Showing posts with label শিক্ষা. Show all posts
Showing posts with label শিক্ষা. Show all posts

Tuesday, April 5, 2022

এমবিবিএসে উত্তীর্ণ ৭৯ হাজার ৩৩৭, এগিয়ে মেয়েরা

এমবিবিএসে উত্তীর্ণ ৭৯ হাজার ৩৩৭, এগিয়ে মেয়েরা

 



বর্তমান প্রতিবেদক: দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ৭৯ হাজার ৩৩৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন; যাদের মধ্যে ৫৫ দশমিক ১৩ শতাংশই মেয়ে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরে এ ফলাফল ঘোষণা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মেডিক্যালে মোট ৪ হাজার ৩৫০টি আসনের বিপরীতে এবছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯১৫ জন; যা বিগত যেকোনও বছরের তুলনায় সর্বোচ্চ। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪২ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।

এদের মধ্যে ৩৪ হাজার ৮৩৩ জন ছেলে, মেয়ে ৪৪ হাজার ৫০৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। মেয়েদের পাসের হার ৫৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। ছেলেদের পাসের হার ৪৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। সর্বোচ্চ ৯২ দশমিক ৫ নম্বরও পেয়েছেন সুমাইয়া মুসলেম মিম। তিনি খুলনা মেডিক্যাল কলেজ কেন্দ্র থেকে অংশ নিয়েছিলেন। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ হাজার ৩৫০ জন দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। বাকিদের মধ্যে মেধাক্রম অনুযায়ী  ৭২টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে পারবেন। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে আসন সংখ্যা ৬ হাজার ৪৮৯টি।

Tuesday, February 22, 2022

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না: শিক্ষামন্ত্রী



শিক্ষামন্ত্রী



করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এক মাস বন্ধ থাকার পর খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে আর স্কুল-কলেজ বন্ধ করতে চান না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দেশের ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ভার্চুয়ালি যুক্ত করে নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সচেতন থাকতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে। করোনার কারণে আবারও আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না।

এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীকসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।


শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা নিজেরা করে করে শিখবে। যতটা সম্ভব ভালোভাবে তারা শিখবে। নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থী দক্ষ, যোগ্য হবে, মানবিক বোধ সম্পন্ন হয়ে গড়ে উঠবে। আমাদের উদ্দেশ্য যতগুলো জাতীয় লক্ষ্য আছে তা অর্জন করা, শান্তিপূর্ণ সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়া।

Sunday, February 13, 2022

রাজশাহী বোর্ডে পাশের হার ৯৭.২৯%

রাজশাহী বোর্ডে পাশের হার ৯৭.২৯%

 

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ এবার রাজশাহী বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক ২৯ ভাগ। যা অতিতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। এছাড়াও জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩২ হাজার ৮০০ জন। রোববার দুপুর ১২টায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে এ ফল ঘোষণা করা হয়েছে।

 

এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ৫০ হাজার ৭৪৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭৯ হাজার ৫১৭ এবং ছাত্রী ৭১ হাজার ২২৮। নিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ৩৯ হাজার ৫৮৯ জন।

এবার রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধিনে ৮ জেলার ৭৬১ টি কলেজ থেকে এ সকল শিক্ষার্থী এইচএসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। মোট ২০০ টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

Saturday, January 22, 2022

করোনা: দুই সপ্তাহ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে

করোনা: দুই সপ্তাহ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে

 


 সারাদেশে শিক্ষার্থীদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার হার আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় আগামী দুই সপ্তাহ স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।  মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। পরে শুক্রবার সকালে রাজধানীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ ঘোষণা দেন।



জাহিদ মালেক জানান, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার বিষয়ে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান নিজেরাই ব্যবস্থা নেবে।

 

তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমে আসায় আমরা স্কুল-কলেজ, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করেছিলাম। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, স্কুল-কলেজে সংক্রমণের হার বেড়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে... ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে আসছে। এটা আশঙ্কাজনক। এমন অবস্থায় আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আগামী দুই সপ্তাহ আমরা স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরে পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

দেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন স্কুলগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিচ্ছে।


Friday, January 21, 2022

এমপিওভুক্ত হলেন ২২৭৮ শিক্ষক-কর্মচারী

এমপিওভুক্ত হলেন ২২৭৮ শিক্ষক-কর্মচারী

 


নতুন করে দেশের আরও ২ হাজার ২৭৮ শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।বৃহস্পতিবার মাউশির মহাপরিচালকের (চলতি দায়িত্ব) সভাপতিত্বে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় ভার্চুয়ালি মাউশির উপপরিচালক (মাধ্যমিক) আজিজ উদ্দিন ও দেশের ১০টি অঞ্চলের উপপরিচালকরা যুক্ত ছিলেন।

এমপিও হলো মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার বা মাসিক বেতন আদেশ, যার মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন ওই প্রতিষ্ঠানের বদলে পরিশোধ করে সরকার।

 

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক বেলাল হোসাইন বলেন, ‘নিয়মিত এমপিও বৈঠকে স্কুল-কলেজ পর্যায়ে প্রায় ১০ হাজার আবেদনের মধ্যে ২ হাজার ২৭৮ শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।’

এর মধ্যে যাচাই-বাছাই করে স্কুল পর্যায়ে এক হাজার ৮৩০ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ৪৪৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। যেসব আবেদনে অসংগতি ছিল সেগুলো আরও যাচাই-বাছাই করে পরের সভায় তোলা হবে।

নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি বিজোড় মাসে একবার এমপিও কমিটির সভা হয়। সে হিসেবে বৃহস্পতিবার ডাকা সভায় শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

Tuesday, January 18, 2022

জাতীয়করণ হচ্ছে ১৮টি বিদ্যালয়

জাতীয়করণ হচ্ছে ১৮টি বিদ্যালয়


 বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন পাটকল দ্বারা পরিচালিত ৯টি মাধ্যমিক ও ৯টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি মিলেছে বলেও জানা গেছে। জাতীয়করণ পরবর্তী কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য এরই মধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে মন্ত্রণালয়।

জানা যায়, গত ১০ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ আবদুল হাই মিঞা সাক্ষরিত আদেশ জারি করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে ৪ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কি না সে বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়া।

২. বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক-কর্মচারী যারা কর্মরত উৎসব ভাতাসহ তাদের বেতন-ভাতায় কত টাকা প্রয়োজন তা নির্ধারণ করা।



৩. প্রতিষ্ঠানগুলোর অস্থায়ী ও স্থায়ী সম্পদ হস্তান্তরের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সব ধরনের পদোন্নতি ও নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখা।

৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে হস্তান্তরের শর্তে জাতীয়করণ করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

Tuesday, January 4, 2022

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি বাতিঘরের নাম, ছাত্রলীগের   ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস : খায়রুজ্জামান লিটন

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি বাতিঘরের নাম, ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস : খায়রুজ্জামান লিটন



ষ্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি বটবৃক্ষের নাম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি বাতিঘরের নাম। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এমন একটি ঐতিহ্যম-িত ঠিকানার নাম যেখান থেকে লক্ষ কোটি মানুষ শিক্ষা নিয়েছে ক্ষমা করার, দেশ গড়ার , নিজের পরিবারকে দেখার।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী কলেজ মাঠে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সকলের মুজিব ভাই ছিলেন। জাতির পিতা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সৃষ্টি করেছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সৃষ্টির আগেই। ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলদেশের ইতিহাস। ছাত্রলীগের ইতিহাস ঠিকমতো জানলে বাংলাদেশের ইতিহাস জানার বাকি থাকবে না। কারণ এই ছাত্রলীগ বারবার বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে, গ্রেপ্তার হয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে, নিপীড়িত হয়েছে, কিন্তু পেছনে ফিরে তাকাইনি। এই বাংলার মানুষ আগে কখনো আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নেয়নি। সেই বাঙালি জাতিকে উজ্জ্বিবিত করেছেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর নিদের্শে বাঙালি জাতি হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।

রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, স্বাধীনতার পরে ছাত্রলীগের ইতিহাস নানাভাবে প্রবাহিত হয়েছে। রাজনীতিতে চড়াই উৎরায় থাকাটা স্বাভাবিক। নানা চড়াই উৎরায় পেরিয়ে আজকে বাংলাদেশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে এমন একটি জায়গায় পৌছে গেছে, সেখান থেকে আর পেছনে ফিরে তাকানোর কোন প্রয়োজন নেই। আজকে আমরা গর্ব করে বলতে পারি, ধারাবাহিকভাবে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার মধ্যে এশিয়ার মধ্যে অন্যতম দেশ বাংলাদেশ। করোনকালীন সংকটে রেমিটেন্স, রপ্তানি আয় সব কিছু মিলিয়ে আমরা পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে ভারতকে ছুঁইছুঁই করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। দেশের উন্নয়নের জন্য ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সকল সংগঠন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল মানুষকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে থাকতে হবে।

সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানকে কণ্ঠে ও অন্তরে চিরতরে ধারণ করে রাখতে হবে। কারণ এই দেশকে আর কখনো পেছনের দিকে অন্ধকারে যেতে দেওয়া যাবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, সেটির ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা। সভার সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম এবং সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবিন সবুজ। আলোচনা সভা শেষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয় এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 


Sunday, January 2, 2022

রাবির মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে শহীদ কামারুজ্জমান  এন্ড জাহানারা ফাউন্ডেশনের বৃত্তি ও সম্মাননা প্রদান

রাবির মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে শহীদ কামারুজ্জমান এন্ড জাহানারা ফাউন্ডেশনের বৃত্তি ও সম্মাননা প্রদান

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ  রাজশাহী  বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শহীদ কামারুজ্জামান এন্ড জাহানারা ফাউন্ডেশন’ বৃত্তি ও সম্মাননা প্রদান এবং ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেম’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে রাবির শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ কামারুজ্জামান এন্ড জাহানারা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। অনুষ্ঠানে শহীদ কামারুজ্জামান এন্ড জাহানারা ফাউন্ডেশন থেকে বিশ^বিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষার্থীকে বৃত্তির চেক ও সম্মাননা প্রদান করেন সিটি মেয়র লিটন। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকে প্রতি মাসে ৩ হাজার করে টাকা আগামী চার বছর পাবেন।


বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের জিন্নাত মামদুহা ইমু, আইন বিভাগের সম্পৃক্তা রায়, অর্থনীতি বিভাগের অনু খাতুন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের আজমির জাহান, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মোঃ জাহিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের কাছে পৌছে দিতেন জাতীয় চার নেতা। তাঁরা দেশপ্রেমে মানুষের কল্যানে এতোটায় ব্যস্ত ছিলেন যে, আমরা যারা জাতীয় চার নেতার পরিবারের সদস্যরা আছি, তারা বাবাদের তেমন কাছে পেতাম না।’

মেয়র আরো বলেন, ‘অস্বচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দিতে আমার বাবা শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান ও মা মরহুমা জাহানারা জামানের নামে ফাউন্ডেশন থেকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করেছি। এবার ১মবার বৃত্তি প্রদান করা হলো। আগামীতে প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত শিক্ষার্থীদেরকে এই বৃত্তি প্রদান করা হবে।’

সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাখাতের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। অবকাঠামো নির্মাণসহ শিক্ষার মান উন্নয়ন করেছেন। শুধু শিক্ষাখাত নয়, দেশের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বের বিস্ময়। সবই সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. সুলতান-উল ইসলাম। মুখ্য আলোচক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. আবুল কাশেম। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রশাসনের উর্ধ্বর্তন কর্মকর্তা, রাজশাহী মহানগর ও  স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।








Thursday, December 30, 2021

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৯৪.৭১ শতাংশ

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৯৪.৭১ শতাংশ

 


স্টাফ রিপোর্টারঃ   রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে এবার এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৯৪ দশমিক ৭১ শতাংশ। গত বছরের চেয়ে এবার এ বোর্ডে পাসের হার বেড়েছে। একই সাথে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও বেড়েছে। এছাড়াও পাস ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তের দিক থেকে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা।

এ বোর্ডের ফলালফ বিশ্লেষণে দেখা গেছে,  মেয়েদের পাসের হার ৯৫.৪৬ এবং ছেলেরা পাস করেছে ৯৪.০৪ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭ হাজার ৭০৯ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্রী ১৪ হাজার ৭৩৯ জন এবং ১২ হাজার ৯৭০ জন ছাত্র। গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৬ হাজার ১৬৭ জন পরীক্ষার্থী।

এ বছর রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের অধিনে পরীক্ষার্থী সংখা ছিল ২ লাখ ৬ হাজার ৩১৪ জন। এরমধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৪০৬ জন। ২ হাজার ৬৬৭ স্কুলের মধ্যে শতভাগ পাস করেছে ৩৯৮ স্কুলের শিক্ষার্থীরা। যা গতবার শতভাগ পাস করা স্কুলের সংখ্যা ছিল ৩০৮টি। সেদিক থেকে এবার  রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা। 

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম জানান, এবার এসএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৯৪ দশমিক ৭১ শতাংশ। মেয়েদের পাসের হার ৯৫.৪৬ এবং ছেলেরা পাস করেছে ৯৪.০৪ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭ হাজার ৭০৯ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্রী ১৪ হাজার ৭৩৯ জন এবং ১২ হাজার ৯৭০ জন ছাত্র।

সহকারী অধ্যাপক হলেন ১ হাজার ৪৭৯ প্রভাষক

সহকারী অধ্যাপক হলেন ১ হাজার ৪৭৯ প্রভাষক


বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষক পর্যায়ের ১ হাজার ৪৭৯ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে সহকারী অধ্যাপক করা হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষা ছুটি বা প্রেষণে থাকা ১৭ প্রভাষককে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত হলেও এ বিষয়ে আদেশ জারি হবে ছুটি শেষে যোগ দেয়ার পর।

বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আলাদা দুটি প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফৌজিয়া জাফরীন বলেন, ‘পদোন্নতির নীতিমালা অনুযায়ী প্রভাষক পর্যায়ের ১ হাজার ৪৭৯ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে সহকারী অধ্যাপক করা হয়েছে।’

 

একটি প্রজ্ঞাপনে ১ হাজার ৪৭৯ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে যোগ দিয়ে আগের পদেই দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। এই যোগদান প্রক্রিয়া সরাসরি বা অনলাইনে সম্পন্ন করা হবে।

আরেক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, শিক্ষা ছুটি বা প্রেষণে থাকা ১৭ প্রভাষককে পদোন্নতির আদেশ জারি হবে ছুটি শেষে যোগ দেয়ার পর।

Sunday, December 26, 2021

বছরের প্রথম দিন থেকেই বই বিতরণ করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

বছরের প্রথম দিন থেকেই বই বিতরণ করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

 

এবারও স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রয়োজনেই বই উৎসব হবে না জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনার কারণে গত বছরও এ উৎসব করা যায়নি। তবে এবার একেবারে বছরের প্রথম দিন থেকেই প্রতিটি বিদ্যালয় নিজেরা তাদের সূচি নির্ধারণ করবে- কবে কোনদিন কোন ক্লাসের বই দেবে। এভাবে তারা বছরের প্রথম দিন থেকেই বই বিতরণ করবে। প্রধানমন্ত্রী আগের মতোই ভার্চুয়ালি কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।

শনিবার চাঁদপুর শহরের নিজ বাসায় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি। নতুন বইয়ে ভুলভ্রান্তি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আশা করি, এবার ভুল কম থাকবে বা থাকবেই না। প্রিন্টিংয়ে অনেক সময় ভুল হয়। যদি কোথাও কোনো ভুলভ্রান্তি থাকে, আমরা সেগুলো শুধরে নেব।

তিনি বলেন, এখনও ওমিক্রনের আশঙ্কা আছে। পাশ্চাত্যে শীতকালে করোনা সংক্রমণ বাড়ে। আর আমাদের দেশে মার্চে সংক্রমণ বাড়ে। কাজেই মার্চ আসার আগে কিছু বলতে পারছি না। মার্চ এলে সংক্রমণের অবস্থা দেখে ক্লাস সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়াসহ নানা পরিকল্পনা আছে। আমরা সব তথ্য নিয়েছি, সেগুলোর বিশ্নেষণ হচ্ছে। কোথায় শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে আছে সেগুলো দেখছি; সে অনুযায়ী নতুন বছরে পদক্ষেপ নেব।

কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. জেআর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুরের পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, ফরিদগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটোয়ারীসহ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতারা।

Sunday, December 19, 2021

বড় পরিবর্তন আসছে শিক্ষায়

বড় পরিবর্তন আসছে শিক্ষায়

 


  • থাকবে না পিইসি জেএসসি

শিক্ষাকে আনন্দময় করে তোলা এবং শ্রেণীকক্ষেই পাঠদান সম্পন্ন করার ব্যবস্থা রেখে চলছে শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের কাজ। এ লক্ষ্যে ২০২২ সালে শিক্ষাক্রম পাইলটিংয়ের পর ২০২৩ সাল থেকে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে। তবে পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের আয়োজনে রক্তদাতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। 

 

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০২২ সাল থেকে প্রাথমিকে ১০০টি আর মাধ্যমিকে ১০০টি প্রতিষ্ঠানে পাইলটিং শুরু হচ্ছে। এজন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ চলছে, টিচার্স গাইড তৈরি হচ্ছে। ২০২৩ সাল থেকে এ কার্যক্রম সারাদেশে নিয়ে যাব। এরপর আমরা পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করব। ২০২৫ সালে সারাদেশে এটি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হবেএর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা উপস্থাপন বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার আসছে। পঞ্চম শ্রেণীর পিইসি, অষ্টম শ্রেণীর জেএসসি নামে পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করা হবে। পাশাপাশি নবম ও দশম শ্রেণীতে মানবিক, বিজ্ঞান, ব্যবসায়শিক্ষা নামে বিভাগ তুলে দেয়া হবে।

 

জানা যায়, পরিমার্জিত নতুন কারিকুলামে পরীক্ষা পদ্ধতির চেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর শিখনকালীন মূল্যায়ন বা ধারাবাহিক মূল্যায়নকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রাথমিকের তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পরীক্ষা রাখা হয়নি। শুধু তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্তই নয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে সামষ্টিক মূল্যায়ন বা পরীক্ষার পাশাপাশি ধারাবাহিক মূল্যায়ন রাখা হয়েছে বড় অংশে। আবশ্যিক বিষয় ছাড়া অন্য বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাদ দেয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয়ভাবে পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী (পিইসি), জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা নেয়া হবে। দেয়া হবে সনদ। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নবম ও দশম শ্রেণীর বই আলাদা করা হয়েছে। দশম শ্রেণীর পাঠ্যবই পড়িয়েই এসএসসি ও সমমানের পাবলিক পরীক্ষা নেয়া হবে। অর্থাৎ এসএসসির ও সমমান পরীক্ষার আগে আর কোন পাবলিক পরীক্ষা থাকছে না। উচ্চ মাধ্যমিকের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর বই আলাদা করা হয়েছে, পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে আলাদাভাবে। দুই পরীক্ষা ও মূল্যায়ন সমন্বয় করে ফলাফল দেয়া হবে বলেও জানা যায়।নতুন কারিকুলাম সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী এর আগে বলেন, নতুন এই কারিকুলামে দক্ষতা অর্জনের বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে বলা আছে। শিখন সময় প্রাথমিকে কতটা, মাধ্যমিকে কতটা হবে তা-ও বলা আছে। প্রাথমিকের শিক্ষাক্রম-২০১২ এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২০, সেগুলো সম্পর্কেও এই কারিকুলামে বলা আছে।

তিনি জানান, আগামী বছরই প্রাথমিকে প্রথম শ্রেণী এবং মাধ্যমিকে ষষ্ঠ শ্রেণীর পাইলটিং করা হবে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ১০০টি করে প্রতিষ্ঠানে পাইলটিং করা হবে। মাধ্যমিকের মধ্যে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। ছয় মাস পাইলটিংয়ের পর আমরা বিশ্লেষণ করতে পারব। ২০২৩ সালে পরিমার্জিত নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু করতে পারব। ২০২৩ সালে প্রাথমিকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে এটি চালু হবে। ২০২৪ সালে প্রাথমিকের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণী এবং অষ্টম ও নবম শ্রেণী। ২০২৫ সালে পঞ্চম শ্রেণী ও মাধ্যমিকের দশম শ্রেণীতে বাস্তবায়ন করা হবে

 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী (পিইসি), জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং সনদও দেয়া হবে। প্রাথমিক ও অষ্টম শ্রেণীর সমাপনীকে পাবলিক পরীক্ষা বলছি না। প্রাথমিক শেষে একটা এবং অষ্টম শ্রেণী শেষে একটা সনদ পাবেন শিক্ষার্থীরা। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণী ছাড়া সব শ্রেণীতে শ্রেণী সমাপনী পরীক্ষা হবে। শুধু তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত কোন ধরনের পরীক্ষা থাকবে না। পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণীতেও সনদ দেয়া হবে।

নবম দশম শ্রেণীতে বিভাগ বিভাজনও থাকবে না বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, নবম ও দশম শ্রেণী আলাদা হয়ে যাবে। আলাদা করে পরীক্ষা হবে। শুধু দশম শ্রেণীতে যা পড়ানো হবে, তার ওপরে ভিত্তি করে এসএসসি ও সমমানের পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। নবম ও দশম শ্রেণীর বই আলাদা হয়ে যাবে। কোন বিভাগ বিভাজন থাকবে না। সব শিক্ষার্থীই ১০টি বিষয় পড়বে।

Saturday, December 4, 2021

   `বাঙালি জাতীয়তাবাদের উৎস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়`

`বাঙালি জাতীয়তাবাদের উৎস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়`


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির আলোকবর্তিকা প্রজ্বলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিংহভাগ কৃতিত্বের অধিকারী। বাঙালি জাতীয়তাবাদের উৎস এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই অঞ্চলের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকলকে অন্তর্ভুক্ত করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা-গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তির থিম সং পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আলোচনা পর্বের সূচনা করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার ও অনারারি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ আলোচনা পর্ব উপভোগ করেন।

সভায় মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির আলোকবর্তিকা প্রজ্বলনে সিংহভাগ কৃতিত্বের অধিকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দেশের সকল ঐতিহাসিক আন্দোলন-সংগ্রামে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছেন।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সমৃদ্ধি অর্জনের ধারা অব্যাহত রেখে বিশ্ববিদ্যালয় আরও এগিয়ে যাবে এবং ভবিষ্যতেও দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ঐতিহ্য ও গৌরবের ধারা সমুন্নত রাখবে।

ফরহাদ হোসেন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের গর্বের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং দেশের সকল মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার তীর্থ বিদ্যাপীঠ। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শিক্ষা ক্ষেত্রে চিন্তা-চেতনায় যে পরিবর্তন ঘটছে তার জন্য আমাদের শিক্ষার্থীদের আরও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। জীবনমুখী, কর্মমুখী শিক্ষা ও গবেষণার মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদার মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন মানবসম্পদ তৈরি করবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, এই অঞ্চলের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সকল ঐতিহাসিক, গণতান্ত্রিক ও সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সফল নেতৃত্ব দিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।

কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকলকে অন্তর্ভুক্ত করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা-গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করার জন্য মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গড়ে উঠতে হবে।

অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, বাঙালি জাতিয়তাবাদের উৎস এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাই দেশ গড়ার কাজে সর্বাধিক ভূমিকা পালন করছেন। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী বিশ্বমানের মানবসম্পদ তৈরির ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্ব দেবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

আলোচনা পর্ব শেষে দেশের খ্যাতিমান শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

Wednesday, October 27, 2021

‘সপ্তাহখানেকের মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু’

‘সপ্তাহখানেকের মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু’

 



সপ্তাহখানেকের মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে বিএসএমএমইউ তৃতীয় গবেষণা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বছর প্রধানমন্ত্রী গবেষণার জন্য অধিক বরাদ্দ দিয়েছেন। গবেষকরা যেনো সঠিক সুযোগ পান সেদিকে নজর দেয়ার তাগিদ দেন শিক্ষামন্ত্রী।

গবেষণায় বরাদ্দের অর্থ ফিরে যাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলে, যারা গবেষণা করেন তারা নিয়মটা না জানার কারণে এমন হতে পারে। তবে ভালো গবেষকদের হতাশ না হয়ে গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

Thursday, October 21, 2021

সবক্ষেত্রে স্কুল-কলেজের পূর্ণ নাম ব্যবহারের নির্দেশ

সবক্ষেত্রে স্কুল-কলেজের পূর্ণ নাম ব্যবহারের নির্দেশ


সবক্ষেত্রে স্কুল-কলেজের পূর্ণ নাম ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

এদিকে আগামী ১ মাসের মধ্যে পূর্ণ নাম ব্যবহার শুরু করে প্রমাণসহ বিষয়টি বোর্ডকে জানাতে বলা হয়েছে।

 

আদেশে বলা হয়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্কুল-কলেজগুলো দাফতরিক ও অন্যান্য প্রয়োজনে দৃশ্যমান সাইনবোর্ড, চিঠিপত্রের প্যাড, বোর্ডের ডাটাবেজ ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ নাম ও প্রতিষ্ঠাকাল উল্লেখ না করে সংক্ষিপ্ত নাম বেছে নিচ্ছে। তাই সবক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ নাম ও প্রতিষ্ঠাকাল ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হলো।

 

পত্র ইস্যুর দিন থেকে আগামী একমাসের মধ্যে সাইনবোর্ড, প্যাড, ডাটাবেজ ইত্যাদিতে পূর্ণ নাম ব্যবহার নিশ্চিত করে তার প্রমাণসহ তথ্য ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাঠাতে হবে।

Monday, October 4, 2021

প্রাণ ফিরছে বিশ্ববিদ্যালয়ে

প্রাণ ফিরছে বিশ্ববিদ্যালয়ে


দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় পর প্রাণ ফিরছে দেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। চলতি মাসেই গুরুত্বপূর্ণ অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর তোড়জোড় চলছে। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান কর্মসূচিও অব্যাহত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থী অন্তত টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছে তারা টিকার কার্ড দেখিয়ে হলে উঠতে পারবে। আর যারা টিকা নেয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাদেরকেও দ্রুততার সাথে নিতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এ মাসেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ২২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, করোনা মহামারীর সংক্রমণ পরিস্থিতি সহনশীল পর্যায়ে থাকায় পর্যায়ক্রমে সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ই খুলে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সব স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল এবং ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার আগে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার বিষয়ে একটু সময় নেয়া হয়। তবে এবার সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে খুলছে বেশির ভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তথ্যানুযায়ী, দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে ৫১টি। এর মধ্যে ৪টিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়নি। বাকিগুলোর মধ্যে ৩৯টিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী প্রায় তিন লাখ। এ ছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ, মাদরাসাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। আর পাঁচটি আছে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়।
ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে ২৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এর মধ্যে ২২টি এ মাসেই খুলছে। বেশির ভাগই দিন-তারিখ ঠিক করেছে। আর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) চারটিতে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তারা শিক্ষার্থীদের করোনার প্রথম ডোজ টিকা নেওয়া সাপেক্ষে হলে ওঠার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
সূত্র জানায়, আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হলগুলো খুলছে। এরপর এসব শিক্ষার্থীর পরীক্ষাসহ অন্যান্য কার্যক্রম শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এরই মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থীর প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল খুলবে ১৭ অক্টোবর এবং ২০ তারিখ সশরীরে ক্লাস শুরু হবে। ২১ অক্টোবর খুলছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। তার আগে ১১ অক্টোবর সেখানকার আবাসিক হল খুলবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে ২০ অক্টোবর। এর আগে আবাসিক হলগুলো খোলা হবে ১৫ অক্টোবর এবং একই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন চালু হবে। গত মাস পর্যন্ত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ শতাংশের অধিক শিক্ষার্থীর টিকা দেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে এবং সশরীর ক্লাস শুরু হবে ২১ অক্টোবর। গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত শনিবার সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, ১৫ অক্টোবর থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের সব শিক্ষার্থী, স্নাতকের কয়েকটি অনুষদের চতুর্থ ও পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য হল খোলা হবে এবং ১৮ অক্টোবর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলবে ২৫ অক্টোবর। এর পর থেকে বিভাগগুলো তাদের বিভাগীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরাসরি ক্লাস নিতে পারবে। ১৮ অক্টোবর থেকে স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষ এবং স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল। এরপর ২৬ অক্টোবর থেকে অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে উঠানো হবে।
এ ছাড়া পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীর ক্লাস শুরু হবে ২৫ অক্টোবর এবং ২১ অক্টোবর হল খুলবে। বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ৭ অক্টোবর খুলবে এবং সশরীর ক্লাস শুরু ১৭ অক্টোবর। রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হচ্ছে আজ ৪ অক্টোবর। গোপালগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (চতুর্থ বর্ষ) এবং স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য হল খোলা হবে ৭ অক্টোবর। আর অন্য শিক্ষার্থীদের জন্য হল খোলা হবে ২০ অক্টোবর।
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮ অক্টোবর থেকে আবাসিক হল খোলার সুপারিশ করা হয়েছে। অন্য দিকে এ মাসেই ক্যাম্পাস খুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল আলম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো: ওহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, ৭ অক্টোবর প্রতিটি বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু হবে। হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দুর্গাপূজার ছুটির পর খুলবে বলে আশা করেছেন একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। ৫ অক্টোবর এটি ঠিক হবে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ মাসে খুলবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দুর্গাপূজার ছুটি শেষে ১৯ অক্টোবরের থেকে সশরীরে ক্লাস শুরু হতে পারে। ৭ অক্টোবর একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স ইউনিভার্সিটির স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স, পিএইচডি ইত্যাদি কোর্স) পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ অক্টোবর হল খোলা হবে। আর সশরীর শিক্ষাকার্যক্রম শুরু ৭ অক্টোবর। অন্যান্য শিক্ষার্থীর জন্য ১০ অক্টোবর হল খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সশরীর ক্লাস শুরু হবে ১৮ অক্টোবর। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আবাসিক হল খুলে দেয়া হচ্ছে ২২ অক্টোবর। গতকাল ভিসি প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২২ অক্টোবর তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষ এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য এবং আগামী ৫ নভেম্বর অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেয়া হবে। তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষ এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণীর ক্লাস শুরু হবে ২৫ অক্টোবর এবং প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাস শুরু হবে ৭ নভেম্বর।

Saturday, September 18, 2021

শর্তসাপেক্ষে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার অনুমতি

শর্তসাপেক্ষে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার অনুমতি

 

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১ নং আইন) এর ০৬ ধারা অনুযায়ী শর্তসাপেক্ষে প্রস্তাবিত ‘শেখ হাসিনা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনােলজি’ স্থাপন ও পরিচালনার জন্য সাময়িক অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শর্তসাপেক্ষে এ অনুমতি প্রদান করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।

 

শর্তগুলো হলো :

১। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এ বর্ণিত সকল বিধান ও শর্ত মেনে চলবে;

২। প্রস্তাবিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনার উদ্দেশ্যে অনধিক ২১ (একুশ) সদস্যবিশিষ্ট একটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠন করতে হবে;

৩। পাঠদানের নিমিত্তে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি, মিলনায়তন, সেমিনার কক্ষ, অফিস কক্ষ, শিক্ষার্থীদের পৃথক কমনরুম এবং প্রয়ােজনীয় অন্যান্য কক্ষের জন্য পর্যাপ্ত স্থান ও অবকাঠামাে থাকতে হবে;

 

৪। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার বর্গফুট) আয়তনবিশিষ্ট নিজস্ব বা ভাড়াকৃত ভবন থাকতে হবে;

৫। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপক্ষে ৩টি (তিন) অনুষদ এবং উক্ত অনুষদের অধীন কমপক্ষে ৬টি (ছয়) বিভাগ থাকতে হবে;

৬। শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কিত একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে কর্তৃপক্ষ, যা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক পূর্বে অনুমােদিত হতে হবে;

৭। প্রত্যেক বিভাগ ও কোর্সের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক পূর্ণকালীন যােগ্য শিক্ষক নিয়ােগ করতে হবে;

৮। নিয়ােজিত শিক্ষক অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলে তাদের মূল নিয়ােগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমােদিত ছাড়পত্র কমিশনে জমা দিতে হবে;

৯। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নিবিড় পাঠক্রম এবং প্রতিটি বিষয় ও কোর্স প্রণয়নসহ প্রত্যেক বিষয়ে মােট আসন সংখ্যা উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পূর্ব অনুমােদন গ্রহণ করতে হবে:

১০। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে সংরক্ষিত তহবিল হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য কমপক্ষে পাঁচ কোটি টাকা, অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য কমপক্ষে তিন কোটি টাকা এবং সাধারণ এলাকার জন্য দেড় কোটি টাকা যে কোনো তফসিলি ব্যাংকে জমা থাকতে হবে।

১১। প্রস্তাবিত বিশ্বদ্যিালয় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় স্বার্থ ও শিক্ষার্থীদের ক্ষতিকর বিবেচিত হতে পারে এমন কোনো কার্যকলাপে প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষভাবে অংশগ্রহণ করবে না।

১২। জঙ্গি তৎপরতা বা এই জাতীয় কোনো কার্যকলাপে ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে কোনোভাবেই পৃষ্ঠপোষকতা করবে না।

Wednesday, September 15, 2021

এবার বিশ্ববিদ্যালয় খোলার উদ্যোগ

এবার বিশ্ববিদ্যালয় খোলার উদ্যোগ

 


দেড় বছর পর রোববার খুলেছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এবার বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পালা। এরই মধ্যে সংস্কার করা হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আবাসিক হল ও একাডেমিক ভবন। করোনাকালে ছাত্র-শিক্ষকদের সুরক্ষা নিশ্চিত ও ভবন সংস্কার বাবদ চলতি অর্থবছরে আলাদাভাবে ১৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

সোমবার খুলেছে মেডিক্যাল কলেজ, ডেন্টাল ও নার্সিং কলেজ। এখন চলছে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তোড়জোড়। শিক্ষা সচিব জানিয়েছেন, সংস্কার ঠিকমতো হচ্ছে কিনা তার খোঁজ-খবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দীর্ঘ বন্ধে শিক্ষার্থীর সমাগম হয়নি অনেকদিন। ক্যাম্পাস খোলার আগেই যাতে শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত হয় এখন সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত অর্থবছরে সংস্কারমূলক কাজের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ছিল ১৮৮ কোটি টাকা। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের হল আছে তাদের জন্য অতিরিক্ত আরো ৫০ কোটি টাকা দেয়া হয়।

এবিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. মুহাম্মদ সামাদ জানান, "আমাদের সবগুলো হল এখন প্রস্তুত। হলের বাথরুম, স্যানিটাইজার, ক্যানটিন, ভাঙা দরজা জানালাগুলো সব পুনরায় সংস্কার করে ছাত্র-ছাত্রীদের বসবাসের উপযোগী করা হয়েছে এরই মধ্যে"।

বিশ্ববিদ্যালয় কবে খুলছে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল জানালেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সময় ঠিক করতে আগামীকাল বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। ওই সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খোলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতি চলতি সপ্তাহেই শেষ হবে। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে হল খোলার কথা থাকলেও এখন এ মাসের শেষ নাগাদ তা হতে পারে।

আবাসিক হলগুলো বন্ধ থাকায় কক্ষের ভেতরে সংস্কার কাজ করা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় খুললেই যাতে শিক্ষার্থীরা সুন্দর পরিবেশে থাকতে পারে, সেজন্য চলতি অর্থবছরও ১৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, "মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই নিবিড়ভাবে এই কার্যক্রমের খোঁজখবর রাখছেন। টাকা বরাদ্দের পর এই টাকা কোথায় কোথায় ব্যয় হবে সেটাও জানতে চেয়েছেন তিনি"।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নব্বই শতাংশ শিক্ষক-কর্মচারী এবং আবাসিক শিক্ষার্থীকে এরই মধ্যে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে। বাকি শিক্ষার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড দেখে টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, যেসব শিক্ষার্থী এখনো টিকা নিতে পারেননি, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই বা এক ডোজ টিকা নেওয়ার পরও দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেননি, তাদের তথ্য সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে দ্রুত দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। টিকা দেওয়া সাপেক্ষে হয়তো অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা যাবে।

বর্তমানে দেশে ৫০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামিক আরবি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাদে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোট শিক্ষার্থী সাড়ে ছয় লাখ। তাঁদের মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় তিন লাখ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাড়ে তিন লাখের মতো শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।

এর বাইরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধিভুক্ত ২ হাজার ২৬০টি কলেজে মোট শিক্ষার্থী ২৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৩ জন। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর বড় সাতটি কলেজে মোট শিক্ষার্থী প্রায় দুই লাখ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এসব কলেজের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত হয়নি। অবশ্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাসের পাশাপাশি সশরীর বা অনলাইনে পরীক্ষা নিচ্ছে।

Saturday, September 11, 2021

টিকা নিয়েছেন ৯০% শিক্ষক-কর্মচারী

টিকা নিয়েছেন ৯০% শিক্ষক-কর্মচারী

 

বছরের প্রথম দিন ক্লাস শুরু হলে স্কুলগুলোর আলাদা একটা প্রস্তুতি থাকে। ঠিক তেমনভাবেই কাল রবিবার শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কারণ করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবে শিক্ষার্থীরা। অনেক শিক্ষার্থী, যারা নতুন ভর্তি হয়েছে তাদের জন্য কালই হবে প্রথম দিনের স্কুল-কলেজ। এ জন্যই অনেক স্কুলের ফটক সাজানো হচ্ছে। এ ছাড়া কোনো কোনো স্কুল ড্রাম বাজিয়ে, করতালি দিয়ে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে।

করোনাকালে সংক্রমণ এড়াতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তাই বড় স্কুলগুলো প্রতিটি শ্রেণিকে একাধিক ভাগে ভাগ করেছে। প্রতি বেঞ্চে সর্বোচ্চ দুজন শিক্ষার্থী বসানো হবে। এ ছাড়া আগে স্কুলের কিছু গেট বন্ধ থাকলেও এবার শিক্ষার্থীদের ঢুকতে ও বের হতে সব গেটই খুলে দেওয়া হবে।

একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষরা জানান, স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের ৯৫ শতাংশই টিকা নিয়েছে। তবে কর্মচারীরা কিছুটা পিছিয়ে আছেন। তাঁদের টিকা নেওয়ার হার ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ। অর্থাৎ গড়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের ৯০ শতাংশই টিকা নিয়েছে। স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা দেওয়ার পর বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকা নেওয়ার তথ্য সংগ্রহ করেছে। এমনকি টিকা না নেওয়াদের বেশির ভাগই এরই মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। তবে টিকা নেওয়ার এসএমএস না আসায় অনেকেই টিকা নিতে পারছেন না। কোনো কোনো স্কুল কর্তৃপক্ষ টিকা না নেওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের স্কুলে আসতে নিষেধ করেছে। অবশ্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর কঠোর মনিটর করবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। এরই মধ্যে তারা স্কুল-কলেজকে নির্দেশনা দিয়েছে। জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানতে ৯ দফা নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেগুলো হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পথে সব শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্রের মাধ্যমে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করার ব্যবস্থা এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করা; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন পরিবেশে শ্রেণি কার্যক্রমে স্বাগত জানানোর ব্যবস্থা করা; শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বসার ক্ষেত্রে পারস্পরিক তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা; প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করবে এবং বাসা থেকে যাওয়া-আসা করবে, সে বিষয়ে শিক্ষণীয় ও উদ্বুদ্ধকরণ ব্রিফিং করা; আনন্দঘন শিখন কার্যক্রমের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সঠিকভাবে মাস্ক (সম্ভব হলে কাপড়ের মাস্ক) পরিধান করার বিষয়টি নিশ্চিত করা; শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উপস্থিতির সংখ্যা নিরূপণ করা ও সব শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব ওয়াশরুম নিয়মিত পরিষ্কার রাখা এবং পর্যাপ্ত নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা; কভিড-১৯ অতিমারিজনিত সরকারের স্বাস্থ্যবিধি যথাসময়ে প্রতিপালন নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষকদের সমন্বয়ে পর্যবেক্ষণ ও নিশ্চিতকরণ কমিটি গঠন করা।

রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে কিছু পরিকল্পনা করেছে। ক্লাসের প্রথম দিন আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হবে শিক্ষার্থীদের। বেইলি রোড, আজিমপুর, ধানমণ্ডি ও বসুন্ধরায় ভিকারুননিসার চারটি শাখার প্রবেশ পথের সব ফটক বেলুন ও জরি কাগজ দিয়ে সাজানো হবে। তিন ফুট দূরত্ব রেখে শিক্ষকরা গেটের সামনে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়াবেন। ছাত্রীরা যখন প্রবেশ করবে, শিক্ষকরা করতালি ও ড্রাম বাজিয়ে সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা জানিয়ে ভেতরে প্রবেশ করানো হবে।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুন নাহার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি মোটামুটি শেষ। কিন্তু বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়ায় স্কুল খোলার আগ পর্যন্ত কোনো না কোনো কাজ থাকছেই। কালও আমাদের কিছু কাজ আছে। আমাদের শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৮০০ এর মতো। শিক্ষকদের ৯৫ শতাংশ টিকা নিয়েছে। আর কর্মচারীদের মধ্যে এই হার ৯০ শতাংশের কাছাকাছি হবে। তবে সবাই মাস্ক পরা থাকবে। সব গেটই খোলা হবে। যাতে স্কুলে ঢুকতে ও বের হতে হুড়োহুড়ি না হয়।’

ডেমরার সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা ক্লাসগুলোকে শিক্ষার্থী অনুসারে একাধিক ভাগে ভাগ করেছি। সরাসরি ক্লাসের পাশাপাশি অনলাইন ক্লাসও চলবে। আমাদের স্কুলের ৪টা গেট। সব দিক দিয়েই শিক্ষার্থীরা ঢুকবে ও বের হবে। বের হওয়ার সময় লাইন করে দেব। আমাদের ৪০০ শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ১২ জন এখনো টিকা নেননি। তাঁদের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর স্কুলে আসতে বলেছি।’

রাজধানীর গভর্মেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ ভূঁইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের ৩টা গেট দিয়ে শিক্ষার্থীরা ঢুকবে ও বের হবে। এ ছাড়া প্রভাতি ও দিবা শাখার প্রতিটি শ্রেণিকে দুই ভাগে ভাগ করেছি। ফলে ক্লাসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে এসেছে। আমাদের ৫৪ জন শিক্ষক ও ২০ জন কর্মচারী, যাদের সবাই টিকা নিয়েছেন। তবে অস্থায়ী কয়েকজন কর্মচারী আছেন, যাঁদের সবাই এখনো টিকা নেননি। স্কুলে আসতে হলে তাঁদেরও টিকা নিয়ে আসতে হবে বলে আমরা জানিয়ে দিয়েছি।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. রহমত উল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত করেছি। তবে সরাসরি ও অনলাইন ক্লাসের রুটিন করতে গিয়ে কিছুটা সমস্যার মধ্যে পড়েছি। কারণ একজন শিক্ষকের পক্ষে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নিয়েই সঙ্গে সঙ্গে আরেক শ্রেণিতে অনলাইন ক্লাস নেওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য অনলাইন ক্লাসগুলো আমরা সকালে ও সন্ধ্যায় রেখেছি। এ ছাড়া আমাদের তিনটি গেট আছে। সব গেট দিয়েই ছাত্রীরা ঢুকবে ও বের হবে। আমাদের ৫০ জন শিক্ষক-কর্মচারী। যাঁদের দু-একজন বাদে সবাই টিকা নিয়েছেন।’

জানা যায়, বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এসএমএসে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদেরও কিছু প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। যেমন—কাপড়ের একটি মাস্ক মুখে থাকলেও আরেকটি ব্যাগে রাখা, স্যানিটাইজার রাখা, পানির বোতল নিয়ে আসা ইত্যাদি। এ ছাড়া একটি শ্রেণিকে যেহেতু একাধিক ভাগে ভাগ করা হচ্ছে, তাহলে কোন শিক্ষার্থী কোন রুমে বসবে, কোন গেট দিয়ে প্রবেশ করবে, সেগুলোই আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেক স্কুলই তাদের শিক্ষার্থীদের রোল নম্বরের জোড়-বিজোড়কে আলাদা ভাগে ভাগ করে পৃথক ক্লাসে বসাচ্ছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলায় মফস্বলের স্কুলগুলোও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে। মৌলভীবাজার সদরের বাদগাঁও তাহেরুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা ক্লাসরুম, স্কুল আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছি। আমাদের বেঞ্চের দৈর্ঘ্য সাত ফুট। তাই এক বেঞ্চে দুজন বসাব। এরপর এক বেঞ্চ বাদ দিয়ে আরেক বেঞ্চে বসবে শিক্ষার্থীরা। আমাদের ১৪ জন শিক্ষক-কর্মচারীর সবাই টিকা নিয়েছেন।’

যশোর সদরের আম বটতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহসীন আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গাইডলাইন অনুসারে যতদূর সম্ভব আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে আমাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা এক হাজার ৮০০ জন। সেই হিসাবে প্রয়োজনীয় ক্লাসরুমের সংকট রয়েছে। তাই আমরা প্রতি বেঞ্চে দুজন করে শিক্ষার্থী বসাব। আমাদের ৩৬ জন শিক্ষক ও সাতজন কর্মচারী। এখন পর্যন্ত দুজন কর্মচারী টিকা নিতে পারেননি।’

প্রাথমিকের চেয়ে মাধ্যমিকের শিক্ষকরা টিকা গ্রহণে এগিয়ে আছেন। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ১৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭৯৩ জন শিক্ষকের মধ্যে ৭২৩ জন দুই ডোজ করে টিকা নিয়েছেন। বাকি ৭০ জনের মধ্যে ২৫ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন, ৪৫ জন এখনো টিকা নেননি। ময়মনসিংহের নান্দাইলে ১৭৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯৭১ জন শিক্ষকের মধ্যে টিকা নিয়েছেন ৯৪০ জন। উপজেলায় ৩৩ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫০০ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে টিকা নিতে বাকি আছে ২৮ জন। ৩৬টি মাদরাসার ৪৫০ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে টিকা বাকি আছে ২০ জনের।

সীতাকুণ্ডু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিদারুল আলম জানান, তাঁর স্কুলে শিক্ষক ২২ জন এবং কর্মচারী সাতজন। তাঁদের মধ্যে দুজন শিক্ষক বাদে সবাই টিকা নিয়েছেন। শারীরিক অসুবিধা থাকায় ওই দুই শিক্ষক টিকা নিতে পারেননি।

যশোরের বাঘারপাড়ায় মাহমুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ১৪ জন টিকা নিয়েছেন।

কভিড-১৯ মোকাবেলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির অন্যতম সদস্য ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোহিত কামাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি শুরুতেই অভিভাবকদের দায়িত্বের কথা বলব। একটা বাচ্চা কিভাবে মাস্ক পরবে, কিভাবে হাত ধুতে হবে, সেগুলো শিখিয়ে দিতে হবে। যাদের সামর্থ্য আছে তারা স্যানিটাইজার ব্যবহার করবে। আর থার্মোমিটার দিয়ে স্কুল গেটে তাপমাত্রা মাপার কথা বলা হলেও তা করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই গা গরম থাকলে অভিভাবকরাই তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন না।’

ডা. মোহিত কামাল আরো বলেন, ‘যেহেতু শিক্ষার্থীরা অনেক দিন পর স্কুলে আসছে, তাই তাদের পড়ার দিকে মন নাও টানতে পারে। এ জন্য ধমক দেওয়া যাবে না, শাস্তি দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ প্রথমেই কোনো চাপ না দিয়ে ভয়কে জয় করতে হবে। এরপর শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ফিরিয়ে আনতে হবে। এই দায়িত্ব শিক্ষকদের নিতে হবে।’

Wednesday, August 11, 2021

৩ শিক্ষকের তালিকা কাকে উপাচার্য হিসেবে পাচ্ছে রাবি

৩ শিক্ষকের তালিকা কাকে উপাচার্য হিসেবে পাচ্ছে রাবি

 


ষ্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী  বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে উপাচার্যের পদটি শূন্য রয়েছে। সম্প্রতি উপাচার্য নিয়োগের জন্য রাবির তিন শিক্ষকের একটি তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যাওয়া তালিকায় থাকা ওই তিন শিক্ষক হলেন আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক হবিবুর রহমান, পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক গোলাম সাব্বির সাত্তার এবং সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস। এরই মধ্যে সরকারের একাধিক সংস্থা এই শিক্ষকদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছে।

এই তিন শিক্ষকের ভেটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এক সদস্য বলেন, আমাদের কাছে তিন শিক্ষকের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। আমরা তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ, পরিবারের রাজনৈতিক মতাদর্শসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।

তালিকায় নাম থাকা অধ্যাপক হাবিবুর রহমান ১৯৯০ সালে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক পদে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেড-১ ক্যাটাগরির অধ্যাপক। তিনি ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত নিজ বিভাগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।

অধ্যাপক হাবিবুর রহমান দুই দফায় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ছিলেন। সর্বশেষ ২০২১ সালের স্টিয়ারিং কমিটির নির্বাচনে তিনি আহ্বায়ক পদে জয় লাভ করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় অধ্যাপক হাবিবুর রহমান আওয়ামী রাজনীতি সঙ্গে জড়িত। তার পিতা ডা. ইয়াসিন আলী ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। তিনি ১৯৭৯ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। সর্বশেষ তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

তালিকায় নাম থাকা আরেক শিক্ষক অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক। তিনি বর্তমানে পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি নিজ বিভাগের সভাপতি হন। এ ছাড়া তিনি তিনবার প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার পারিবারিক ভাবে আওয়ামী রাজনীতি সঙ্গে জড়িত। তার পিতা মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন।

তালিকায় একমাত্র নারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস সমাজকর্ম বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক। প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের এই শিক্ষক দলের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সিন্ডিকেট সদস্য, নিজ বিভাগের সভাপতি, হল প্রাধ্যক্ষ, সহকারী প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালে সিকদার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। তবে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব শেষ না করেই তিনি অব্যাহতি নেন। তিনিও পারিবারিকভাবে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

প্রসঙ্গত; চলতি বছরের ০৬ মে মেয়াদ শেষ হয় সদ্য বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের। ওই দিনই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৩৮ জনকে এডহকে নিয়োগ দিয়ে পুলিশ পাহারায় ক্যাম্পাস ছাড়েন অধ্যাপক সোবহান। এর পর থেকে উপাচার্যের পদটি শূন্য রয়েছে।

সাধারণত, উপাচার্য নিয়োগের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তিন সদস্যের একটি তালিকা পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে ওই ফাইল রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি তিনজন থেকে একজনকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন। এই হিসেবে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে চলতি সপ্তাহে রাবিতে উপাচার্য নিয়োগ হতে পারে।