনমান।  সরকারি সেবায় গতি ও স্বচ্ছতা বাড়ায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে দূর্বার গতিতে।
২০২৩ সালের মধ্যেই সকল প্রাইমারি স্কুলে দেওয়া হবে দুপুরের খাবার

২০২৩ সালের মধ্যেই সকল প্রাইমারি স্কুলে দেওয়া হবে দুপুরের খাবার


২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব প্রাইমারি স্কুলে শিশুদের দুপুরের খাবার দেয়া হবে। বর্তমানে দেশের ১০৪টি উপজেলায় শুকনো ও রান্না করা খাবার দেয়া হচ্ছে। এর বদলে শুধু শুকনো খাবার দেয়ার প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে সরকার। প্রতিটি শিশুর জন্য দুপুরের খাবার বাবদ বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২০ থেকে ২২ টাকা। এ সংক্রান্ত ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি-২০১৯’ অনুমোদনের জন্য আজ মন্ত্রীসভার বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রীসভার বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে আরও রয়েছে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন, বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল আইনসহ বেশকিছু অবহিতকরণ প্রস্তাব। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি-২০১৯’ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, বর্তমানে দেশের ১০৪টি উপজেলার কিছু স্কুলে পরীক্ষামূলকভাবে রান্না ও শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছে। এসব স্কুলে শিক্ষার্থীর ভর্তি শতভাগ নিশ্চিত হয়েছে। উপস্থিতির হার আগের তুলনায় ৫-১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
 যেসব স্কুলে রান্না করা খাবার দেয়া হচ্ছে সেখানে উপস্থিতির হার বেড়েছে ১১ শতাংশ আর শুকনো খাবার (বিস্কুট) দেয়া স্কুলগুলোতে বেড়েছে ৬ শতাংশ। শিক্ষার্থীদের রক্তস্বল্পতার হার কমেছে যথাক্রমে ১৬ দশমিক ৭ ও ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এসব স্কুলের শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হারও কমেছে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সরকারের চলতি মেয়াদেই দেশের সব প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার দেয়া হবে।
 নানা জটিলতায় সেখানে শুকনো খাবার (ডিম, কলা ও উন্নতমানের বিস্কুট) দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সরকারের নীতিনির্ধারকরা যে সিদ্ধান্ত নেবে তাই বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রকল্পের ব্যয় কিভাবে নির্বাহ করা হবে- জানতে চাইলে সচিব বলেন, রান্না করা খাবারের কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবিত নীতিতে। এতে প্রতি বছর ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে ফান্ড দিচ্ছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। তবে আগামীতে এ প্রকল্প সরকারের টাকায় বাস্তবায়ন করা হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এ সংক্রান্ত ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) চূড়ান্ত করা হবে। এতে রান্না করা ও শুকনো খাবার দুটো প্রস্তাবই থাকবে। সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল যেটি পছন্দ করবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। একটি শিশুর জন্য প্রতিদিন ২০-২২ টাকা বরাদ্দ ধরে ডিপিপি তৈরি হচ্ছে।
প্রস্তাবিত নীতিতে বলা হয়েছে- প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী দেশের সব শিশুকে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে পর্যায়ক্রমে স্কুল মিল নীতির আওতায় আনা হবে।
তাদের শিক্ষা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তায় যথার্থ আবদান রাখা যাবে। এ কার্যক্রম শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিসহ গ্রাম ও শহর, ধনী ও গরিবের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে শিক্ষার মানের ব্যবধান কমাতে সাহায্য করবে। 
শিক্ষার্থীদের মেধার উৎকর্ষ সাধন, চিন্তা ও কল্পনা শক্তির বিকাশ, সৃজনশীলতা এবং দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদে পরিণত হতে ভূমিকা রাখবে। এটি কার্যকর হলে প্রাথমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভর্তি, উপস্থিতির হার বৃদ্ধি, পাঠে মনোনিবেশ ও বিদ্যালয় ধরে রাখতে অবদান রাখবে।
শিশুদের পুষ্টির বিষয়ে এতে আরও বলা হয়েছে- ৩ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় শক্তির চাহিদার ন্যূনতম ৩০ শতাংশ স্কুল মিল থেকে আসা নিশ্চিত করা হবে। বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে ৫ দিন রান্না করা খাবার এবং একদিন উচ্চপুষ্টিমান সম্পন্ন বিস্কুট সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।

Sunday, August 18, 2019

শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে কম্পিউটার শিক্ষা ও ইংরেজি চর্চা

শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে কম্পিউটার শিক্ষা ও ইংরেজি চর্চা


সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে কম্পিউটার শেখার সুযোগ মিলবে। থাকবে ইংরেজি ভাষা চর্চার সুযোগও। এ লক্ষ্যে সারাদেশের ৫০৯টি উপজেলায় কম্পিউটার ল্যাব ও ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পড়ালেখার পাশাপাশি ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা প্রতি সপ্তাহে একদিন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও ইংরেজি ভাষা চর্চার সুযোগ পাবে। চলতি বছর এপ্রিলে এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। আগামী সেপ্টেম্বরে বিদ্যালয়গুলোতে ল্যাব স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা। বর্তমানে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ শুরু হয়েছে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) থেকে জানা গেছে।
আরও জানা যায়, সারাদেশের ৫০৯টি প্রাথমিক শিক্ষা উপজেলার একটি করে বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব ও ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে পাঁচটি করে কম্পিউটার দেয়া হবে। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন পড়ালেখার পাশাপাশি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। শুধু তা-ই নয়, ল্যাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ভাষা চর্চারও সুযোগ পাবে।
computerlab
জেলার প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেবেন। এ কার্যক্রম জেলা-উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা ও থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ভারতের অর্থায়নে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। দুই বছর মেয়াদের এ প্রকল্পে ভারত সরকার ২৪ কোটি ৯৯ লাখ ৭৩ হাজার এবং বাংলাদেশ সরকার দুই কোটি ৪১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা ব্যয় করবে। প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে ‘প্রতিটি উপজেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ও ল্যাঙ্গুয়েজ ক্যাব’ স্থাপন। যেসব নির্ধারিত উপজেলা শহরে বড় অবকাঠামোসম্পন্ন বিদ্যালয় রয়েছে, এমন বিদ্যালয় ল্যাবের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। আগামী মাসে এ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) নিয়োগ দেয়া হবে। পিডি নিয়োগের পর তার অধীনে মোট আটজন কর্মকর্তা দেয়া হবে। এরপর উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুযায়ী বাস্তাবায়ন কার্যক্রম শুরু হবে।
জানা গেছে, ল্যাব স্থাপনে এ প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নতমানের দুই হাজার ৫৪৫টি কম্পিউটার ক্রয় করা হবে। এর সঙ্গে প্রিন্টার, সাউন্ড সিস্টেম, ফার্নিচারসহ বিভিন্ন জিনিস ক্রয় করার কথা রয়েছে।
‘এ কার্যক্রমের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য বিদ্যালয়েও এ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। আগামী মাসে (সেপ্টেম্বর) এ প্রকল্পের পিডি নিয়োগ দেয়া হবে। এরপর প্রকল্পের বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হবে’- জানান মনজুর কাদির।