Showing posts with label স্ব্যাস্থ. Show all posts
Showing posts with label স্ব্যাস্থ. Show all posts

Wednesday, March 23, 2022

বিশ্বে ৬১ লাখ ২১ হাজার প্রাণ নিল করোনা

বিশ্বে ৬১ লাখ ২১ হাজার প্রাণ নিল করোনা



বিশ্বে ৬১ লাখ ২১ হাজার প্রাণ নিল করোনা

চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃতের সংখ্যা ক্রমে বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে প্রাণঘাতী ভাইরাসে নতুন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যাও। গেল ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে কোভিড শনাক্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে রোগটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পৌনে ১৭ লাখে পৌঁছেছে।

সর্বশেষ এক দিনে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটল দক্ষিণ কোরিয়ায়। এ দিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় এখনো শীর্ষস্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম। আর প্রাণ হারানোদের তালিকায় এরপরই রয়েছে যথাক্রমে- রাশিয়া, ব্রাজিল, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, হংকং এবং ব্রিটেন। এতে বিশ্বব্যাপী করোনার থাবায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ কোটি ৪০ লাখের ঘর ছাড়িয়েছে। অপর দিকে মৃতের সংখ্যাও এরই মধ্যে ৬১ লাখ ২১ হাজারে পৌঁছে গেছে।

বুধবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে মৃত্যু, আক্রান্ত ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডো মিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে কোভিড সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন চার হাজার ৮৫৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে দেড় হাজারের অধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৬১ লাখ ২১ হাজার ৭৪১ জনে দাঁড়িয়েছে।

নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ লাখ ৭২ হাজার ৬৮৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ছয় লাখেরও বেশি। এতে মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত শনাক্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪৭ কোটি ৪০ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

এ দিকে গত এক দিনে বিশ্বে করোনার থাবায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা দেখল দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ। একই সময়ে দেশটিতে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৫৩ হাজার ৭২৫ জন। আর মারা গেছেন ৩৮৪ জন। করোনা মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে এ পর্যন্ত ৯৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪০ জন রোগটিতে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ১৪১ জনের।

আরও পড়ুন : রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বে খাদ্য সংকটের শঙ্কা

অন্য দিকে দৈনিক প্রাণ হারানোদের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সময়ে মার্কিন ভূখণ্ডে নতুন করে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৩ হাজার ৫৫২ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৮১৭ জন। করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটিতে এ পর্যন্ত আট কোটি ১৪ লাখ ৭৬ হাজার ২১৪ জন রোগটিতে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে নয় লাখ ৯৯ হাজার ৭৯২ জন মারা গেছেন।

শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় করোনার থাবায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭২ জন এবং নতুন করে রোগটিতে সংক্রমিত হয়েছেন ২৬ হাজার ৩৯৪ জন। এছাড়া মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে এক কোটি ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তিন লাখ ৬৫ হাজার ৩৭৩ জনের।

এছাড়া পশ্চিম ইউরোপের দেশ জার্মানিতে নতুন করে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন দুই লাখ ৬৮ হাজার ৩৫৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩২৪ জন। করোনা মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে ইউরোপীয় দেশটিতে এ পর্যন্ত এক কোটি ৯১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৮৫ জন করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন এবং এক লাখ ২৭ হাজার ৮৬৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

করোনার থাবায় আক্রান্তদের দিক থেকে তৃতীয় ও প্রাণহানি সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। গেল এক দিনে দেশটিতে রোগটিতে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ৪১০ জন। আর নতুন করে করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ৮৩৮ জন। অপর দিকে মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দুই কোটি ৯৬ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ ৫৭ হাজার ৭৭৩ জনের।

করোনার থাবায় আক্রান্তদের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ভারত। যদিও প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারানোদের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান এখন তৃতীয়। মহামারির তাণ্ডব শুরু পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চার কোটি ৩০ লাখ ১০ হাজার ৯৭১ জনে দাঁড়িয়েছে। আর মারা গেছেন পাঁচ লাখ ১৬ হাজার ৫৭৪ জন।


গেল ২৪ ঘণ্টায় ইউরোপের মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্কে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৪২৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯০ জন। একই সময়ে ইতালিতে নতুন করে রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬ হাজার ৩৬৫ জন। আর মারা গেছেন ১৯৭ জন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন সাত হাজার ৪৬৪ জন এবং প্রাণ গেছে ১৭০ জনের।

শেষ এক দিনে ফরাসি ভূখণ্ডে নতুন করে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন এক লাখ ৮০ হাজার ৭৭৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩৩ জনের। করোনা মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত দুই কোটি ৪৩ লাখ ৪২ হাজার ১১৬ জন রোগটিতে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৪১ হাজার ২১৮ জনের। শেষ ২৪ ঘণ্টায় পূর্ব এশিয়ার দেশ জাপানে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৬৫৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের।

গেল এক দিনে ব্রিটেনে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ হাজার ২৬৮ জন এবং প্রাণ গেছে ২৫০ জনের। করোনা মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত দুই কোটি চার লাখ ১৩ হাজার ৭৩১ জন রোগটিতে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে এক লাখ ৬৩ হাজার ৯২৯ জন মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় স্পেনে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৫৩৬ জন এবং মারা গেছেন ৮৬ জন।

এছাড়া করোনার থাবায় সংক্রমিত হয়ে গত এক দিনে হংকংয়ে ২৪৫ জন, হাঙ্গেরিতে ৪৮ জন, আর্জেন্টিনায় ৭৬ জন, মালয়েশিয়ায় ৭২ জন, ইরানে ৭৩ জন, থাইল্যান্ডে ৮৩ জন এবং পোল্যান্ডে ১৩৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। অন্য দিকে নির্ধারিত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোতে মারা গেছেন ১৫ জন। মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিন লাখ ২২ হাজার ১০৭ জনের।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এশিয়ার পরাশক্তি চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ প্রাণঘাতী ভাইরাসটিকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে।

Wednesday, March 16, 2022

৪ কোটি শিশুকে খাওয়ানো হবে কৃমিনাশক ওষুধ

৪ কোটি শিশুকে খাওয়ানো হবে কৃমিনাশক ওষুধ



কৃমিনাশক

বাংলাদেশ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে কৃমি নির্মূলের লক্ষ্যে ৫-১৬ বছর বয়সী চার কোটি শিশুকে এক ডোজ কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে। এ লক্ষ্যে আগামী ২০ মার্চ থেকে দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে পালিত হবে ২৬তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম।

বুধবার (১৬ মার্চ) সকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরে ২৬তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে অবহিতকরণ সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রমের উদ্যোগের মাধ্যমে পালিত হবে কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম।

সারাদেশের প্রায় এক লাখ ২০ হাজার প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (সরকারি, বেসরকারি, ফরমাল, নন-ফরমাল স্কুল, মাদরাসা, মক্তব) এবং প্রায় ৩৩ হাজার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিদ্যালয়, মাদরাসা) এ কর্মসূচি পালন হবে বলে জানা যায়।

এ সময়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, দেশের প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির মাধ্যমে ৫-১১ বছর বয়সী সব শিশুকে ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির মাধ্যমে ১২-১৬ বছর বয়সী সব শিশুকে এক ডোজ কৃমিনাশক ওষুধ (মেবেন্ডাজল বা ভারমন্স ৫০০মি.গ্রা.) ভরা পেটে সেবন করানো হবে। এছাড়া কৃমির পুনঃসংক্রমণ রোধকল্পে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করে তোলা, পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যশিক্ষা দেওয়া হবে।

সভায় বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা যায় কৃমির সংক্রমণ বয়স্ক মানুষের তুলনায় শিশুদের মধ্যে বেশি হয়। পৃথিবীর অনেক দেশেই এ কৃমি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশে কর্মসূচিটি প্রথমে ২০০৫ সালে তিন জেলায় নেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে জুন ২০০৭ পর্যন্ত ১৬ জেলায়, মে ২০০৮ পর্যন্ত ২৪ জেলায় ও নভেম্বর ২০০৮ থেকে ৬৪ টি জেলায় কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমটি সম্প্রসারিত করা হয়।

সভায় আরও জানানো হয়, শিশুদের মধ্যে ওষুধ সেবনের হার প্রতি রাউন্ডেই ৯৫ থেকে ৯৮ শতাংশ রয়েছে। ২০০৫ সালে শিশুদের মল পরীক্ষায় কৃমির উপস্থিতি ৮০ শতাংশ পাওয়া যায়। ২০১৮-২০১৯ সালে তা ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমে এসেছে।

Thursday, March 10, 2022

বিশ্বে করোনার সংক্রমণ ৪৫ কোটি ছাড়াল

বিশ্বে করোনার সংক্রমণ ৪৫ কোটি ছাড়াল


বিশ্বে করোনার সংক্রমণ ৪৫ কোটি ছাড়াল

বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা আবারও বেড়েছে। গত একদিনে বিশ্বে নতুন করে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে ১৬ লাখ ২৯ হাজার ২৩৮ জন। এ নিয়ে বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ কোটি ৯৫ হাজার ৪৪ হাজার ৮৯৩ জন। 

বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ১৩৪ জন। এ নিয়ে বিশ্বে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ লাখ ৩৬ হাজার ৪০৭ জন। 

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও শনাক্তের হিসাব রাখা আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারস থেকে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) এ তথ্য জানা গেছে  ত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ‍যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে নতুন করে ১ হাজার ২৯৯ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি শনাক্ত হয়েছে ৩৩ হাজার ৬১৫ জন।  মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া ৬৫২ জন। আর নতুন করে শনাক্ত ৬৬ হাজার ৫৭৬ জন।

গত একদিনে ব্রাজিলে ৫১৮ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি ৭৫ হাজার ৪৯৫ জন শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৬ লাখ ৫২ হাজার ৯৩৬ এবং ২ কোটি ৯১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৬৪ জনে। 

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর দিক দিয়ে শীর্ষে থাকা দেশের তালিকায় রয়েছে- যুক্তরাজ্য, জামার্নি, স্পেন, ইন্দোনেশিয়া ও পোল্যান্ড। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়লে তা পরবর্তীতে মহামারিতে রূপ নেয়। এরপরই বাড়তে থাকে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। তবে এ বছর করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণ আনতে পেরেছে বিশ্ব। তাও পুরোপুরিভাবে নয়।  ওয়ার্ল্ডোমিটার।

Monday, March 7, 2022

বিশ্বে করোনায় ৬০ লাখ ১৯ হাজার মৃত্যু

বিশ্বে করোনায় ৬০ লাখ ১৯ হাজার মৃত্যু

 


 

বিশ্বে করোনায় ৬০ লাখ ১৯ হাজার মৃত্যু


মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে বিশ্বে চার হাজার ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ লাখ ১৯ হাজার ৪৩৪ জনে।

ভাইরাসটিতে সর্বশেষ একদিনে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১১ লাখ ৫৮ হাজার ১৫২ জন। বিশ্বে মোট শনাক্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ কোটি ৬৬ লাখ ১১ হাজার ৪৯৫ জনে।

একই সঙ্গে একদিনে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১৩ লাখ ১৭ হাজার ৬৪৭ জন। এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ কোটি ৯৬ লাখ ২৯ হাজার ১৭৩ জনে।

সোমবার (৭ মার্চ) সকালে বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার নিয়মিত আপডেট দেওয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

দৈনিক মৃত্যুতে তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে একদিনে মারা গেছেন ৭৪৪ জন। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭৯ হাজার ৮৬৩ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত এক কোটি ৬৯ লাখ ৪১ হাজার ৬৫৬ জন করোনায় আক্রান্ত এবং মারা গেছেন তিন লাখ ৫৬ হাজার ২৮১ জন।

২৪ ঘণ্টায়ও সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ায়। এ সময়ে দেশটিতে শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ৪৩ হাজার ৬১২ জন। মারা গেছেন ১৬১ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ৪৪ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে আট হাজার ৯৫৭ জনের।

করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। একদিনে দেশটিকে করোনা শনাক্ত হয়েছে চার হাজার ৯০৩ জনের। এ নিয়ে শনাক্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট কোটি নয় লাখ ১৭ হাজার ৫২২ জনে। ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ১৮৩ জনের। এ নিয়ে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়ালো নয় লাখ ৮৮ হাজার ২০ জনে।

আক্রান্তের দিক থেকে তালিকায় তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৯৬১ জন এবং মারা গেছেন ২১৯ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট শনাক্ত বেড়ে দুই কোটি ৯০ লাখ ৪৯ হাজার ১৩ জনে এবং মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৫২ হাজার ২০৭ জনে।

আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা প্রতিবেশী দেশ ভারতে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন চার হাজার ১২৪ জন এবং মারা গেছেন ৭০ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত চার কোটি ২৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭৭ জন এবং মারা গেছেন পাঁচ লাখ ১৫ হাজার ১৩৩ জন।

একদিনে জার্মানিতে মারা গেছেন ৪৬ জন। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন এক লাখ চার হাজার ৫৪৮ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৫৮ লাখ ২৮ হাজার ৪৫৫ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ২৪ হাজার ৭১৬ জন।


এছাড়া একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফ্রান্সে ৩২ জন, তুরস্কে ১৭০ জন, ইতালিতে ১০৫ জন, আর্জেন্টিনায় ৬০ জন, ইরানে ২০১ জন, পোল্যান্ডে ১০ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ২৫৪ জন, মেক্সিকোতে ২২০ জন, জাপানে ১৮৫ জন, চিলিতে ১২২ জন, ফিলিপাইনে ১৪৪ মারা গেছেন।

Thursday, March 3, 2022

 বিশ্বে ৪৪ কোটি ছাড়াল করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা

বিশ্বে ৪৪ কোটি ছাড়াল করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা


বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ হাজার ৫১৬ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৪ লাখ ৬২ হাজার ৫৯৯ জন।

সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ কোটি ৬ লাখ ৪২ হাজার ৯৭৫ জনে। আর বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৯ লাখ ৯৩ হাজার ৫০ জনে। এ সময়ে করোনা থেকে সেরে ওঠেছেন ৩৭ কোটি ৩১ লাখ ২১ হাজার ৫৭১ জন।

একদিনে সবচেয়ে বেশি ১ লাখ ৯৮ হাজার ৪৫৭ জন শনাক্ত হয়েছে জার্মানিতে। এসময়ে মারা গেছেন ২৫৫ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ১ কোটি ৫১ লাখ ৭৩ হাজার ১৭০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৭৬ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৬৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এসময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪৬ হাজার ৫১২ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এ পর্যন্ত ৮ কোটি ৭ লাখ ৬০ হাজার ৩৮০ জন করোনায় আক্রান্ত এবং মারা গেছেন ৯ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৭ জন।

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৯৭ হাজার ৪৫৫ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৬৫ লাখ ৯২ হাজার ৮২৫ জন এবং মারা গেছেন ৩ লাখ ৫৩ হাজার ২৩০ জন।

আক্রান্তের দিক থেকে তালিকায় তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৩০ হাজার ৯৯৫ জন এবং মারা গেছেন ৩৩৫ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট শনাক্ত বেড়ে ২ কোটি ৮৮ লাখ ৪২ হাজার ১৬০ জন এবং মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার ৫২ জনে।

আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা প্রতিবেশী দেশ ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ১৬২ জন এবং মারা গেছেন ১৭৩ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ৪ কোটি ২৯ লাখ ৪৪ হাজার ৭৬১ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ১৪ হাজার ৪১৯ জন।


গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে আক্রান্ত ৫৬ হাজার ৭৮০ জন এবং মারা গেছেন ১৮৯ জন। ইতালিতে নতুন আক্রান্ত ৩৬ হাজার ৪২৯ জন এবং মারা গেছেন ২১৪ জন। ইন্দোনেশিয়ায় নতুন আক্রান্ত ৪০ হাজার ৯২০ জন এবং মারা গেছেন ৩৭৬ জন।

ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ৬৯৭ জন এবং মারা গেছেন ১৮৬ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত ২ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার ৩০৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৬২ জন মারা গেছেন। গত একদিনে পোল্যান্ডে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৪ হাজার ৭৩৭ জন এবং মারা গেছেন ২৭৭ জন।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিলিতে ৩০ জন, আর্জেন্টিনায় ১৩৩ জন, ইরানে ২০৩ জন, জাপানে ২২৭ জন, রোমানিয়ায় ৮৯ জন, ফিলিপাইনে ৫৩ জন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ৯৬ জন এবং মেক্সিকোতে ৩৮২ জন মারা গেছেন।৩ মার্চ সকালে বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার আপডেট দেওয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি। এরপর ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

Thursday, February 24, 2022

করোনায় ৫৯ লাখ ৩৫ হাজার মৃত্যু দেখল বিশ্ব

করোনায় ৫৯ লাখ ৩৫ হাজার মৃত্যু দেখল বিশ্ব

 

  sharethis sharing button

করোনায় ৫৯ লাখ ৩৫ হাজার মৃত্যু দেখল বিশ্ব



চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃতের সংখ্যা ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে প্রাণঘাতী ভাইরাসে নতুন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যাও। গেল ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে কোভিড শনাক্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন প্রায় সাড়ে ১০ হাজার মানুষ। নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে রোগটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পৌনে ১৮ লাখে পৌঁছেছে।

সর্বশেষ এক দিনে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটল পশ্চিম ইউরোপের দেশ জার্মানিতে। এ দিকে দৈনিক প্রাণ হারানোদের তালিকায় এখনো শীর্ষস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নাম। আর প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যথাক্রমে- ব্রাজিল, রাশিয়া, মেক্সিকো, ভারত, জার্মানি, পোল্যান্ড এবং ইউক্রেন। এতে বিশ্বব্যাপী রোগটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ কোটি ৯৭ লাখের ঘর ছাড়িয়েছে। অন্য দিকে মৃতের সংখ্যাও এরই মধ্যে ৫৯ লাখ ৩৫ হাজারে দাঁড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে মৃত্যু, আক্রান্ত ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডো মিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১০ হাজার ৪৪৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় দুই হাজার বেড়েছে। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৫৯ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮১ জনে পৌঁছেছে।

নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৭ লাখ ৭৪ হাজার ৩০৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দেড় লাখের অধিক বেড়েছে। এতে মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪২ কোটি ৯৭ লাখ ৮১ হাজার ৯৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

এ দিকে গেল এক দিনে বিশ্বে করোনার থাবায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা দেখল জার্মানির জনগণ। একই সময়ে জার্মান ভূখণ্ডে দেশটিতে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ১৯ হাজার ৮৫৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ২৫৩ জন। করোনা মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে পশ্চিম ইউরোপের দেশটিতে এ পর্যন্ত এক কোটি ৪০ লাখ ৯২ হাজার ৬২১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ২২ হাজার ৬২২ জন।


অন্য দিকে শেষ ২৪ ঘণ্টায় প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সময়ে মার্কিন ভূখণ্ডে নতুন করে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৭১ হাজার ৩৭৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৪২০ জনের। করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটিতে এ পর্যন্ত আট কোটি তিন লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৭ জন রোগটিতে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে নয় লাখ ৬৬ হাজার ৩৯৩ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় করোনার থাবায় সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ৭৮৫ জন। এবং নতুন করে রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৩৭ হাজার ৬৪২ জন। এছাড়া মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে এক কোটি ৫৭ লাখ ৯৫ হাজার ৫৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে মারা গেছেন তিন লাখ ৪৭ হাজার ৮১৬ জন। একই সময়ে ইউরোপীয় রাষ্ট্র স্পেনে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৯১১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩০১ জনের।

করোনায় সংক্রমিত দিক থেকে তৃতীয় ও প্রাণ হারানোদের সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯৫৬ জনের এবং নতুন করে রোগটিতে সংক্রমিত হয়েছেন এক লাখ ৩৩ হাজার ৬২৬ জন। অপর দিকে মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দুই কোটি ৮৪ লাখ ৮৫ হাজার ৫০২ জনে দাঁড়িয়েছে। আর মারা গেছেন ছয় লাখ ৪৬ হাজার ৪৯০ জন।

কোভিড সংক্রমিতদের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ভারত। যদিও প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারানোদের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান এখন তৃতীয়। শেষ এক দিনে দেশটিতে করোনার থাবায় সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩০২ জন। নতুন করে কোভিড সংক্রমিত হয়েছেন ১৩ হাজার ৪৭৬ জন। মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন চার কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার ৫০৭ জন। আর মারা গেছেন পাঁচ লাখ ১২ হাজার ৯৫৪ জন।


ব্রিটেনে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৬৫৬ জন এবং প্রাণ গেছে ১৬৪ জনের। করোনা মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত এক কোটি ৮৭ লাখ ৩৪ হাজার ৬৮৩ জন রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন এক লাখ ৬০ হাজার ৯৭৯ জন। একই সময়ে ইউক্রেনে নতুন করে রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৬২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৯৭ জনের।

শেষ এক দিনে ইউরোপের মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্কে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬ হাজার ৬০০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৬৮ জন। একই সময়ে অঞ্চলটির আরেক রাষ্ট্র ইতালিতে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার ৪০ জন এবং প্রাণ গেছে ২৫২ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় ইউরোপীয় রাষ্ট্র ফ্রান্সে নতুন করে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৬ হাজার ৮৩৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২১৩ জন। করোনা মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত দুই কোটি ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ২৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আর মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জনের। শেষ এক দিনে কলম্বিয়ায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন দুই হাজার ১৮১ জন এবং প্রাণ গেছে ৭৯ জনের।

এছাড়া করোনার থাবায় সংক্রমিত হয়ে শেষ এক দিনে আর্জেন্টিনায় ১৫৭ জন, পোল্যান্ডে ৩৬০ জন, গ্রিসে ৫৩ জন, জাপানে ২৭২ জন, ইরানে ২২৭ জন, রোমানিয়ায় ১১০ জন, ফিলিপাইনে ২০১ জন, কানাডায় ১৩৭ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১১০ জন, হাঙ্গেরিতে ১৩২ জন এবং ইন্দোনেশিয়ায় ২২৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। অন্য দিকে নির্ধারিত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোতে মারা গেছেন ৭০৬ জন। মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিন লাখ ১৬ হাজার ৪৯২ জনের।


উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এশিয়ার পরাশক্তি চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ প্রাণঘাতী ভাইরাসটিকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে।

Sunday, February 20, 2022

বিশ্বে করোনা প্রাণ নিল ৫৯ লাখ

বিশ্বে করোনা প্রাণ নিল ৫৯ লাখ

 বিশ্বে ৫৯ লাখ প্রাণ নিল করোনা

চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। একই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে প্রাণঘাতী ভাইরাসে নতুন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যাও। গেল ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে কোভিড শনাক্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন প্রায় আট হাজার মানুষ। নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে রোগটিতে নতুন করে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা প্রায় সোয়া ১৫ লাখে নেমে এসেছে।

সর্বশেষ এক দিনে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে রাশিয়াতে। এ দিকে দৈনিক প্রাণ হারানোদের তালিকায় আচমকা শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে ব্রাজিলের নাম। আর প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যথাক্রমে- রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, মেক্সিকো, পোল্যান্ড, তুরস্ক এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে বিশ্বব্যাপী রোগটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ কোটি ৩৫ লাখের ঘর ছাড়িয়েছে। অপর দিকে মৃতের সংখ্যাও এরই মধ্যে ৫৯ লাখে পৌঁছে গেছে।

রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে মৃত্যু, আক্রান্ত ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডো মিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে কোভিড সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন সাত হাজার ৮১৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার কমেছে। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৫৯ লাখ ১৬৭ জনে পৌঁছেছে।

নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯০০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় রোগটিতে নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় চার লাখ কমেছে। মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে শনাক্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪২ কোটি ৩৫ লাখ দুই হাজার ২৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে।

এ দিকে গেল ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনার থাবায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটল রাশিয়ায়। একই সময়ে রুশ ভূখণ্ডে রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৭৯৮ জন। আর নতুন করে কোভিড সংক্রমিত হয়েছেন এক লাখ ৭৯ হাজার ১৪৭ জন। এছাড়া মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৭২০ জনে দাঁড়িয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে তিন লাখ ৪৪ হাজার ৭৫৫ জনের।


অপর দিকে শেষ এক দিনে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা দেখেছে ব্রাজিলের জনগণ। করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার এই দেশ। শেষ এক দিনে দেশটিতে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৮২৭ জন। আর নতুন করে রোগটিতে সংক্রমিত হয়েছেন এক লাখ তিন হাজার ৩৬৩ জন। অপর দিকে মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দুই কোটি ৮১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৮৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ ৪৩ হাজার ৯৩৮ জনের।

গেল ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণ ও প্রাণহানি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। একই সময়ে মার্কিন ভূখণ্ডে নতুন করে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪১ হাজার ৪৪৩ জন। আর মারা গেছেন ৭১৫ জন। করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটিতে এ পর্যন্ত আট কোটি ৭২ হাজার ৫৬১ জন রোগটিতে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন নয় লাখ ৫৯ হাজার ১৩০ জন।

গত এক দিনে পশ্চিম ইউরোপের দেশ জার্মানিতে নতুন করে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন এক লাখ ৩৭ হাজার ৭২২ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১৩৩ জন। করোনা মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত এক কোটি ৩৪ লাখ ৯৮ হাজার ৩০০ জন রোগটিতে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন এক লাখ ২১ হাজার ৮২৬ জন।

করোনায় সংক্রমিতদের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ভারত। যদিও প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারানোদের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে কোভিড শনাক্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৬৭৩ জন। আর নতুন করে রোগটিতে সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ হাজার ৪৮৮ জন। মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন চার কোটি ২৮ লাখ ২০ হাজার ৯৯৩ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ১১ হাজার ৯৩৫ জন।


ব্রিটেনে গত এক দিনে নতুন করে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৭৭ জন। আর মারা গেছেন ১২৮ জন। করোনা মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে যুক্তরাজ্যে এ পর্যন্ত এক কোটি ৮৫ লাখ ৮০ হাজার ২১৬ জন রোগটিতে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন এক লাখ ৬০ হাজার ৫০৭ জন। একই সময়ের মধ্যে ইউক্রেনে নতুন করে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩১ হাজার ১২৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৬০ জনের।

শেষ এক দিনে ইউরোপের মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্কে নতুন করে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৮০ হাজার ৪৫৪ জন এবং প্রাণ গেছে ২৭৮ জন। একই সময়ে অঞ্চলটির আরেক দেশ ইতালিতে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজার ৫৩৪ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ২৫২ জন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ইউরোপীয় রাষ্ট্র ফ্রান্সে নতুন করে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৩৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৪৮ জনের। করোনা মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত দুই কোটি ২২ লাখ ২৭ হাজার ৮২৬ জন রোগটিতে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন এক লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৪ জন। শেষ এক দিনে কলম্বিয়ায় নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন চার হাজার ৪৯৮ জন এবং প্রাণ গেছে ১২৭ জনের।

এছাড়া করোনায় সংক্রমিত হয়ে শেষ এক দিনে পোল্যান্ডে ২৮৩ জন, আর্জেন্টিনায় ১২৩ জন, কানাডায় ২১ জন, গ্রিসে ৭৭ জন, জাপানে ২৩৫ জন, ইরানে ১৯১ জন, রোমানিয়ায় ১৪৬ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩১৯ জন, চিলিতে ১২৯ জন, ফিলিপাইনে ১৯৮ জন এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৫৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। অন্য দিকে গেল ২৪ ঘণ্টায় উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোতে মারা গেছেন ৪৫৭ জন। মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিন লাখ ১৫ হাজার ৫৫ জনের।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এশিয়ার পরাশক্তি চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ প্রাণঘাতী ভাইরাসটিকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে।


Tuesday, January 18, 2022

বুস্টার ডোজ ৫০ বছর বয়সীরাও পাবেন

বুস্টার ডোজ ৫০ বছর বয়সীরাও পাবেন


 করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। সোমবার নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬ হাজারের বেশি। আর এভাবে আক্রান্ত রোগী বাড়তে থাকলে আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে দেশের হাসপাতালগুলোতে জায়গা থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এক জরিপের বরাত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ওমিক্রন নিয়ে ঢাকায় একটি জরিপ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ঢাকায় এখন পর্যন্ত ওমিক্রন ৬৯ শতাংশ ছড়িয়েছে। ঢাকার বাইরেও এমন হবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। তাই ভাইরাসটি প্রতিরোধে বিধিনিষেধসহ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বুস্টার ডোজের বয়সসীমা কমানো হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা টিকা দিয়ে গেলেও ওমিক্রন ও ডেল্টা ধরনে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তাতে আমরা কিছুটা হলেও চিন্তিত ও আতঙ্কিত। আমরা চাই না, সংক্রমণ এভাবে বৃদ্ধি পাক। গত বছর ডেল্টা ধরন সংক্রমণের হার ২৯-৩০ শতাংশে উঠেছিলে। এখন ধাপে ধাপে বাড়ছে, এভাবে বাড়লে ৩০ শতাংশে পৌঁছাতে সময় লাগবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে রোগী ভর্তির কোন জায়গা থাকবে না। তখন সবাইকে চিকিৎসা দেয়া দুরূহ হয়ে পড়বে।


একই দিন অপর এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, বুস্টার ডোজ নেয়ার ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৬০ বছর থেকে কমানো হয়েছে। বয়সসীমা কমিয়ে ৫০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। যে সকল ফ্রন্টলাইনাররা ছিলেন তাদের জন্য বয়স কোন বাধা ছিল না। জনসাধারণের জন্য সেটা কমিয়ে ৫০ বা তদুর্ধ করা হয়েছে।

Thursday, October 21, 2021

১৮ বছরেই কোভিড টিকার নিবন্ধন করা যাচ্ছে

১৮ বছরেই কোভিড টিকার নিবন্ধন করা যাচ্ছে


করোনাভাইরাসের টিকা নিবন্ধনের বয়সসীমা ২৫ থেকে কমিয়ে ১৮ বছর করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মহামারীতে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বেশির ভাগ জনগণকে সুরক্ষিত রাখার অংশ হিসেবে সরকার বেশ কিছু দিন আগেই এ সিদ্ধান্ত নেয়। সেই অনুযায়ী এখন সুরক্ষা অ্যাপে ১৮ বছরের বেশি বয়সীরা নিবন্ধন করতে পারছেন।  

বুধবার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ করোনাভাইরাসের টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। সুরক্ষা অ্যাপ্লিকেশনে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

এতদিন ২৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিক এবং সম্মুখসারিতে থাকা বিভিন্ন পেশাভিত্তিক শ্রেণি অথবা বিশেষ শ্রেণির নাগরিকরাই সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে (www.surokkha.gov.bd) টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারছিলেন।

বুধবার করোনাভাইরাসের টিকার জন্য সরকারের সুরক্ষা অ্যাপ্লিকেশনে গিয়ে দেখা গেছে, কোভিড নিবন্ধন ফর্মে নাগরিক নিবন্ধনের ঘরটিতে ১৮ বছর বা এর বেশি বয়সীদের নিবন্ধনের সুযোগ রয়েছে।

 

এর বাইরে বিশেষ ব্যবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলের শিক্ষার্থীসহ বিদেশগামী কর্মী ও শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের মাধ্যমে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে সরকার।

দেশে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার আগে নিবন্ধন করতে হয়। গত ২৬ জানুয়ারি টিকার জন্য নিবন্ধন শুরু হয়। তখন শুধু ৪০ বছর বা এর বেশি বয়সীরা নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছিলেন।

গত ৫ জুলাই আগের চেয়ে আরও পাঁচ বছর কমিয়ে টিকার নিবন্ধনের জন্য যোগ্যদের বয়স ৩৫ বছর করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এরপর গত ১৯ জুলাই আরও ৫ বছর কমিয়ে ৩০ বছর এবং ২৯ জুলাই টিকা নেওয়ার বয়সসীমা আরও ৫ বছর কমিয়ে ২৫ বছর করা হয়।

রাজধানীর একটি হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে আসাদের দীর্ঘ লাইন। ফাইল ছবি: মাহমুদ জামান অভি

এর বাইরে সময়ে সময়ে বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা নিবন্ধনের মাধ্যমে কোভিড থেকে সুরক্ষায় টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

 

সবশেষ গত ১৪ অক্টোবর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দেওয়া হয়।

ওইদিন মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দু্টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয়।

এর মাধ্যমে দেশে শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু হয়। ওই শিশুদের ১৪ দিন পর্যবেক্ষণের পর স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।

এজন্য বিশেষ ব্যবস্থায় নিবন্ধন করতে স্কুলগুলো থেকে শিক্ষার্থীদের তালিকা চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই তালিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে।

দেশে গত ২৬ জানুয়ারি টিকার জন্য অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫ কোটি ৫০ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন।

এর মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৩ কোটি ৯১ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি মানুষ।

স্বাস্থ্য খাতে দ্রুতই পৌনে ৫ লাখ নিয়োগ

স্বাস্থ্য খাতে দ্রুতই পৌনে ৫ লাখ নিয়োগ


স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে একটি জনবলকাঠামো তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বলেছেন, এ জন্য শিগগিরই এ খাতে পৌনে ৫ লাখ কর্মী নিয়োগ দেয়া হবে। এ ব্যাপারে একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

রাজধানীর একটি হোটেলে বুধবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের (ইউএইচএফপিও) প্রথম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে একটি জনবলকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। সেটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এটি অনুমোদন দিলে শিগগিরই পৌনে ৫ লাখ নিয়োগ দেয়া হবে স্বাস্থ্য খাতে। এই নিয়োগ কমপ্লিট হলে স্বাস্থ্যসেবার মান আরও উন্নত হবে।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনায় নাটকীয় পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিবর্তন আমাদের ধরে রাখতে হবে। হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার মান উন্নতি করতে হবে। হাসাপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।’

দেশে যাতে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ না আসে, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিনে ধরে আবার সংক্রমণ বাড়ছে, আমাদের দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আবার আসুক, এটা আমরা কেউ চাই না। এ জন্য এখন থেকে সবাইকে সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

করোনা প্রতিরোধী টিকা কার্যক্রম নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রতি মাসে ৩ কোটি এবং তার থেকে বেশি ভ্যাকসিন দেয়ার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এটা চলমান থাকলে ডিসেম্বরের মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষকে টিকা কর্মসূচির আওতায় আনা সম্ভব হবে।

উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে সরকারের অর্জন এবং সরকারের দুর্নাম হয়। আপনাদের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করে। আপনাদের কাজের ওপর সরকারের ইমেজ নির্ভর করে। তাই গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে আপনাদের আরও সচেতন হতে হবে।’

অনুষ্ঠান স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলমসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

Wednesday, April 28, 2021

করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২৬ লাখ মানুষ

করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২৬ লাখ মানুষ

 


 

দেশে এ পর্যন্ত প্রায় ২৬ লাখ মানুষ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। টিকার এই ডোজ গ্রহণকারীর সংখ্যা ২৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮৪। এরমধ্যে পুরুষ ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৭৯৯ এবং নারী ৮ লাখ ৯৭ হাজার ২৮৫ জন। এদিকে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৬১৬ জন। এরমধ্যে ৩৬ লাখ ৮ হাজার ৭৪৬ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৮৭০।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৭২ লাখ ৪০ হাজার ৮২ জন মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৬১ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ৭৪ হাজার ৯৩৪ এবং নারী ৪৫ হাজার ৯২৭ জন। আর প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩২৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১৩০ এবং নারী ১৯৫ জন। এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮ লাখ ৫ হাজার ৩৭৫ জন। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৮২ জন। ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৮ লাখ ৭ হাজার ৯৬৭ জন ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন ৯ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৬ জন।

ময়মনসিংহ বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৬২৫ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ২২৫ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৪৭ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৭৭ হাজার ৯৯০ জন। রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেনকরোনা ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬২৩ জন, প্রথম ডোজ ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯০৪ জন। রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ৩১ হাজার ৩৬৪ জন, প্রথম ডোজ ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪৩ জন। খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৭ জন, প্রথম ডোজ ৭ লাখ ৩১ হাজার ৮৯ জন। বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৫৬ জন, প্রথম ডোজ ২ লাখ ৫১ হাজার ৩৪২ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ৯৪৭ জন, প্রথম ডোজ ৩ লাখ ১ হাজার ১৫৬ জন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেয়া হয়। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেয়ার ৬০দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। দেশে টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি। সূত্র: বাসস

Monday, April 19, 2021

যাত্রা শুরু ১১০০ শয্যার করোনা হাসপাতালের

যাত্রা শুরু ১১০০ শয্যার করোনা হাসপাতালের

 



রাজধানীর মহাখালীতে ২২২টি আইসিইউসহ মোট এক হাজার ১০০ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে ডিএনসিসির করোনা হাসপাতাল। গতকাল রবিবার দুপুরে এই হাসপাতালের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

আজ সোমবার থেকে শুরু হবে হাসপাতালটির কার্যক্রম। এই হাসপাতালে থাকছে আইসোলেশন সেন্টারও। আজ থেকে ১০০টি সাধারণ শয্যা, ৫০টি আইসিইউ, ৫০টি এইচডিইউ, ৫০টি ইমার্জেন্সি এবং ১৮টি আইসিইউ কেবিনের সুবিধা চালুর কথা রয়েছে। তবে এক সপ্তাহ পর হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর আমরা বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার এবং ডিএনসিসির এই মার্কেটটিকে কভিড রোগীদের আইসোলেশন সেন্টার বানাই। তখন আমরা অল্প দিনেই কভিড মোকাবেলা করতে পেরেছিলাম। প্রথম ধাপ পার করার পর এই মার্কেটটিকে আমরা টেস্টিং সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করি। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আগের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ লোক সংক্রমিত হয়েছে। ফলে হাসপাতালে রোগীর চাপও ১০ গুণ বেড়েছে। এ কারণেই আমরা আবারও এই মার্কেটটিকে করোনা হাসপাতাল করতে কাজ শুরু করি। মাত্র ২০ দিনের মধ্যে হাসপাতালের কাজ শেষ করেছে ডিএনসিসি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই ভবনে আমরা ২৫৮টি দোকান বরাদ্দ দিয়েছিলাম। সেটা বাতিল করে এখানে আমরা করোনার জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতাল করেছি। ঢাকা ভাগ হওয়ার সময় উত্তরে কোনো হাসপাতাল ছিল না। ফলে এখন এটাই ডিএনসিসি এলাকার প্রথম হাসপাতাল। এতে মোট ১৭৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এই মার্কেটে যাদের দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল তারা ১১ জন আমার বিরুদ্ধে মামলাও করেছে। তবে আমি অবশ্যই তাদের জন্য অন্য জায়গায় দোকান বরাদ্দ দেব।’ এ সময় এই হাসপাতালটিকে কভিড মোকাবেলার পরে একটি নার্সিং কলেজ করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মেয়র।

এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং ডিএনসিসি মেয়র হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা প্রমুখ।

টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে

টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে

 



ভারত থেকে করোনাভাইরাসের টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে যাচ্ছে। দেশটির সেরাম ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে তাদের টিকার মজুদ বেড়েছে। ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে তারা টিকা রপ্তানি করতে প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারও টিকা পেতে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্র জানিয়েছে, টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা আজ সোমবার অথবা আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে দূর হবে।

এদিকে প্রাণঘাতী করোনার প্রতিষেধক টিকার মজুদ ফুরিয়ে আসছে। বাংলাদেশের হাতে থাকা এক কোটি দুই লাখ ডোজ টিকার মধ্যে গতকাল পর্যন্ত ৭০ লাখ ৮০ হাজার ডোজ বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৭ লাখ ১৪ হাজার জন এবং ১৩ লাখ ৬৬ হাজার ডোজ দ্বিতীয় ডোজও নিয়েছেন। মজুদ ৩১ লাখ ১৯ হাজার টিকা দিয়ে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে। এই সময়ের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী টিকা না এলে অনিশ্চয়তায় পড়বে বাংলাদেশের চলমান টিকাদান কর্মসূচি।

স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্র জানায়, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়েছে, টিকা রপ্তানি করতে তারা এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। কিন্তু ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিলে তারা টিকা রপ্তানি করতে পারবে না। এর পরই কূটনৈতিক চ্যানেলে টিকা পেতে তৎপরতায় নামে সরকার। কূটনৈতিক চ্যানেলে আলোচনার পর বাংলাদেশ টিকা পাওয়া নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ আবার কবে নাগাদ টিকা পাবে কিংবা কত টিকা আসছে, সেসব বিষয় আজকালের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যাবে।

চুক্তি অনুযায়ী মার্চ পর্যন্তই আরও ৮০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য সেই টিকা পেতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই টিকা এলে প্রথম ডোজ নেওয়া সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া সম্ভব হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সমকালকে বলেন, মার্চ পর্যন্ত বকেয়া টিকা পেতে বেক্সিমকোর মাধ্যমে সেরামকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকেও টিকার জন্য ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। আশা করি, টিকা নিয়ে যে অনিশ্চয়তা চলছে দু-এক দিনের মধ্যেই তা দূর হবে।

বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত আজ :ভারতের নিষেধাজ্ঞার পর টিকা পেতে বিকল্প একাধিক উৎসের খোঁজে নেমেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে রাশিয়া ও চীনের টিকা পেতে সরকারের হাইকমান্ড থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ওই দুটি দেশের পক্ষ থেকে সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। রাশিয়ার টিকা পেতে সরকার আগ্রহী। কারণ প্রতিবেশী দেশ ভারত নিজেদের দেশে প্রয়োগের জন্য রাশিয়ার টিকার জরুরি অনুমোদন দিয়েছে। এরপর বাংলাদেশও ওই টিকা পেতে তৎপরতা শুরু করেছে। তবে রাশিয়ার দূতাবাস থেকে সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে।

রাশিয়ার টিকার একটি ডোজের দাম পড়বে ১২ ডলারের মতো। ওই টিকার দুটি করে ডোজ নিতে হবে। তাহলে জনপ্রতি টিকা দিতে সরকারের ব্যয় হবে ২৪ ডলারের মতো (প্রায় ২০৫০ টাকা)। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দুই ডোজের দাম পড়ছে ১০ ডলার করে।

স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্র জানায়, মূল্য বেশি হলেও সরকার রাশিয়ার টিকা নেবে। কারণ চলমান টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে ওই টিকা সংগ্রহ করা ছাড়া বিকল্প নেই। দেশে ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। ওই দুটি টিকা সংরক্ষণ করতে মাইনাস ৩০ থেকে ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস মাত্রার রেফ্রিজারেটর প্রয়োজন।

কিন্তু বাংলাদেশে এ ধরনের রেফ্রিজারেটর আছে মাত্র কয়েকটি। এ ছাড়া ওই টিকার মূল্যও রাশিয়ার টিকার তুলনায় অনেক বেশি। বাংলাদেশে বিদ্যমান ব্যবস্থাপনাতেই রাশিয়ার টিকা সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে রাশিয়ার টিকার কার্যকারিতাও ভালো। এ কারণে বিকল্প হিসেবে রাশিয়ার টিকা সরকারের প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে আছে চীনের টিকা। রাশিয়ার টিকার নিশ্চিত করার পর পরবর্তী বিকল্প হিসেবে চীনের টিকা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে সরকারের হাইকমান্ড।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সমকালকে বলেন, সেরামের বিকল্প হিসেবে রাশিয়া ও চীনের টিকার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে গতকাল আলোচনা হয়েছে। আজও আলোচনা হবে। রাশিয়ার টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা কম। সে ক্ষেত্রে তারা কাঁচামাল সরবরাহ করলে বাংলাদেশে টিকা উৎপাদন করা হবে। ওই টিকা দিয়ে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করাও সম্ভব হবে। আর চীনের উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। চীন টিকা দিতে চাইলে নেওয়া হবে। আবার কাঁচামাল সরবরাহ করলেও বাংলাদেশ উৎপাদন করবে। সুতরাং বিকল্প হিসেবে এই দুটি টিকা আমরা পেতে চাই।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, টিকা নিয়ে টাকার কোনো সংকট নেই। দাতা সংস্থাগুলো টাকার জোগান দিতে প্রস্তুত। শুধু উৎস নিশ্চিত করতে পারলেই টিকা পাওয়া সম্ভব হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, সম্প্রতি ইউএনডিপির অর্থায়নে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার তিন কোটি ডোজ কেনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু এই টিকা আগামী সেপ্টেম্বরের আগে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ জনসন অ্যান্ড জনসন আগস্ট মাস পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকে টিকা দিতে চুক্তি করেছে। এ ছাড়া উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আরও একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

টিকা মজুদের চিত্র :করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় নিজস্ব চাহিদার কথা বিবেচনা করে সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকার রপ্তানি গত ২৪ মার্চ সাময়িকভাবে স্থগিত করে ভারত সরকার। কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশসহ ১৮০টি দেশ টিকা পাবে। সেই টিকাও সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে সরবরাহের কথা। কিন্তু ভারতের রপ্তানি স্থগিতের সিদ্ধান্ত কোভ্যাক্সের আওতায় টিকাও পাচ্ছে না। বাংলাদেশেরও কোভ্যাক্স থেকে মে মাসের মধ্যে এক কোটি ৯ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল। সেই টিকা পাওয়া নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ডের টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে গত বছরের নভেম্বর মাসে সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়। ওই টিকার প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ দেশে আসে গত ২৫ জানুয়ারি। এর আগে ভারত সরকার বাংলাদেশকে আরও ২০ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে পাঠায়। ওই টিকা হাতে পাওয়ার পর ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি পরীক্ষামূলক টিকাদান করা হয়। আর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।

এরপর ফেব্রুয়ারি মাসে কেনা টিকার আরও ২০ লাখ ডোজ আসে। আর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশকে আরও ১২ লাখ ডোজ উপহার দেয় ভারত। সব মিলিয়ে সরকার এক কোটি দুই লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী, কেনা টিকার তিন কোটি ডোজের মধ্যে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে আসার কথা। কিন্তু জানুয়ারিতে ৫০ লাখ ডোজ পাওয়ার পর ফেব্রুয়ারিতে আসে ২০ লাখ ডোজ। ৩০ লাখ ডোজ কম আসে। মার্চ মাসে কোনো টিকা আসেনি। এ হিসাবে মার্চ পর্যন্তই চুক্তি অনুযায়ী ৮০ লাখ ডোজ টিকা কম পেয়েছে বাংলাদেশ। আর এপ্রিলের টিকা আসবে কিনা তা নিশ্চিত নয়।

তবে স্বাস্থ্য বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সমকালকে জানান, সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে টিকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী টিকার বিষয়ে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছেন। সংশ্নিষ্টরা মনে করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পর টিকা নিয়ে বাংলাদেশের অনিশ্চয়তা দূর হয়েছে। আজকালের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, টিকা পেতে জোরালো তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। টিকার বিষয়ে দ্রুতই সুখবর আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি

Sunday, April 18, 2021

চালু হচ্ছে সবচেয়ে বড় করোনা হাসপাতাল

চালু হচ্ছে সবচেয়ে বড় করোনা হাসপাতাল

 



রাজধানীর মহাখালীতে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের জন্য আজ থেকে চালু হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল। এ হাসপাতালের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল’। এখানে ১ হাজার সাধারণ শয্যার পাশাপাশি ১০০ শয্যার আইসিইউ ও ১১২টি এইচডিইউ শয্যা স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের জন্য সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থাও রয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ বেলা সাড়ে ১১টায় হাসপাতালটি উদ্বোধন করবেন। এরপর শুরু হবে রোগী ভর্তি। গতকাল গিয়ে দেখা যায়, মহাখালী কাঁচাবাজারের জন্য নির্মিত ছয় তলা ভবনে হাসপাতাল স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ। এর মধ্যে দ্বিতীয় তলায় স্থাপন করা হয়েছে জরুরি বিভাগ। এ বিভাগে ৫০টি শয্যা রয়েছে। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম তলার দোকানগুলোয় দুটি করে শয্যা বসানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিটি ফ্লোরের ফাঁকা জায়গায় কাচ দিয়ে বড় একটি কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। এ কক্ষটিতে ২৫টি শয্যা রয়েছে। এখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া ছয় তলায় পৃথক কয়েকটি কক্ষ নিয়ে আইসিইউ ও এইচডিইউ শয্যা স্থাপন করা হয়েছে। ডিএনসিসি

ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘এ হাসপাতালে ১ হাজার ২০০-এর বেশি শয্যা স্থাপনের সক্ষমতা আছে। তবে রবিবার (আজ) থেকে আংশিকভাবে ২৫০ শয্যা চালু করা হবে। এর মধ্যে ৫০টি আইসিইউ, ৫০টি শয্যা জরুরি রোগীদের জন্য এবং ১৫০টি সাধারণ শয্যা রোগীদের জন্য চালু করা হবে। সাধারণ শয্যা হলো কভিড আইসোলেশন রুম। এ রুমগুলোয় আপাতত একজন করে রোগী রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।’ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশন-ডিএনসিসির মহাখালী কাঁচাবাজারের ছয় তলাবিশিষ্ট ১ লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনের ফাঁকা ভবনে এ হাসপাতাল চালু করা হচ্ছে। এত দিন মার্কেটটি করোনা আইসোলেশন সেন্টার ও বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার ল্যাব হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এখন করোনা হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হলেও পৃথকভাবে ওই সেবা কার্যক্রমগুলোও চলবে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন আরও বলেন, ‘এর মধ্যে ১৫০ জন চিকিৎসক ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে যোগদান করেছেন, নার্স যোগদান করেছেন ২০০ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ৩০০ জনের মতো। এ ছাড়া এ হাসপাতালে সেনা, বিমান ও নৌ বাহিনীর প্রায় ১৫০ জন চিকিৎসক ও বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ কর্মী সহযোগিতা করছেন। হাসপাতালটি আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হবে। সার্বিক সহযোগিতা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ডিএনসিসি এ ভবন দিয়ে সহযোগিতা করছে।’ তিনি বলেন, ‘এ হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যায় জোর দিয়ে ২১২টি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র রাখা হয়েছে। এটা দেশের সবচেয়ে বড় করোনা হাসপাতাল হতে চলেছে। আমরা যদি পর্যাপ্ত জনবল পাই তাহলে অনেক ভালো সেবা দিতে পারব। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের জন্য এত বড় হাসপাতাল দেশের আর কোথাও নেই। এত বড় হাসপাতাল চালাতে কী পরিমাণ জনবল প্রয়োজন তা বুঝতেই পারছেন। আমরা আজ ২৫০ শয্যা চালু করছি, আগামী সাত দিনের মধ্যে ৫০০ শয্যা চালু করতে পারব। বাকি শয্যাগুলো আশা করছি এ মাসের মধ্যেই চালু করতে পারব।’ স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দেশে প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে হাসপাতালগুলোয় চাপও বেড়েছে। ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে ১ হাজার ২০০-এর বেশি শয্যা চালু করা হবে। এ হাসপাতালটি আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হবে। এখানে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী দিয়ে সহযোগিতা করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতর। এ হাসপাতাল চালু হলে করোনা আক্রান্তদের সেবাদান জোরদার হবে বলে প্রত্যাশা করি।’ গত বছরের ৯ আগস্ট করোনা আইসোলেশন সেন্টার পরিদর্শনে গিয়ে মহাখালীর এ মার্কেটটিকে ৫০০ শয্যার আরবান (নগর) হাসপাতালে রূপান্তরের ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘৭ দশমিক ১৭ একর জমির ওপর ডিএনসিসি মার্কেট মূলত পাইকারি কাঁচাবাজারের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এটি বাস্তবায়ন করা যায়নি। এখন একে কীভাবে আরবান হাসপাতালে রূপান্তর করা যায় আমরা তার পরিকল্পনা করছি। এ ভবনকে আমরা যদি আরবান হাসপাতালে রূপান্তর করতে পারি তাহলে নগরবাসীর অনেক সুবিধা হবে।’

দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহিতা সাড়ে ১১ লাখ ছাড়িয়েছে

দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহিতা সাড়ে ১১ লাখ ছাড়িয়েছে

 



দেশে সাড়ে ১১ লাখেরও বেশি মানুষ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখার করোনা ভাইরাসের টিকা বিষয়ক তথ্য অনুযায়ী, দেশে এ পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪২ জন। ৩৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৫৫ জন পুরুষ। আর ২১ লাখ ৬৫ হাজার ৩৮৭ জন নারী । আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন মোট ১১ লাখ ৫১ হাজার ৭৬৭ জন। এর মধ্যে ৭ লাখ ৮০ হাজার ৭৫৯ জন পুরুষ ও ৩ লাখ ৭১ হাজার ৮ জন নারী। টিকা গ্রহিতাদের মধ্যে সামান্য পাশর্প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ৯৬৭ জনের মধ্যে। গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত টিকা নিতে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন ৭১ লাখ ৪ হাজার ৫৬৩ জন।

আর শনিবার (১৭ এপ্রিল) সারা দেশে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ২১ হাজার ৬১৬ জন। তার মধ্যে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩০৩ জন পুরুষ। আর ৭৮ হাজার ৩১৩ জন নারী। আর প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১২ হাজার ১৫৭ জন। তার মধ্যে ৭ হাজার ৬৬৬ জন পুরুষ ও ৪ হাজার ৪৯১ জন নারী। ৪ জনের মধ্যে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন জ্বর, টিকা নেয়ার স্থানে লাল হওয়া ইত্যাদি দেখা গিয়েছে।

Wednesday, April 14, 2021

একদিনে ৯৬ মৃত্যুর রেকর্ড, শনাক্ত ৫১৮৫

একদিনে ৯৬ মৃত্যুর রেকর্ড, শনাক্ত ৫১৮৫


করোনায় মৃত্যু

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ৯৮৭ জনের।

একই সময়ে নতুন করে ৫১৮৫ জনসহ এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৩ হাজার ১৭০ জনে।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে সোমবার (১২ এপ্রিল) দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিন রবিবার (১১ এপ্রিল) ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গত ১০ এপ্রিল ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ দিকে, গত ৭ এপ্রিল দেশে সাত হাজার ৬২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যা দেশে করোনায় একদিনে শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর গত ৬ এপ্রিল একদিনে শনাক্ত হয়েছিল সাত হাজার ২১৩ জন।


স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

Tuesday, April 13, 2021

মুভমেন্ট পাস নিতে লাগবে মাত্র ৩০ সেকেন্ড : আইজিপি

মুভমেন্ট পাস নিতে লাগবে মাত্র ৩০ সেকেন্ড : আইজিপি

 


 

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘আগামীকাল থেকে আপনাদের ঘরের বাইরে বের হতে হলে লাগবে মুভমেন্ট পাস। একজন ব্যক্তি ইন্টারনেট ব্যবহার করে মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে খুব সহজেই এ পাস নিতে পারবেন। মুভমেন্ট পাস নিতে সময় লাগবে মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মতো।’

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাজারবাগ পুলিশ লাইনস অডিটরিয়ামে করোনা সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধ চলাকালে জরুরি প্রয়োজনে মুভমেন্ট পাস অ্যাপসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, ‘মহামারির মধ্যেও কেউ যদি জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হতে চান তাহলে তাকে মুভমেন্ট পাস নিতে হবে। মুভমেন্ট পাস নিতে কোনো ঝামেলা পোহাতে হবে না। মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই এ পাস নেয়া যাবে। একজন ব্যক্তি তার মোবাইল কিংবা কম্পিউটার ব্যবহার করে পাস নিতে পারবেন। তবে একটি মোবাইল নম্বরে একবারই এ পাস নেয়া যাবে।’

তিনি বলেন, ‘কেউ যদি মুভমেন্ট পাস নিতে না চায় তাহলে আমরা তাকে জোর করব না, এটা জোর করার বিষয় না। আমরা কাউকে বাধ্য করছি না। তবে আমরা নাগরিকদের সহযোগিতা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাজার, করোনার টিকার ডেটসহ অতিপ্রয়োজনীয় কাজ থাকলেও বের হওয়া যাবে। এমনকি অ্যাম্বুলেন্সে রোগী যাওয়ার প্রয়োজন হলেও মুভমেন্ট পাস লাগবে।’

আইজিপি বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলমান লকডাউনে মানুষের অনিয়ন্ত্রিত ও অপ্রয়োজনীয় চলাচল রোধে এবং জরুরি বিশেষ প্রয়োজনে যাতায়াত নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পুলিশ চালু করছে এ পাস। দেশের যে কোনো নাগরিক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কয়েকটি তথ্য সরবরাহ করে খুব সহজেই এ পাস সংগ্রহ করতে পারবেন।’

আইজিপি বলেন, ওয়েবসাইটে পাস নিতে গেলে আবেদনকারী কোথা থেকে কোথায় যাবেন, তা জানতে চাওয়া হবে। সেসব তথ্য ধাপে ধাপে প্রদান করতে হবে। এরপর আবেদনকারীর একটি ছবি আপলোড করে ফর্মটি জমা দিতে হবে। জমা দেওয়া ফর্মে আবেদনকারী প্রদত্ত তথ্যাবলীর ভিত্তিতে পাস ইস্যু করা যাবে। ওয়েবসাইট থেকেই পাসটি ডাউনলোড করে সংগ্রহ করা যাবে। চলাচলের সময় কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে পাস প্রদর্শন করতে হবে।’

এ সময় আইজিপি মুভমেন্ট পাসের জন্য www.movementpass.police.gov.bd- এর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

Wednesday, April 7, 2021

মহাখালীতে চালু হচ্ছে ১ হাজার শয্যাবিশিষ্ট করোনা হাসপাতাল

মহাখালীতে চালু হচ্ছে ১ হাজার শয্যাবিশিষ্ট করোনা হাসপাতাল


ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের (ডিএনসিসি) মহাখালী মার্কেটকে প্রাণঘাতী করোনার রোগীদের চিকিৎসায় ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল হিসেবে চালু করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ হাসপাতাল বাস্তবায়নে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এপ্রিলের মাঝামাঝিতে এখানে সেবাদান শুরু হবে এবং চলতি মাসের শেষ দিকে প্রায় পূর্নাঙ্গভাবে হাসপাতালটি যাত্রা শুরু করবে বলে জানিয়েছে সাস্থ্য মন্ত্রণায়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ১ হাজার শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালে ১০০টি আইসিইউ শয্যা এবং ১১২টি এইচডিইউ থাকবে। এটিই হবে করোনা চিকিৎসায় সবচেয়ে বড় হাসপাতাল। আর এই হাসপাতালটি পরিচালনা করবে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী।

তবে এই হাসপাতাল পরিচালনায় ৫০০ চিকিৎসক, ৭০০ নার্স ও ৭০০ স্টাফ এবং ওষুধ-সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বিকেল চারটায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ২৫০টি শয্যা এবং কিছু আইসিইউ শয্যা চালু করতে পারব বলে আশা করি। তবে মাসের শেষ দিকে প্রায় পূর্নাঙ্গভাবে হাসপাতালটি যাত্রা শুরু করবে। এখানে কেবল মহামারি করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হবে। এখানে কোনো অপারেশন করা হবে না। কারো অপারেশন দরকার হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করানো হবে।’

এতদিন এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনের ফাঁকা এই মার্কেটটি করোনা আইসোলেশন সেন্টার এবং বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষার ল্যাব হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এখন করোনা হাসপাতাল হিসেবে চালু হলে সেসব সেবার ব্যবস্থা কিভাবে করা হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেই সেবাগুলো বন্ধ হবে না। বিদেশগামীদের জন্য একপাশে আলাদা জায়গা রাখা হবে।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ আগস্ট পরিদর্শনে গিয়ে মহাখালীর এই মার্কেটটিকে ৫০০ শয্যার আরবান (নগর) হাসপাতালে রূপান্তরের ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

সেদিন মেয়র বলেছিলেন, ‘৭ দশমিক ১৭ একর জমির ওপর ডিএনসিসি মার্কেটটি মূলত পাইকারি কাঁচাবাজারের জন্য তৈরি করা হলেও বিভিন্ন কারণে তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। তবে এটিকে এখন কিভাবে আরবান হাসপাতালে রূপান্তর করা যায় তার পরিকল্পনা করছি। এই ভবনকে আমরা আরবান হাসপাতালে রূপান্তরিত করলে নগরবাসীর জন্য অনেক সুবিধা হবে।’